খুশকি দূর করার উপায় | কারনসহ বিস্তারিত।
খুশকি একটি মারাত্মক সমস্যা। মাথা থেকে মরা চামড়া উঠার নাম খুসকি। দেখতে ছোট ছোট আইশের মতো সাদা। চিরুনী দিয়ে আঁচরানোর সময় চিরুনীর ঘোরায় জমা হয়ে আসে। এক প্রকার ফাঙ্গাস দ্বারা এর সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তির চিরুনী অন্য কেউ ব্যবহার করলে, সেও এই রোগে আক্রান্ত হবে। আক্রান্ত ব্যাক্তি দীর্ঘদিন ভুগতে থাকলে, মাথার চুল ঝড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে একপ্রকার টাক দেখা দিতে পারে।
খুসকির কারন :
- সাধারনতঃ ফাঙ্গাস জনিত কারনে খুসকি দেখা দেয়। এই ফাঙ্গাস জন্মাতেও কোন কারন থাকে।
- মাথা অতিরিক্ত ঘেমে, আবার তা এভাবেই শুকিয়ে গেলে, তা থেকে ফাঙ্গাস জন্ম নিতে পারে।
- ধুলোবালির পরিবেশে ঠিকমত শ্যাম্পু বা চুল পরিস্কারের ব্যবস্থা না করলে।
- চুলে সঠিক পরিচর্যা না করলে।
- অন্যান্য চর্মরোগে আক্রান্ত হলে।
- এলার্জি থাকলেও খুশকি বেড়ে যেতে পারে।
- আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত চিরুনী থেকে, খুসকি ছড়াতে পারে।
খুশকি থেকে মুক্তির উপায় :
- নিয়মিত কেটোকোনাজল শ্যাম্পু করা, সপ্তাহে ২/৩ দিন শ্যাম্পু করলে, খুসকি প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
- টক দই হতে পারে খুশকি দূর করার, আরেকটি উপায়। পরিমানমত টকদই হাতে নিয়ে, হালকা মালিশ করে, ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভাল করে শ্যাম্পু করুন, সপ্তাহে ২ দিন। সুম্পুর্ন সুস্থ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
- মেথি বাটা দিয়েও খুশকি দূর করতে পারেন। রাত্রে পরিমানমত মেথি ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে গোসলের ১ ঘন্টা আগে, বেটে নিয়ে চুলের গোড়ায় মেখে নিবেন। ১ রাখার পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যাবহার করুন।
- ডিম ও লেবুর রস দিয়েও খুশকি দূর করা যায়। আধা কাপ লেবুর রসে একটি ডিমের কুসুম দিয়ে ভাল ভাবে নেড়ে নিন। তার পর এই মিশ্রন চুলের গোড়ায় মাখুন। ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্প করে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার, সুস্থ্য হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান।
খুশকি দূর করার শ্যাম্পু :
খুশকির জন্য আসলে তেমন ফলপ্রদ চিকিৎসা জানা নেই। ভিটামিন সি জাতীয় ঔষধ ও ক্যালসিয়াম খেলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। কেটোকোনাজল শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত চুল ধুইলে, একসময় খুশকির প্রভাব কমে যেতে থাকে।
খুশকি প্রতিরোধ :
খুশকি দূর করতে অনেক পদ্ধতি চালু আছে। তবে প্রতিরোধ করতে পারলে, এর বিরম্বনার অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পাবেন। এর জন্য আলাদা চিরুনী ব্যাবহার করা, মাথা অতিরিক্ত ঘেমে গেলে, পরিস্কার করে নেয়া। এবং ভাল মানের হেয়ার অয়েল ব্যাবহার করা জরুরী। স্বাস্থ্যবিষয়ক অন্যান্য পোস্ট পড়তে রোগবালাই এ ক্লিক করুন।