Uncategorizedহোমিও

কানে ব্যথা ও তার হোমিও চিকিৎসা

কানে ব্যথা সমস্যা ছোটদের এবং বড়দের উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। কানে ব্যথা বেশ যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। এর কারণে মেজাজ খিটখিটে হয় থাকে। কানে ব্যথা তীব্র হাতে পারে এবং জ্বালা পোড়ার অনুভূতিও হতে পার। এক কানে বা উভয় কানে ব্যথা হতে পারে। কানে ব্যথার মূল কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত নিন্মে আলোচনা করা হলো।

কানে ব্যথার কারনগুলো :

কানে ময়লা জমা । বহিঃকর্ণে কোনো বস্তু আটকে গেলে । মধ্যঃকর্ণে কফ জমে গেলে ।
কানের পর্দা ফেটে গেলে । কানে প্রদাহের সৃষ্টি হলে । মধ্যঃকর্ণের অস্থিগুলো নড়াচড়া না করলে । অন্তঃকর্ণের চাপ বৃদ্ধি পেলে ।
শ্রবণ-সংক্রান্ত স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে কানের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে।

এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হতে পারে কানে ব্যথা। যেমন – গলা ব্যথা বা চোয়ালের ব্যথার কারণেও হতে পারে কানে ব্যথা।

অসুখ জনিত কারন :

কানের পর্দার বাহিরের নালীতে ইনফেকশন হলে।
কানে একজিমা হলে।
কানে ময়লা জমিলে।
আক্কেল দাঁতের সমস্যা হলে।
কানে কোন কিছুর আঘাত লাগিলে।
টনসিলের কারনে ও হতে পারে।
ঠান্ডা জনিত কারনে।
সাইনোসাইটিসের ব্যথার করনেও হতে পারে।

কান ব্যথার প্রভাব :

ব্যথার কারনে ঘুম হয় না।
শিশুদের ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।
নাক দিয়ে পানি পড়ে।
কানে কম শুনে।
শিশু শুধু চিৎকার করে কান্না করে।

কান ব্যথার হোমিও চিকিৎসা :

নিম্নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন ঔষধের সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেওয়া হল।হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা তাই উল্লেখিত ঔষধ গুলি ছাড়াও রোগীর লক্ষণের উপর নির্ভর করে আরো ঔষধ আসিতে পারে।

একোনাইট :

ঠান্ডা লাগার কারনে হঠাৎ করে কানে ব্যথা-বেদনা যন্ত্রনা হয়। কটকট দপদপ করে, ছটফটানি ও ভয় কাজ করে। কোন প্রকার শব্দ বা বাদ্যযন্ত্র সহ্য হয় না।

ক্যামোমিলা :

কানের ভিতর ব্যথা, কান কটকটানি বেদনা। কানে ব্যথা বাহিরে হাটিলে উপশম হয়, ঘরে টুকিলে কানের ব্যথা বৃদ্ধি হয়। শিশু কোলে নিয়ে হাটলে ভাল হয়।

বেলেডোনা :

হঠাৎ আসে কিছুক্ষণ ব্যথা করে আবার ধীরে ধীরে চলে যায়, চুপ করিয়া থাকিলে ব্যথার উপশম হয়, কথা বলিলে বৃদ্ধি। কোন কিছু ভাল লাগেনা, কারো ভালো কথা শুনতেও বিষের মত মনে হয়, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি।

পালসেটিলা :

কানে ভয়ানক বেদনা ও দপদপ করে, কানে যে পুঁজ হয় তাহা অত্যন্ত ঘন এবং হলদে বা একটু সবুজ রঙের। বিশেষ করে মহিলাদের কানের ব্যথায় ভালো কাজ করে।
তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ও নির্দেশনা ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।

সতর্কতা :

সাধারণত কানে খৈল জমলে বা ভাইরাস ইনফেকশন বা সর্দি-জ্বরের পর কানে প্রদাহ থেকে কান ব্যথা হতে পারে।
অনেক মা তার শিশুকে সুপাইন বা শোয়ানো অবস্থায় দুধ বা অন্য কোনও শক্ত খাবার খাইয়ে থাকেন। এতে শিশুর কান পাকার সম্ভাবনা থাকে, যা আমাদের দেশের শিশুদের প্রায়ই হয়ে থাকে। শিশুদের কান ও নাকের সংযোগকারী নালী বা ইউস্টেশিয়ান টিউব মোটা ও সমান্তরাল থাকে। পক্ষান্তরে শ্রুতিনালীও চওড়া ও সমান্তরাল থাকে বলে দুধ বা অন্য খাবার এ নালী দিয়ে মধ্যকর্ণে প্রবেশ করে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাচ্চাকে সবসময় মাথা উঁচু করে বা বসিয়ে খাওয়ানো উচিত।

অন্যান লেখা পড়তে রোগবালাই লেখায় ক্লিক করে বিষয় পছন্দ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X