রুপচর্চাহারবাল

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া পদ্ধতি। রুপচর্চায় কি করবেন?

ত্বক ফর্সা মানেই সুন্দর নয়! কিন্তু সৌন্দর্যের একটি বৈশিষ্ঠ হচ্ছে ফর্সা ত্বক। আর এই ত্বক নিয়ে কালো বা শ্যামারা দিনরাত চেষ্টা করে যায় একটু ফর্সা কিভাবে হওয়া যায়। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া পদ্ধতি র মধ্যে, কয়েকটি কার্যকরী টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

ত্বক কালো হওয়ার কারন :

মানুষের শরিরের চামড়া, চুল ও চোখের রংয়ের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় মেলোনিন এর প্রভাবে। মানুষের গায়ের রং এই মেলানিনের উপস্থিতির কম বেশির উপর নির্ভর করেই ফর্সা, কালো নির্ধারিত হয়। নানা রকম বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমানিত হয় যে এই মেলানিনের আধিক্যের কারনেই মানুষের গায়ের রং কালো হয়। বংশানুক্রমে জিনগত বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতায় ত্বক ও চুল এর রংয়ের এই ভিন্নতা চলে আসে।

ত্বক ফর্সা করার পদ্ধতিগুলো :

সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দুই দিন নিজের মুখের যত্ন নিন। ভালো করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে সেদিন নানা ধরনের স্ক্রাব, ফেসওয়াশ দিয়ে। উপটান অথবা যে কোনো ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ফেসপ্যাকের ক্ষেত্রে ভালো হয় যদি কেউ ব্যবহার করে ঘরে বানানো কোনো প্যাক ব্যবহার করলে। কারণ বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রসাধনীতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যা স্কিনের জন্য বরাবরই ক্ষতিকারক।

ত্বক ফর্সা করে-ওটমিল ও টকদই :

রাত্রে ১ টেবিল চামচ ওটমিল গুড়া সামান্য পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে নাস্তার পর, আরো ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে, মাস্ক তৈরী করে নিবেন। এবার সমস্থ মুখে মেখে নিন। ১ ঘন্টা রেখে অথবা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যাবহার করুন। ত্বক ফর্সা করার জন্য বেস্ট ফেস প্যাক হিসাবে, ওটমিল ও টকদই খুব ভাল একটা পদ্ধতি। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া পদ্ধতি র অন্যতম একটি টিপস এটি।

ত্বক ফর্সা করতে মিক্সড ফর্মুলা :

২ চামচ পেঁপের রস, ২ চামচ টকদই, ২ চামচ এলমন্ড অয়েল, ও ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার নিন। ভাল করে মেশান এবং ১-২ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। অতঃপর ১ টি ডিমের সাদা অংশটুকু নিন, ও ১ চামচ গ্লিসারিন সহ ফ্রিজে রাখা মিশ্রনের সাথে আবার মেশান। সারা মুখে ঘন করে মেখে নিন। ৩০-৪০ মিনিট রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করুন। ত্বক ফর্সা না হয়ে উপায় নাই।

চেহারায় লাবণ্য আনবে উপটান :

উপটান একটি আয়ুর্বেদীক মিশ্রন। প্রচীন বৈদ্যরা এই উপটান ব্যাবহারের পরামর্শ দিতেন। এই মিশ্রনে সাধারনত হলুদ, মেথী, তুলশী, নিম, চন্দন, মশুরডালের বেসন দিয়ে তৈরী করা হয়। এটি হাজার বছর ধরে বিবাহের কনে সাজানো থেকে প্রাকৃতিক রুপচর্চায় ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। এবং এই উপটানের ব্যাবহারের ফলে, ত্বকের রং ফর্সা হওয়া ছাড়াও উজ্জলতা ও বলিরেখায় ভাল কাজ করে। তাই সপ্তাহে ১ দিন হলেও এই ফর্মুলা ব্যাবহার করে যাবেন। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে এটাও সহজ এবং সক্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X