গ্যাস্ট্রিক এর চিকিৎসা | নিজের চিকিৎসা নিজেই করুন
গ্যাস্ট্রিক এর জ্বালায় কি অতিষ্ঠ? কোনভাবেই থামাতে পারছেননা? অবশেষে হয়ত ডাক্তারকে ভুল বুঝতে শুরু করেছেন। ভাবছেন এ জ্বালা আর কমবেনা। এভাবেই হয়ত আপনার জীবন কাঠাতে হবে। অসহ্য যন্ত্রনা নিয়েই, বাকি জীবন কাঠাতে হবে।
আসলে আমাদের জীবন যাত্রায় যা প্রয়োজন, তা ইচ্ছাকৃত ই হউক আর অনিচ্ছাসত্বেই হউক, আমরা আমাদের খাবারে রসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রণ অতিমাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছি। তা হতে পারে খাদ্য উৎপাদনে, বা খাদ্য সংরক্ষনে, বা খাদ্য গ্রহনে। আর এই ব্যাবস্থাপনা থেকে হয়ত আমরা আর বের হতে পারবনা। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে, আমাদের নিত্য সমস্যা হিসাবেই ধরে নিতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়
রসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রন, বনাম অর্গানিক বা জৈবের ব্যাবহার পরিহারের কারনে, আমাদের পাকস্থলি ও লিভার ধীরে ধীরে কার্যকারীতা হারাচ্ছে। তাই খাদ্যের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাহত হয়ে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরী করছে। এগুলো অনেক লম্বা কথা।
আমি সর্টকাটে পাঠকদের বুঝানোর চেস্টা করছি। এই গ্যাস্ট্রিকের নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা না করতে পারলে, একসময় মৃত্যু যন্ত্রনাও আরও আরামদায়ক মনে হবে। তাই এখনি এবং আজ থেকেই এর অর্গানিক প্রতিকার শুরু কারতে হবে।
অনেক রোগীকে, ডাক্তাররা ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল ও শেষমেশ ডেক্সিল্যান্সোপ্রাজল দিয়েও যখন গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেননা। তখন ডাক্তাররাও চিন্তিত হয়ে পড়েন। ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিস্টানও একের পর এক ঔষধ তৈরী করতে করতে প্রায় ক্লান্ত। এখন তো মাপস প্রযুক্তি ব্যাবহার করেও কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেনা। অবশেষে ডাক্তারগন একাধিক ঔষধ ব্যাবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
গ্যাস্ট্রিক এর প্রতিকার
কিন্তু আমরা চাইলেই নিজেদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে মামুলে ব্যাপার বলে, বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারি।
তা আবার দুভাবে করবো।
(১) আরক নানখা বা মুস্তাকারীস্ট সিরাপ ২-৩ চামচ করে ৩-৪ বার ২ মাস চালিয়ে যাবো। এবং দিনার অথবা রোহিতকারীস্ট সিরাপ ২-৩ চামচ করে দিনে ২-৩ বার ২ মাস খেতে হবে। ২ টি ঔষধই একসাথে খেতে হবে।
এখানে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী দুটোই লেখা আছে। যেকোন ভাল প্রস্তুতকারী প্রতিস্টানের ঔষধ পছন্দ করে নিতে পারেন। আমি সাজেশন দিতে পারি, হামদর্দ, ইবনেসিনা, ফেনী দাওয়াখানা, একমি, ইটিল্যাব, এসব আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী ঔষধগুলো ভাল মানের হয়।
(২) বাজারে অনেক বানিয়াতির দোকান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে আপনাকে ৪ টি জিনিস কিনতে হবে।
(ক) ইসুবগুল ( ভুষি নয় ) বলবেন- দানা দেওয়ার জন্য।
(খ) তালমাখনা। (গ) কাথিলা (ঘ) তুকমাদানা।
এগুলো একত্রে সমপরিমান নিয়ে। আটা ভাঙ্গানোর মেশিনে বা ব্লেন্ডারে পাউডার করে নিবেন।
এবার এই পাউডার প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাবার আগে বা পরে, একগ্লাস পানির সাথে ১-২ চামচ পাউডার মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। এভাবে চলতে থাকুক, যতক্ষন না আপনার পাকস্থলি ও লিভার আগের মত অবস্থায় ফিরে না আসে।
আরেকটা জিনিস হয়ত সবার ঘরেই আছে, না থাকলে কিনে নিবেন। তা হলো সুন্নতি পানীয় সিরকা বা ভিনেগার। প্রতিদিন ২ বার ১ চামচ করে, পানি মিশিয়ে বা পানি ছাড়াই খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার হয়।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ
সহজে হজম হয়না এমন খাবার এড়িয়ে চলবেন। খাদ্য উৎপাদনে রসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যাবহারের বিকল্প খুঁজে বের করুন। বেশী তৈলাক্ত খাবার পরিত্যাগ করুন। বেশী মশলাযুক্ত খাবার খাবেননা। একই সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতে খাবারের পর, একটু হাটুন। মৌসুমী ফল সামান্য হলেও প্রতিদিন খাবেন। দিনে অন্তত ২ লিটার পানি খাবেন।