স্বাস্থ্য টিপস

IBS/আইবিএস কি – জটিল রোগ আইবিএস থেকে মুক্তির স্থায়ী উপায়

নিয়মিত পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়া, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদি হতে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (irritable bowel syndrome) বা আইবিএস এর লক্ষণ। আপনার যদি আইবিএস এর উপসর্গগুলো তীব্রভাবে দেখা দিয়ে থাকে, তবে জেনে রাখুন আপনি একাই এই রোগে আক্রান্ত নন।

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, দেশে ৪.৬ শতাংশ মানুষ আইবিএস রোগে ভুগছেন। শুধু দেশেই নয়, আমেরিকার মত উন্নত দেশেও ৭-১৬ শতাংশ মানুষ আইবিএস সমস্যার ভুক্তভোগী। কিন্তু পেট ব্যাথা কিংবা গ্যাস সমস্যা থাকা মানেই কি আইবিএস? কিভাবে এই রোগ চিহ্নিত করা হয়? আইবিএস এর চিকিৎসা-ই বা কি?

চলুন জেনে নেই আইবিএস নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উওর আমাদের আজকের প্রবন্ধে।

এই লেখার বিষয়বস্তু সমূহ:

আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) কি?

সহজ কথায়, আইবিএস হলো একগুচ্ছ পেটের সমস্যার উপসর্গ যা পরিপাকতন্ত্রের অস্বাভাবিকতার কারণে হয়ে থাকে। পেটে ব্যাথা, গ্যাস, তলপেট ফুলে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, অনিয়মিত মলত্যাগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদি আইবিএস এর উপসর্গ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইবিএস রোগীদের তীব্র মাথা ব্যাথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত নারী এবং অল্প বয়সী তরুনদের এই সমস্যা বেশি হয় এবং রোগের উপসর্গগুলো যুবক বয়সেই প্রকাশ পেতে থাকে। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় আইবিএস রোগীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় খুব বেশি প্রভাব ফেলে না, তবে রোগের তীব্রতা বেড়ে গেলে ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনের গতি ও কার্যক্রমে এর প্রভাব পরে।

আইবিএস কত প্রকার?

সাধারণত, আইবিএস এর লক্ষণগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয়:

আইবিএসডি (ডায়রিয়াপ্রধান আইবিএস)

আইবিএস এর সবথেকে সাধারণ প্রকারটি হলো আইবিএস-ডি। প্রায় ৭০% রোগীদের ক্ষেত্রেই এর উপসর্গগুলো দেখা যায় যার মধ্যে নিয়মিত ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, এবং পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি অন্তর্ভুক্ত।

আইবিএসসি (কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান আইবিএস)

প্রায় ৩০% রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় আইবিএস এর দ্বিতীয় প্রকার আইবিএস-সি। এর সাধারণ লক্ষনগুলো হলো নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, গ্যাস, এবং পেটে অস্বস্তি। সুতরাং, যদি আপনার ডায়রিয়াসহ পেটে ব্যাথা থাকে, তা আইবিএস-ডি এর লক্ষণ এবং যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটে ব্যাথা হয়, তা আইবিএস-সি এর লক্ষণ। 

আইবিএসএম (মিশ্র আইবিএস)

এটি সবথেকে বিরল প্রকারের আইবিএস, যা শুধুমাত্র ১০% রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এতে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং পেটে ব্যথা, গ্যাসসহ আইবিএস এর অন্যান্য প্রকারভেদের সকল লক্ষণ-ই থাকতে পারে।

আইবিএস কেন হয়?

বিস্তর গবেষণা এবং পরীক্ষার সত্ত্বেও আইবিএস রোগের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে আইবিএস হওয়ার একটি নয় বরং বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর ভারসাম্যহীনতা
  • অন্ত্রে সেরোটোনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
  • অন্ত্রের প্রদাহ
  • অন্ত্রের স্নায়ুর অত্যধিক সংবেদনশীলতা
  • মানসিক চাপ
  • পরিপাকনালির পেশিগুলোর অস্বাভাবিক সংকোচন এবং প্রসারণ
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং ওষুধ-এর প্রতিক্রিয়া

আইবিএস হলে কি কি সমস্যা হয়?

ব্যাক্তিভেদে আইবিএসজনিত সমস্যাগুলোর ধরন বিভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ সমস্যা যেগুলোয় প্রায় সব আইবিএস রোগী-ই আক্রান্ত হয়ে থাকেন তা হলো:

পেটে ব্যাথা

আপনার আইবিএস আছে কি নেই তা নির্ণয় করার একটি প্রধান উপায় হলো নিয়মিত পেটে ব্যাথা। খাবার পরিপাকের সময় আমাদের মস্তিষ্ক এবং পরিপাকতন্ত্র একসাথে কাজ করে। ফলে, আইবিএসের ন্যায় পরিপাকতন্ত্রের রোগে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক পরিপাকজনিত কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় দেখা দেয় তীব্র পেটে ব্যাথা। আইবিএসের ব্যাথা সাধারণত তলপেটেই হয়ে থাকে।

ডায়রিয়া

যদি আপনার আইবিএস-ডি হয়ে থাকে, তার একটি অন্যতম উপসর্গ হলো নিয়মিত ডায়রিয়া। প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ আইবিএস রোগী ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা, পেটে অস্বস্তি, এবং পানি মিশ্রিত পায়খানা দেখা যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য

আইবিএস-সি এবং আইবিএস-এম ধরণের আইবিএস হলে, এর রোগীরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগেন। যেহেতু আইবিএসের কারণে মস্তিষ্ক এবং পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাই এই রোগে মলত্যাগে কাঠিন্য অনুভূত হয়।

গ্যাস এবং পেট ফুলে যাওয়া

পরিপাক এবং অন্ত্রের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে আইবিএস রোগীদের অন্ত্রে প্রায়ই অতি মাত্রায় গ্যাস তৈরি হয়। গ্যাসের সমস্যার কারণে পেট ফুলে যাওয়া এবং বমি বমি ভাব ও হতে পারে।

মিশ্রিত লক্ষণ

আইবিএস-এম ধরণের আইবিএস হলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, গ্যাস, এবং পেটে অস্বস্তিসহ সব ধরনের লক্ষন দেখা দিতে পারে।

কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় আপনার আইবিএস আছে?

আপনার যদি আইবিএসের উপসর্গগুলো দেখা যায়, তাহলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত৷ আপনার চিকিৎসক রোগের লক্ষনগুলো হতে রোগ নির্ণয় করবেন কিংবা নিম্নের রোগ শনাক্তকারী পরীক্ষাগুলো দিতে পারেন:

  • রক্ত পরীক্ষা
  • কোলনস্কপি
  • মল পরীক্ষা

আইবিএস কি ভালো হয়?

না, আইবিএস একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি যা কখনোই সম্পুর্নভাবে নিরাময় করা যায় না। বরং, শুধুমাত্র এর লক্ষনগুলো অর্থাৎ ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদির চিকিৎসা করা সম্ভব। যদিও কিছু ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা আইবিএসের নিরাময় সম্ভব বলে জানা যায়, তবে এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।

আইবিএস এর ঔষধ

প্রথমত, আইবিএসজনিত উপসর্গের উপশমে রোগীদের খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, নির্দিষ্ট রোগীর শরীরের লক্ষনগুলোর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসক বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন, যেমন:

  • পেটে ব্যাথা কমানোর ঔষধ
  • এন্টি-কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরোধক ঔষধ
  • ট্রাইসাইকেলিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ ব্যাথা কমানোর জন্য
  • এন্টিবায়োটিক

আইবিএস (IBS) থেকে মুক্তির স্থায়ী উপায় কি?

যদিও আইবিএস এর নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ নেই, থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের উপসর্গগুলো নিরাময় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শরীরের ভেগাস নার্ভের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা যা অনেকাংশেই আইবিএস এর জন্য দায়ী। ভেগাস নার্ভ আপনার অন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের যোগসূত্র তৈরি করে এবং সঠিকভাবে খাবার পরিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় সিগন্যাল প্রেরণ করে।

এছাড়াও, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, নার্ভাসনেস, ইত্যাদি বিভিন্ন অনুভূতি নিয়ন্ত্রণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, এই ভেগাস স্নায়ুর কার্যক্রম ব্যাহত হলে পেটে ব্যাথা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন আইবিএসজনিত জটিলতা দেখা দেয়। আপনার ভেগাস নার্ভের কার্যক্রম স্বাভাবিক করে আইবিএস হতে নিরাময় লাভের জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

অন্ত্রনির্দেশিত হিপ্নোথেরাপি (Gut-Directed Hypnotherapy)

মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা আইবিএসের উপসর্গ দেখা দেওয়ার একটি অন্যতম কারণ। অন্ত্র-নির্দেশিত হিপ্নোথেরাপি মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে আপনার ভেগাস নার্ভ এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্যারাসিম্প্যাথেটিক নার্ভগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট নিউরোট্রান্সমিটার ক্ষরণে উদ্দীপিত করা হয়। ফলে, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ফলে আইবিএসের লক্ষনগুলো হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

ডায়াফ্রেমিটিক ব্রিদিং (Diaphragmatic Breathing)

ভেগাস স্নায়ুর কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার ফলে স্ট্রেস তৈরি হয় এবং স্ট্রেসের কারণেও ভেগাস স্নায়ুর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এই চক্র থেকে মুক্তি পেলে আইবিএসের চিকিৎসা সহজ হয়। তাই, ডায়াফ্রেমিটিক বা বেলি ব্রিদিং একটি অন্যতম উপায় আপনার ভেগাস স্নায়ু এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করার।

এক্ষেত্রে, আপনাকে একটি আরামদায়ক স্থানে শুয়ে নাক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিতে হবে। আপনার পেটকে যতটুকু সম্ভব কাজে লাগাতে হবে এবং ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে।

কগনিটিভ ডিফিউশন (Cognitive Defusion)

স্ট্রেস কমানোর এবং নিজের চিন্তার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো কগনিটিভ ডিফিউশন প্র‍্যাক্টিস করা। এক্ষেত্রে, আপনার মূল কাজ হলো সব ধরনের নেতিবাচক চিন্তা দূরে রাখা এবং নিজ সুস্থতার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া।

আইবিএস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

ঘরে বসেই আইবিএসের উপসর্গগুলো নিরাময় করার জন্য নিম্নের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুন:

  • নিয়মিত ব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করুন
  • মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং, ঘুরাঘুরি, ইত্যাদির মাধ্যমে স্ট্রেস কমান
  • খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন ফাইবার-জাতীয় খাবার
  • প্রোয়াবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট নিন
  • খাবার তালিকা হতে দুধ এবং অতিরিক্ত মশলা বাদ দিন।

আইবিএস রোগীরা কী খাবেন না?

আপনি যদি আইবিএস সমস্যায় ভুগে থাকেন, আপনার খাদ্যতালিকা থেকে নিম্নোক্ত খাবারগুলো বাদ দিন:

  • গ্যাস উৎপন্ন করতে পারে এমন সাদা বা বাদামি রংযুক্ত খাবার যেমন ফুলকপি, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মটরশুটি, মুলা, পেঁপে, পেয়াজ, আদা, রসুন, লবণ, ইত্যাদি।
  • ল্যাকটোজ বা গ্লুটেন জাতীয় খাবার যেমন দুধ, দই, চিজ। 
  • তাল বা গমের প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন গমের রুটি, পাস্তা, বিস্কুট, কেক, পিজা, এবং ব্রেড।
  • ক্যাফেইন যুক্ত তরল এবং শক্ত খাবার যেমন চা, কফি, কোলা, চকলেট ইত্যাদি।
  • অতিরিক্ত লবণ, ঝাল, এবং চর্বিযুক্ত খাবার

আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা

আইবিএসের রোগীদের জন্য একটি আদর্শ ডায়েট নিম্নরুপ:

খাবারের প্রকারউদাহরণ
সহজে হজমযোগ্য প্রোটিনডিম, ফ্যাটি ফিশ যেমন স্যালমন, হেরিং, কিংবা সার্ডিন
লীন মিটচর্বিছাড়া মাংস যেমন মুরগীর বুকের মাংস
স্বাস্থ্যকর সবজিগাজর, আলু, টমেটো, শাক
ফলমূলকলা, পেঁপে, স্ট্রবেরি, আঙুর, পেয়ারা
প্রোবায়োটিকদই, কিমচি

আইবিএস হলে কি ওজন কমে?

হ্যাঁ, আইবিএস হলে আপনার শরীরের ওজন স্বাভাবিকভাবেই কমে যেতে পারে। এর কারণ হলো আইবিএসের লক্ষণগুলো রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরের আদর্শ ওজন বজায় রাখা কঠিন করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আইবিএসের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে, যা অনেক রোগীর খাবার খাওয়া কঠিন করে তুলতে পারে। এছাড়াও, আইবিএসের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে, যা শরীর থেকে তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট বের করে দেয় যা ওজন কমার একটি অন্যতম কারণ।

শেষ কথা

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) একটি দীর্ঘস্থায়ী পেটের রোগ যার নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই। আপনি এই রোগে ভুগে থাকলে ডায়রিয়া, গ্যাস, পেটে ব্যাথা, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হবে আপনার নিত্য সঙ্গী। তাই, সবসময় চেষ্টা করুন স্বাস্থকর খাবার খেতে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে।

আপনার ডায়েট এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে এইসব উপসর্গ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পরিশেষে, নির্দিষ্ট কোন খাবারের ব্যাপারে পরামর্শ নিতে এবং আইবিএসের চিকিৎসা করতে অবশ্যই কোন ভালো চিকিৎসকের সহায়তা নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X