একরাতে কত বার স্ত্রী সহবাস করা সর্ব উত্তম – যৌবন ধরে রাখতে এখনই জেনে নিন
এক রাতে কতবার সহবাস করা যায় অথবা সপ্তাহে কতদিন মিলন করা যায়? খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন কিন্তু তার উত্তর খুব জটিল। কারণ এর বিজ্ঞানভিত্তিক কোন সঠিক জবাব নেই। কারো কারো শরীরের গঠন অনুযায়ী বা শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী একজন পুরুষ সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার বেশিও মিলন বা সহবাস করতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি হলো প্রতিদিন বা প্রতিরাত সহবাস থেকে বিরত থাকা। সবথেকে উত্তম পদ্ধতি হলো এক থেকে দুই দিন বিরতি দিয়ে তারপর দিন সহবাস করবেন।
প্রতিদিন মিলন করলে কি হয়?
প্রতিদিন মিলন করলে সাধারণত সামান্য হলেও স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে, তাছাড়া আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনার সঙ্গিনী যদি চায় তাহলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, তবে অবশ্যই আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। অন্যথায় আপনার সঙ্গিনী সহবাসের প্রতি ইচ্ছা হারিয়ে যেতে পারে। এতে করে দাম্পত্য জীবনে কলহ তৈরি হতে পারে। তাই যখনই সহবাসে লিপ্ত হবেন তার আগে অবশ্যই আপনার সঙ্গিনীর সম্মতি নেওয়া উচিত বলে চিকিৎসার সাথে জড়িত যারা তারা এটাই মনে করেন।
এক রাতে কতবার মিলন করা উচিত?
সাধারণত এক রাতে দুইবার মিলন করা যায়, যদি এক থেকে দুদিন বিরত রেখে সহবাস করেন। কিছু কিছু পুরুষ প্রতি রাতেই সহবাস করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয় যৌবনের প্রথম দিকে যদি যৌবনের ঘাটতি তৈরি করে ফেলে, তাহলে অল্প বয়সেই যৌন দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তাই সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ দিন মিলন করবেন। আর তাতে প্রতি রাত দুবার মিলন করা যাবে কিন্তু যারা প্রতিরাতেই মিলন করেন তারা সাধারণত একবারেই মিলন করবেন।
মনে রাখবেন যৌনতা কোন অসুখ নয়, এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া্ তবে তা যেন হয় বিজ্ঞানসম্মত এবং উভয়ের সম্মতিক্রমেই। মিলন ব্যতীত বিয়ের পূর্ণতা প্রকাশ পায় না কিন্তু,অতিরিক্ত মিলন একটি অসুখের লক্ষণ। সহবাস থেকেই বংশ বিস্তার ঘটে, আবার অনেক সময় এই সহবাস থেকেই বিচ্ছেদও ঘটে। বিষয়গুলি আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।
কোন বয়সে দিনে কতবার মিলন করা উচিত?
আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৮ থেকে ৩০ বছরের পুরুষ বছরে গড়ে ১১০ থেকে ১১২ বার মিলন করা উচিৎ, অর্থাৎ সপ্তাহে তিনবারের কম।
৩১ থেকে ৪৯ বছর বয়সের পুরুষেরা বছরের ৮৬ বার মিলন করার স্বাস্থ্যসম্মত। এর বেশি হলে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারেন।
পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের গড়ে বছরের ৭০ বারের মতো মিলন করতে পারেন। রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায় তারা প্রতি মাসে ৬ বারের বেশি সহবাস করতে সক্ষম হন না।
অনেক যৌন চিকিৎসকের মতে যে সকল পুরুষ যৌবনের শুরুতেই নিয়ম তান্ত্রিক অনুযায়ী সহবাস করে থাকেন, তারা যৌবনের পড়ন্ত বেলায় অন্যদের চাইতে বেশি সহবাস করতে পারেন। আবার যারা স্বাভাবিক খাবারের পর অন্যান্য ফুড সাপ্লিমেন্ট, নিউট্রিশন বা সম্পূরক খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তারা এসবের ব্যতিক্রম। কারণ সর্বদাই তাদের যে ঘাটতিটা হয়, সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যায়।
সহবাসের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি?
১ স্ত্রীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে সহবাসের জন্য তাকে উন্মুখ করে তোলা।
২ যৌন সংক্রান্ত কোনো গল্প শুনিয়ে তাকে উত্তেজিত করে তারপর মিলন শুরু করা।
সহবাসের এই পদ্ধতি গুলি উভয়ের জন্যই উপকারী, প্রথমত তাদেরকে সন্তোষজনক তৃপ্তি দেয়, দ্বিতীয়তে একে অপরের প্রতি বিরক্তি ভাব দূর হয়। এছাড়াও একে অপরের প্রতি আকৃষ্টতা দিন দিন বাড়তে থাকে, এবং উভয়েই অপেক্ষায় থাকেন কখন রাত্রি হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে দম্পতি যতটা রোমান্টিক সেই সেই দম্পত্তির বার্ধক্য আসে অনেক দেরিতে।
এক্ষেত্রে যে সুবিধাটি পাওয়া যাবে, তা হলো- মিলন করার জন্য স্ত্রীকে কখনোই বিরক্তিকর অবস্থায় ফেলতে হবে না। স্ত্রী নিজেই মিলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। যার ফলে কখনোই দাম্পত্য জীবনে কলহ তৈরি হবেনা।
বুড়ো বয়সে মিলনের সুফল কি?
বেশি বয়স বা বুড়ো বয়সে মিলনের অনেক উপকার আছে। বুড়ো বয়সে যারা নিয়মিত সহবাস করেন, বার্ধক্য তাদের কাছে কিছুই মনে হয় না। তাদেরকে সর্বদা যুবকের মতই মনে হয় কারণ তারা সর্বদা হাস্যজ্জল থাকেন। যার ফলে হৃদরোগ সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকে। উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস বার্ধক্য জনিত সমস্যা ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা থাকে।
দিনে কতবার মিলন করবেন তা মুখ্য কোন বিষয় নয়। মুলত তৃপ্তির সাথে মিলন বা সহবাস করাটাই একজন পুরুষের পৌরষত্ব। আর তা সম্ভব হয় স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে মিলনের মাধ্যমে।