এলার্জি কেন হয় ? এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়!
মানব শরীর একটি যন্ত্র বিশেষ। যেকোন কারনে বা কোন অংশে ক্ষয় হলে, যন্ত্র বিকল হয়। তেমনি মানব শরীর কোন মুহুর্তে, বাহিরের রোগ জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীরের ঐ সকল রোগ জীবানু থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রচেস্টাকে Immunity বলে। এবং ক্ষতিকারক জীবানু ও প্রোটিনকে Antigen বলে। রোগ জীবানু থেকে শরীরকে রক্ষা করার যে প্রতিরোধক শক্তি থাকে, তাকে এন্টিবডি বলে।
এসব এন্টিজেন ও এন্টিবডি একত্রিত হয়ে, শরীরের উপকার না করে, কোন রোগ সৃস্টি করলে তাকে এলার্জি Allergy বলে।
এলার্জির কারন :
তখন ঐ এন্টিজেনকে এ্যালারজেন বলা হয়ে থাকে। এই এলারজেন শরীরে প্রবেশ করলে, ধীরে ধীরে বা সাথে সাথেই প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারো কারো মতে রক্ত দূষিত হয়ে এরোগ হয়। আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে, যকৃতের দোষে বিভিন্ন খাদ্য থেকেও এলার্জি হতে পারে।
এলার্জি কত প্রকার :
একেকজনের একেক ধরনে এলার্জি দেখা দেয়। কারো খাদ্য থেকে, আবার কারো ঠান্ডা লাগা থেকে, কখনও ত্বকে, আবার কখনও নাক, কান, বা গলায়ও এলার্জি দেখা দেয়।
Allergy নিয়ে গবেষনা এখনও শেষ হয়নি। এলার্জির প্রকৃত রহস্য এখনও অধরাই রয়ে গেছে। তবে বিশ্বজুরে গবেষনা এখনও চলছে।
চিকিৎসকদের মতে, যেসকল খাদ্যে এ্যালার্জি হতে পারে, সেসকল খাদ্য আপাদত বন্ধ রাখা উচিত। তবে এসময় একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেয়াও দরকার। কারন, এমন খাদ্য হয়ত পরিত্যাগ করতে হবে, তার আরেকটি বিকল্প না থাকলে রোগী অন্য সমস্যায় ভুগতে পারে।
এলার্জি জনিত রোগ :
ফুড এলার্জি, আর্টিকেরিয়া, রিউমেটিক ফিভার, রিউমেটিক অর্থাইটিস, এলার্জিজনিত সর্দি ইত্যাদি।
হলিস্টিক চিকিৎসা :
ইউনানী বা আয়ুর্বেদীয় অনেক প্রতিস্ঠান শরবত মুছাফফী, বা সারিবদ্যারিস্ট জেনেরিক দিয়ে সিরাপ বাজারজাত করে থাকে। এগুলো রক্ত পরিস্কারক হিসাবে চমৎকার কাজ করে। নিয়মানুযায়ী ২-৩ মাস খেলে এলার্জি থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। এছাড়াও ত্রিফলা, কালোজিরা, এসব প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখলে, Allergy তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা।
এলার্জিযুক্ত খাবার ও পরিবেশ:
ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বেগুন, পুঁইশাক, দুধ, মাখন, পনির, ঘোল, ইত্যাদি।
সিনথেটিক কাপড়েও এলার্জি বাড়ে।
ধূলাবালি, অতিরিক্ত গরম, আবার খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায়ও বেড়ে যেতে পারে।
বেশীদিন Allergy থাকলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এর সঠিক চিকিৎসা ও পথ্যসহ বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা :
রক্ত পরীক্ষা (রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কিনা তা নির্ণয়)।
সিরাম আইজিইর মাত্রা (সাধারণত এলার্জি রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা বেশি হয়)।
স্কিন প্রিক টেস্ট (এ পরীক্ষায় রোগীর চামড়ায় বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে এ পরীক্ষা করা হয় এবং এ পরীক্ষাতে কোন কোন জিনিসে রোগীর এলার্জি আছে তা নির্ণয় করা হয়)।
বুকের এক্স-রে (হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে বুকের এক্স-রে করে বোঝা যায়, অন্য কোনো কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা)।
স্পাইরোমেট্রি (এ পরীক্ষায় রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়)।