ঔষধ পরিচিতি

Frulac 20-40 mg Tablet কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়ম

Frulac বা Lasix Tablet 20-40 mg পর্যন্ত বাজারজাত হয়। এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ বিস্তারিত নিচে দেয়া হলো।

ফ্রুলাক ট্যাবলেট কি কাজ করে

ফ্রুল্যাক ২০ ও ফ্রুল্যাক ৪০ ট্যাবলেট লুপ ডাইউরেটিক ফিউরোসেমাইড এবং পটাশিয়াম স্পেয়ারিং ডাইউরেটিক স্পাইরোনোল্যাকটোন এর একটি কম্বিনেশন ঔষধ । ফিউরোসেমাইড এবং স্পাইরোনোল্যাক্‌টোন এর দুইটি ভিন্ন কিন্তু পরিপূরক কার্যপ্রণালী আছে । ফলে যখন এদের একসাথে প্রয়োগ করা হয় তখন সিনারজিস্টিক বা সম্মিলিত ডাইউরেটিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।

ফিউরোসেমাইড উপাদান কিডনীর এসেনডিং লুপ অব হেনলির Na + / K + / 2CI- কো – ট্রান্সপোর্টারকে বাঁধা প্রদান করে । এবং সোডিয়াম , পটাশিয়াম ও ক্লোরাইড এর পুনঃশোষণ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে মূত্রে সোডিয়াম ও পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে । এই বৈশিষ্ট্যের দ্বারা ফিউরোসেমাইড পটাশিয়াম হারানোর পরিমাণ বৃদ্ধি করে ।

আরও পড়ুনঃ Zofra 8 Tablet কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত

স্পাইরোনোল্যাক্‌টোন কিডনীর ডিস্টাল টিউবিউলে এলডোস্টেরন হরমোনকে বাঁধাদানের মাধ্যমে পটাশিয়াম এর বিপরীতে সোডিয়াম পুনঃশোষণকে বাঁধা দেয় । এর ফলে সোডিয়াম নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ফিউরোসেমাইড প্রভাবিত পটাশিয়ামের অতিরিক্ত ক্ষয় হ্রাস পায় ।

ফ্রুল্যাক ট্যাবলেট এর কাজ কি

ফুল্যাক- ২০ : কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিউর , এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন , লিভার সিরোসিসের ফলে এসাইট্স , ইডেমা , হাইপারএলডোস্টেরোনিজম । ফ্রুল্যাক ৪০ পূর্বে এই কম্বিনেশনের চিকিৎসা নেয়া রোগী , যাদের উচ্চমাত্রার ফিউরোসেমাইড ও স্পাইরোনোল্যাকটোন প্রয়োজন ।

ল্যাসিক্স ২০ – ৪০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ল্যাসিক্স ২০ : দৈনিক ১ টি থেকে ৪ টি ট্যাবলেট ( ৫০ থেকে ২০০ মি.গ্রা . স্পাইরোনোল্যাকটোন এবং ২০ থেকে ৮০ মি.গ্রা . ফিউরোসেমাইড ) রোগীর প্রয়োজন অনুসারে । ল্যাসিক্স- ৪০ : দৈনিক ১ টি থেকে ২ টি ট্যাবলেট ( ৫০ থেকে ১০০ মি.গ্রা . স্পাইরোনোল্যাক্‌টোন এবং ৪০ থেকে ৮০ মি.গ্রা . ফিউরোসেমাইড ) রোগীর প্রয়োজন অনুসারে ।

ফ্রুল্যাক ট্যাবলেট এর প্রতিনির্দেশনা

ফ্রল্যাক- 20MG ও ফুল্যাক 40MG তীব্র কিডনী রোগীদের ক্ষেত্রে ও যেসব রোগী ফিউরোসেমাইড ও স্পাইরোনোল্যাকটোন এর প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল , তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয় ।

সতর্কতা ও সাবধানতা এই ঔষধ গ্রহণ করছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ফুয়িড ও ইলেকট্রোলাইট এর ভারসাম্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত । Frulac 20 ও frulac 4০ ডায়াবেটিক , প্রস্টেট হাইপারট্রফি , হাইপোটেনশন ও হাইপোভলেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত । গলার স্বরের পরিবর্তন হতে পারে ।

Lasix Tablet এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

lasix tablet এর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অবসন্নতা , রক্তের সমস্যা , চামড়ায় র‍্যাশ , মাংসপেশীর খিঁচুনি , ডায়রিয়া , কোষ্টকাঠিন্য , বমি বমি ভাব , অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ , জন্ডিস , ক্ষুধামন্দা , ভাসকুলাইটিস , কানে ভোঁ ভোঁ করা , কানে কম শোনা , মাথাঘোরা , ধীরে সাড়া দেওয়া অথবা একেবারেই সাড়া না দেওয়া , বমি বা পেট ব্যথা , রক্তে গ্লুকোজের আধিক্য , রক্তচাপ কমে যাওয়া , গাইনোকোমাস্টিয়া , ঋতুচক্রে অনিয়ম , রক্তে বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা এবং পুরুষত্বহীনতা ।

গর্ভাবস্থায় ও মাতৃদুগ্ধদানকালে Frulac tablet এর ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় Frulac 20 ও frulac 40 সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন প্রত্যাশিত উপকারিতা , এর ঝুঁকির চেয়ে বেশি হবে । ফ্রুল্যাক ২০ ও ফ্রুল্যাক ৪০ মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় । কাজেই মাতৃদুগ্ধদানকালে এর ব্যবহার পরিহার করা উচিত ।

শিশু এবং কিশোরকালে ল্যাসিক্স ট্যাবলেট এর ব্যবহার

শিশু এবং কিশোরদের ব্যবহার উপযোগী নয় । ঔষধের আন্তঃক্রিয়া ক্রুল্যাক – ২০ অথবা ফ্রল্যাক – ৪০ এসিই ইনহিবিটর বা পটাশিয়াম সল্টের সাথে ব্যবহার করলে হাইপারক্যালিমিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে ।

স্পাইরোনোল্যাক্‌টোন রক্তে ডিজক্সিন জাতীয় কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় । কর্টিকোস্টেরয়েড পটাশিয়াম হারানোর প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয় এবং ফিউরোসেমাইডের সাথে ব্যবহার হলে মারাত্মক ঘাটতি তৈরি করে । রক্তচাপ কমানোর ঔষধের সাথে ব্যবহার হলে তা ব্যাপকভাবে রক্তচাপ কমিয়ে রোগীকে নিস্তেজ করে ফেলে ।

আরও পড়ুনঃ Alcet 5mg Tablet কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত

ফিউরোসেমাইডের রক্তচাপ হ্রাস ও ডাইউরেটিক ক্রিয়া ইনডোমিথাসিন বা অন্যান্য নন – স্টেরয়েড ব্যথানাশক ঔষধের সাথে একত্র ব্যবহারে কমে যায় ।

মাত্রাধিক্য ফিউরোসেমাইড : তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী মাত্রাধিক্যতা প্রাথমিকভাবে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট হ্রাস এর পরিমাণ ও ফলের উপর নির্ভর করে , যেমন হাইপোভলেমিয়া , ডিহাইড্রেশন , হিমোকনসেনট্রেশন , হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়া ।

ফিউরোসেমাইড এর নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক নেই । গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং সক্রিয় চারকোল ব্যবহার করা যেতে পারে । স্পাইরোনোল্যাকটোন : মাত্রাধিক্যতার কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ও তরল এর ভারসাম্যহীনতা , নিদ্রালুতা এবং বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে । স্পাইরোনোল্যাক্‌টোন এর নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক নেই । গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং সক্রিয় চারকোল ব্যবহার করা যেতে পারে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X