মানুষিক স্বাস্থ্যরুপচর্চাসাধারন জ্ঞান

চুল পড়ার কারন ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পর্কে জেনে নিন

চুল পরার কারণসমূহ

• জেনেটিক বা পারিবারিক ইতিহাস
• অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস
• মানসিকচাপ
• দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা
• হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
• ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কারা হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে পারেন

• যেসব পুরুষদের পুরুষ প্যাটার্ন টাক আছে
• যেসব নারীদের অতিরিক্ত চুল পড়া বা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যা রয়েছে ` মাথার ত্বকে আঘাতের কারণে চুল পড়ে গেছে এমন ব্যক্তিরা
• যারা স্থায়ী টাকের অধিকারী
• যারা চুল না থাকার কারণে ভীষণ মানসিক টেনশনে আছেন ।
• যারা বাজার থেকে কিনা চুল ঘামের মাধ্যমে লাগিয়ে ত্বকে ইনফেকশন করে ফেলেছেন ।

যেসব ব্যক্তিদের চুল প্রতিস্থাপন করতে নিষেধ

• যাদের দীর্ঘমেয়াদি ওষুধের কারণে চুল পড়ে গেছে বা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন ।
• যে মহিলাদের চুল পড়ার ধরনে রয়েছে যা পুরো মাথা বা মাথার ত্বকে বিস্তৃত ।
● ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতির জন্য যাদের মাথার পেছনের সাইটে বা অন্য জায়গায় পর্যাপ্ত চুল নাই ।
• আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরে মাথার ত্বকে পুরু ফাইব্রাস কেলয়ডের দাগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ।

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পূর্বে পদক্ষেপসমূহ

• হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন রোগীর প্রত্যাশা এবং পছন্দ নিয়ে আলোচনা করবেন , তাদের সর্বোত্তম পরামর্শ দেবেন ।
• ফলিস কপি পদ্ধতির আগে চুলের ঘনত্ব অ্যাক্সেস করতে এবং প্রতিস্থাপনের পরে পদ্ধতির ফলাফল জানার জন্য করা হয় ।
• চুল প্রতিস্থাপনের ফলাফল উন্নত করার পদ্ধতির আগে রোগীদের টপিকাল মিনোক্সিডিল এবং ভিটামিন বা পিআরপি থেরাপি দেয়া যেতে পারে ।
• ট্রান্সপ্ল্যান্ট ব্যর্থতা রোধ করতে অ্যালকোহল এবং ধূমপান বন্ধ করতে হবে ।

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পূর্বে যা করণীয়

• মাথার ত্বক জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয় ।
• মাথার যে অংশে চুল প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি করা হবে সেটিকে অসাড় করার জন্য স্থানীয় অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া হয় ।

আরও পড়ুন – ফেনাডিন ট্যাবলেট কিসের ঔষধ

চুল প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিসমূহ :

১. ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন : এই পদ্ধতিতে , সার্জন ” মাথার পেছন থেকে চুলসহ মাথার ত্বকের একটি ফালা কেটে ফেলেন বা কেটে নিয়ে আসেন । সার্জন মাথার ত্বকের এই সরানো অংশটিকে ছোট অংশটিকে টাক স্থানে প্রতিস্থাপন করে দেন ।

২. ফলিকুলার ইউনিট এক্সট্রাকশন : এই পদ্ধতিতে মাথার পেছন থেকে চুলের ফলিকলগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে তুলে নিয়ে আসা হয় এবং পরে চুল প্রতিস্থাপনের জায়গায় চুলগুলো স্থাপন করা হয় । এক সেশনে শত শত থেকে হাজার হাজার চুল প্রতিস্থাপন করা হয় । প্রতিস্থাপিত চুলগুলো নিরাময়ের জন্য ও রক্ত শোষণের জন্য কিছুদিনের জন্য মাথার ত্বকে ব্যান্ডেজ স্থাপন করা হয় । সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ৪-৬ ঘণ্টা সময় নিতে পারে । অস্ত্রোপচারের বা চুল প্রতিস্থাপনের ১০ দিন পরে সেলাইগুলো সরানো হয় বা ব্যান্ডেজ খোলা হয় ।

আরও পড়ুন – বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

চুল প্রতিস্থাপনের পর করণীয়

• হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পর চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন । মূলত ক্ষত শুকানো ও ব্যথা লাঘব করার জন্য ।
• চুলের পুনঃবৃদ্ধি করতে ডাক্তাররা মিনোক্সিডিল , ফিনাস্টারাইড বা কিছুদিন পর থেকে পিআরপি থেরাপি দিয়ে থাকেন ।
• আধা ভেদ যোগ্য ড্রেসিং স্থাপন করা হয় , যা রক্ত তরল সহজে নিঃসরণ হয় , যা প্রতিদিন পরিবর্তন করতে হবে ।
• প্রতিস্থাপিত স্থান অবশ্যই রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে এবং নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে ।
• চুল প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের ৩-৪ দিন পরে সাধারণত স্বাভাবিক কাজ করা যায় ।

আরও পড়ুন – জন্ডিস কি এবং জণ্ডিসের ঔষধ

আমরা সবসময়ই চেস্টা করি, কোন বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে। এখনও এই চেস্টায় আছি, যদি ঠিকানা ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন ফি জানতে পারি, তখন অবশ্যই এখানে আপডেট করা হবে।

আরও পড়ুন – ঘুমের ঔষধের নাম কি ও খাওয়ার নিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X