সাজনা পাতার উপকারিতা , অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
আমাদের দেশের অতি পরিচিত সবজি সমূহের মধ্যে সজিনা অন্যতম । সজিনা গাছের পাতা ও ডাটা উভয়ই সবজি হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। সজিনা পাতা অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি।
পরিচিতিঃ
সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেফেরা [Moringa Oliefera]এবং এর ইংরেজি নাম ড্রামাস্টিক[Dramastick] .পাক-ভারত উপমহাদেশ এ গাছের উৎপত্তিস্থল হলেও এ গাছ প্রায় সারা পৃথিবীতেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে শীত প্রধান দেশে এ গাছ পাওয়া যায় না ।
সাধারণত এই গাছ সারা বছর ফলন দেয়। আমাদের দেশে সাধারণত দুই তিন প্রকারের সজিনা চাষ হয়।
সজিনার পুষ্টিগুণঃ
প্রতি 100 গ্রাম সজিনাতে রয়েছেঃ
উপাদান | পরিমাণ |
এনার্জি | ৪৩ কিঃক্যালরি |
পানি | ৮৫.২ গ্রাম |
আমিষ | ২.৯ গ্রাম |
চর্বি | ০.২ গ্রাম |
শর্করা | ৫.১ গ্রাম |
ফাইবার | ৪.৮ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ২৪ মিঃগ্রাম |
আয়রন | ০.২ মিঃগ্রাম |
জিংক | ০.১৬ মিঃগ্রাম |
ভিটামিন এ | ২৬ মিঃগ্রাম |
ভিটামিন বি১ | ০.০৪ মিঃগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৬৯.৯ মিঃগ্রাম |
সজিনা পাতার পুষ্টিগুণঃ
সজনে পাতার উপকারী গুনাগুনের কারণে সবাই একে সুপার ফুড বলে ডেকে থাকে,অনেকে আবার মজা করে একে পুষ্টির ডিনামাইটও বলে। সজিনা পাতায় রয়েছে প্রায় ৪২% আমিষ, ক্যালসিয়াম ১২৫%, ভিটামিন এ ২৭২%,ম্যাগনেসিয়াম ৬১%,পটাশিয়াম ৪১%,ভিটামিন সি ২২% ও লৌহ ৭১% ।
এক চামচ সজিনা পাতার গুড়োর মাধ্যমে এক থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ৪০%, আমিষ ১৪% ,লৌহ ২৩% ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ পেতে পারি।
মানবদেহে থাকা নয়টি অ্যামিনো এসিডের সবগুলোই এতে রয়েছে, তাছাড়া এতে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আয়রন ।
- কমলালেবুর চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে সজিনা পাতায়।
- দুধের চেয়ে প্রায় দুই গুণ বেশি আমিষ ও চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে সজিনা পাতায়।
- এতে গাজরের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে।
- এতে কলার তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম রয়েছে।
সজিনার তেলঃ
সজিনা গাছের শুকনো বীজ গুড়ো করে, প্রায় ৪০% তেল পাওয়া যায় ।যাতে রয়েছে উচ্চমাত্রার বিহানিক এসিড। যা দেহের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এ তেল গন্ধ বিহীন ও এতে রয়েছে অন্যান্য ভোজ্য তেলের মতোই পুষ্টিগুণ ।সজনে বীজ থেকে তেল ছাড়াও ,পরিত্যক্ত উপাদান হিসেবে খইল পাওয়া যায় যা সার ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।
সজিনা পাতার ঔষধি গুণঃ
সাম্প্রতিক সময়ে করা বৈজ্ঞানিক রিসার্চে দেখা গিয়েছে ,সজিনা গাছের মাঝে প্রায় ২০ প্রকারের অ্যামিনো এসিড রয়েছে,৩৬ টি এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ও ৪৬ টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে । একারণে সজিনা পাতা কে প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া সবচেয়ে পুষ্টিকর খাদ্য বলতে পারি। এর প্রচুর ঔষধি গুনাগুন রয়েছে,নিচে বেশ কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সজিনা পাতাঃ
মানবদেহে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাধে ও নিয়মিত শরীর অসুস্থ হতে থাকে। সজিনা পাতা নিয়মিত খেলে দেহের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।ফলে শারীরিক অসুস্থতা দূর হয়ে যায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সজিনা পাতার ভূমিকাঃ
সজিনা পাতার মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা দেহের গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে ইসোথিওকানেটস যা শরীরে সুগারের পরিমান বাড়তে দেয় না। এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের দেহ সুস্থ থাকে, তাই ডাইবেটিস রোগীদের নিয়মিত সজনে পাতা খেতে বলা হয়।
প্রদাহ দূর করতে সজিনা পাতাঃ
সজনে পাতায় Quercetin ও Chlorogenick acid নামের দুটি এন্টি এক্সিডেন্ট রয়েছে ,ফলে নিয়মিত সজিনা পাতা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শরীরে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল পদার্থের বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিরোধ করে ।এই ফ্রি রেডিকেল পদার্থ বৃদ্ধি পাওয়ার কারনেই দেহে প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সজিনা পাতার উপকারিতাঃ
দেহকে সুস্থ রাখতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকল্প নেই, সজিনা পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি,বিটা ক্যারোটিন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ফলে নিয়মিত সজিনা পাতা খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও দেহ সুস্থ থাকে।
লিভারের সুস্থতায় সজিনা পাতাঃ
মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ লিভার। শরীরের অভ্যন্তরীণ, বিভিন্ন রাসায়নিক কার্যকলাপ লিভারে ঘটে থাকে। আমাদের দেহ রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি, এই ওষুধগুলোর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। লিভারের কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে সজিনা পাতা রক্ষা করে।
হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় সজিনা পাতার ভূমিকাঃ
সজিনা পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। যা হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন একজন মানুষের শরীরে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর প্রয়োজন হয় তার প্রায় ১৬% ফসফরাস ও ১৯% ক্যালসিয়াম, ১০০ গ্রাম সজিনা পাতায় পাওয়া যায়।
রাতকানা রোগ প্রতিরোধেঃ
মানবদেহে ভিটামিন এ এর অভাবের কারণে রাতকানা রোগ হয়। সজিনা পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ফলে নিয়মিত সজিনা পাতা খেলে রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
প্রোটিনের অভাব পূরণে সজিনা পাতাঃ
আমাদের দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করে , এই সকল দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা অপুষ্টিজনিত রোগের শিকার হয়। পুষ্টিহীনতার কারণে তাদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ঘটে না। সজিনা পাতা একদিকে যেমন অত্যন্ত সহজলভ্য তেমনি এতে রয়েছে প্রায় 18 প্রকারের অ্যামিনো এসিড যা দেহে প্রোটিন গঠন করে। তাই প্রোটিনের খুব ভালো উৎস হিসেবে, আমরা সজিনা পাতা খেতে পারি।
খুশকি দূর করনে সজিনা পাতাঃ
সজিনা পাতার গুঁড়ো অল্প পানির সঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে, আমরা মাথায় ব্যবহার করতে পারি। এতে করে আমাদের মাথার খুশকি দূর হয়ে যাবে। এমনকি চুল পড়া সমস্যা থাকলেও তা থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
হজম শক্তি বাড়াতে সজিনা পাতাঃ
সজিনা পাতাতে রিবোফ্লাভিন রয়েছে,যা শরীরের মধ্যে ভিটামিন বি তৈরি করে। এই ভিটামিন বি শরীরের মধ্যে থাকা খাদ্যদ্রব্য কে পরিপাক হতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করেঃ
সজিনা পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা আমাদের রক্তের মধ্যে থাকা লোহিত কণিকার অন্যতম প্রধান উপাদান। তাই নিয়মিত সজিনা পাতা খেলে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় ও দেহের অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর হয়
গর্ভবতী মায়ের জন্য সজিনা পাতাঃ
গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়,গর্ভকালীন সময়ে সজিনা পাতা খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ হতে পারে। এছাড়া নিয়মিত সজিনা পাতা খেলে প্রাকৃতিক ভাবে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন টোটকা চিকিৎসায় সজিনা পাতার ব্যবহারঃ
ছোটখাটো বেশ কিছু রোগের উপশমের জন্য সজিনা পাতা উপকারী ভূমিকা পালন করেঃ
- যাদের দেহে এলার্জি ও চুলকানির সমস্যা, তারা সজিনা পাতার পেস্ট উক্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারে।
- বহুমূত্র রোগ নির্মূলে সজিনা পাতা অত্যন্ত কার্যকরী।
- শরীরের মধ্যে থাকা গেটে বাত, হাঁটুতে ব্যথা, কোমর ব্যথা সহ যেকোনো ব্যাথাতে সজিনা পাতার পেস্ট অত্যন্ত উপকারী।
- যে কোন বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের কামড়ের তাৎক্ষণিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে সজিনা পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
- দেহের কৃমির সংক্রমণ কমাতে অন্যান্য খাবারের সাথে সজিনা পাতা খাওয়া যেতে পারে।
- দেহের ওজন কমাতে সজিনা পাতা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্যায়াম করার পাশাপাশি সজিনা পাতা খেলে দ্রুত ওজন কমে।
- সজিনা গাছেড় আঠা ফোঁড়াতে ব্যবহার করলে ফোড়া দ্রুত সেরে যায় ।
- সজিনা গাছের শিকড়ের রস কানের ব্যথায় ব্যবহার করলে দ্রুত কানের ব্যথা সেরে যায়।
- সজিনা গাছের আঠা মাথায় মালিশ করলে মাথাব্যথা সেরে যায়।
সজিনা পাতার অপকারিতাঃ
সজিনা পাতার প্রচুর উপকারী দিক থাকা সত্ত্বেও কিছু অপকারী দিকও রয়েছেঃ
পেটের সমস্যা হতে পারেঃ
সজিনা পাতাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও মিনারেল। অতিরিক্ত সজিনা পাতা খেলে দেহে ক্ষুদামন্দা দেখা দিতে পারে এর সাথে ডায়রিয়া ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে।
ব্লাড প্রেসার এর সমস্যাঃ
যাদের দেহের রক্তচাপের পরিমাণ অত্যন্ত কম তাদের সজিনা পাতা না খাওয়াই উত্তম। কেননা সজিনা পাতা দেহের রক্তচাপের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তবে আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় সজিনা পাতা খেতে পারেন।
দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমের ক্ষতিঃ
সজিনা গাছের পাতা ও ডাটা আমাদের দেহের জন্য উপকারী হলেও, সজিনা গাছের পাতার সাথে থাকা ডাল আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই ডালগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যার ফলে আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে সজিনা পাতা খাওয়ার সময়, যেন এর ডাল কোনভাবেই আমাদের খাবারে না মিশে। এছাড়াও যাদের দেহের রক্ত তুলনামূলক পাতলা তাদের জন্য সজিনা পাতা এড়িয়ে চলাই উত্তম।
সজিনা পাতা খাওয়ার পদ্ধতিঃ
সজিনা পাতার শরবতঃ
আমরা সজিনা পাতা গুড়া করে তা দিয়ে জুস তৈরি করতে পারি যা আমাদের দৈনিক খাবারের সাথে শরবত হিসেবে খেতে পারি।
সবজিঃ
ভারত উপমহাদেশে গ্রীষ্মকালীন সবজি হিসেবে সজিনা পাতার প্রচুর কদর রয়েছে, আমাদের দেশের মেয়েরা সজিনা ডাটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পদ রান্না করে থাকে। যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ।
চা হিসেবে সজিনা পাতার ব্যবহারঃ
যদিও সজিনা পাতার চা আমাদের দেশে তেমন প্রচলিত নয়। তবে স্বাস্থ্য সচেতন লোকদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এই চা রয়েছে। এইটা বানানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ, সজিনা পাতা ব্লেন্ডারে গুড়ো করে সহজেই আমরা বাসায় এই চা তৈরি করতে পারি।
সজিনা পাতা গুড়ো করা ও সংরক্ষণের নিয়মঃ
আমরা বাসায় বসে থেকেই সজিনা পাতা গুড়ো ও সংরক্ষণ করতে পারি। প্রথমেই সজিনা গাছ থেকে, তাজা দেখে সজিনা পাতা পাড়তে হবে। এরপর এই পাতাগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পর, একটি পরিষ্কার ছাকনিতে পাতাগুলো রেখে দিতে হবে যাতে পাতাগুলো আবার শুকিয়ে ঝরঝরে হয়ে যায়। পাতাগুলোর শুকিয়ে ঝরঝরে হয়ে যাওয়ার পর আলাদা একটি পাত্রে রেখে রোদে শুকাতে দিতে হবে। এবার একটি শিল-পাটা বা ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পাতাগুলোকে মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গুড়ো গুলো যেন দানা দানা না হয়ে একদম ঝরঝরে হয়।
এরপর গুড়ো গুলো সংরক্ষণের জন্য একটি বায়ু নিরোধক পাত্র ব্যবহার করতে হবে। এই সময় কাচের পাত্র ব্যবহার করা উত্তম, প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করলে সজিনা গুড়ার গুনাগুন নষ্ট হতে পারে।
সজিনা পাতা কিনতে পাওয়ার স্থান ও দামঃ
আমাদের দেশের শহর ,গ্রাম,বন্দর ,মফস্বল প্রায় সব জায়গাতেই সজিনা পাতার গুড়ো কিনতে পাওয়া যায়। তবে উত্তম হলো সজিনা পাতার গুড়ো না কিনে একটু কষ্ট করে নিজেই বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া।
পরিশেষঃ
সজিনা পাতার উপকারী গুনাগুনের কারণে দিনকে দিন এর চাহিদা বাড়ছে। এটিকে একদিকে যেমন সবজি হিসেবে আমরা খেতে পারি, আবার ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি এমনকি রূপচর্চার কাজেও একে ব্যবহার করা যায়। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় এটি আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী, তবে হ্যাঁ, এর অপকারী দিকগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারি।