রোগ নির্নয়স্বাস্থ্য টিপস

যোনীপথে চুলকায় কেন | ঔষধ জেনে নিন

হয়তো আপনার উপকারে আসবে, যদি আপনি নারী হন।
অনেক নারীই যোনিপথ বা ভ্যাজাইনার সংক্রমণ এ ভুগে থাকেন। এই অংশের সংক্রমণ ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে যোনিকে ভালো রাখা যায়। জেনে নিন যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কিছু পদ্ধতির কথা। নিরাপদ যৌনতার জন্য ও যত্ন নেয়ার প্রয়োজন।

বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান যোনীপথের ক্ষতি করে :

সাবানের ক্ষার বা পরিষ্কার করার উপাদান কখনো কখনো শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ভ্যাজাইনা ভালো রাখতে এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না। এর বিকল্প খুজে নিতে পারেন। অবশ্য সাজেশন হিসাবে বলতে পারি, গ্যাকোটাচ সাবান ব্যাবহার করতে পারেন।

যোনীপথ শুষ্ক রাখুন :

যোনি এলাকা কেবল পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, একে শুষ্কও রাখতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ভেজাভাব সংক্রমণ তৈরি করে। তাই পানি দিয়ে পরিষ্কারের পর জায়গাটিকে তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করুন। এর জন্য একটা তোয়ালে বা টিস্যু আলাদা করে লুকিয়ে রেখে দিতে পারেন।

সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন :

যোনিস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে আঁটসাঁট বা কালো রং এর অন্তর্বাস বা পেন্টি ব্যবহার করবেন না। এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। সুতির আন্ডারপ্যান্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ঘুমানোর সময় আঁটসাঁট পায়জামা ব্যবহার করবেন না।

স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন :

মাসিকের সময় অনেকেই হয়তো একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক নয়। এতে জায়গাটিতে দুর্গন্ধ হয় এবং সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরপর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। এতে হয়ত ব্যায়বহুল মনে হতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এটা জরুরী।

বেশী করে পানি পান করুন :

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং যোনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ২-২.৫ লিটার পানি পান করা আবশ্যক। এতে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও দূরীভুত হয়। স্বাস্থ্যও ভাল থাকে, রোগজীবাণু এত সহজে আক্রমন করতে পারেনা।

পুষ্টিকর খাবার :

সংক্রমণ থেকে ভ্যাজাইনাকে মুক্ত রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি শুধু ভ্যাজাইনাকেই ভালো রাখবে না, দেহের অন্যান্য অঙ্গগুলোও ভালো রাখবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন বলেন, যোনির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত দই খাওয়া বেশ কাজে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত দই রাখুন।
আরেকটি গুরুত্বপুর্ন কথা- যদি সাদা স্রাব বেশি ভাঙ্গে বা জায়গাটা সব সময় ভিজে থাকে, তাহলে বিষয় টা অবহেলা করবেন না।
ডাক্তার দেখাবেন এবং সাথে সাথে চিকিৎসা নিবেন। নিজের যত্ন নিজেকে নিতে হবে তাহলে নিজে সুস্থ থাকবেন।

অস্বাস্থ্যকর যোনী শুধু নিজের জন্য নয়, স্বামী ও আগত সন্তানের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। যেমন লিকোরিয়া, গণোরিয়া সহ বিভিন্ন যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। তাই এসব চিন্তা মাথায় রেখে এবং ভ্যাজাইনা বা যোনিপথের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন –

ক্লোট্রিমাজল কিসের ঔষধ জানেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X