ঔষধ পরিচিতি

Nystat Drop কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত

নাইস্ট্যাটিন একটি ছত্রাক রোধক এন্টিবায়োটিক যা বিভিন্ন ধরনের ইষ্ট জাতীয় ছত্রাক দমন ও ছত্রাকনাশী হিসাবে কাজ করে । Nystat Drop একটি পলিইন এন্টিবায়োটিক যা স্ট্রেপটোমাইসেস নোরিসি থেকে প্রস্তুতকৃত ।

ট্যাবলেটঃ প্রতিটি ফিল্ম – কোটেড ট্যাবলেটে রয়েছে নাইস্ট্যাটিন ইউএসপি ৫,০০,০০০ ইউনিট । সাসপেনশন ঃ প্রতি মি.লি. সাসপেনশন (ড্রপে) রয়েছে নাইস্ট্যাটিন ইউএসপি ১,০০,০০০ ইউনিট ।

নাইস্ট্যাট কি রোগের ঔষধ

ছত্রাকের কোষ ঝিল্লীর ষ্টেরলের সাথে নাইস্ট্যাটিন যুক্ত হয়ে এটির পরিবর্তন আনে যাতে ছত্রাকসমূহ এর অন্তঃকোষীয় উপাদানসমূহ হারিয়ে বিনষ্ট হয় । প্রোটোজোয়া , ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের উপর নাইস্ট্যাটিন এর কোন কার্যকারিতা নেই । স্বাভাবিক মাত্রায় সেবনে এটি সামান্যই শোষিত হয় এবং প্রায় অপরিবর্তিত অবস্থায় মলের সাথে বের হয়ে যায় ।

Nystat Drop কি কাজ করে

ক্যানডিডা এ্যালবিকানস জনিত মুখগহ্বর , গলনালী এবং অন্ত্রের ক্যানডিডাল প্রতিরোধ এবং নিরাময়ের জন্য নাইস্ট্যাটিন ব্যবহৃত হয় । বাচ্চাদের জিহ্বায় সাদা আস্তরণ হলে Nystat Drop দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। ইহা ভ্যাজাইনাল ক্যানডিডিয়াসিসে আক্রান্ত মায়েদের সন্তানের জন্য কার্যকরী প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে ।

নাইস্ট্যাট খাওয়ার নিয়ম

নবজাতক ঃ ২ মি.পি. ( ২,০০,০০০ ইউনিট নাইস্ট্যাটিন ) দিনে চার বার সেব্য ( ১ মি.লি. করে মুখের উভয় পাশে ) ।
শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক ঃ ৪-৬ মি.লি. ( ৪,০০,০০০-৬,০০,০০০ ইউনিট নাইস্ট্যাটিন ) দিনে চার বার সেব্য ( অর্ধেক ভোজ করে মুখের উভয় পাশে ) ।

সাসপেনশন গলাধকরণ করার পূর্বে যত বেশিক্ষন সংক্রমিত অংশের সংস্পর্শে রাখা যায়, তত বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যায় ।
ইনটেসটাইনাল এবং ইসোফেজিয়াল ক্যানডিডিয়াসিস এর চিকিৎসায় দৈনিক ৫,০০,০০০ ইউনিট ( ১ টি ট্যাবলেট ) ৩-৪ বার মুখে সেব্য ।

প্রয়োজনে মাত্রা দ্বিগুন করা যেতে পারে । প্রাপ্তবয়স্কদের ইনটেসটাইনাল ক্যানডিডিয়াসিস এর প্রতিরোধক হিসেবে ১০,০০,০০০ ইউনিট ( ২ টি ট্যাবলেট ) দৈনিক সেব্য । রোগের পুণরাক্রমন প্রতিরোধে ক্লিনিক্যাল নিরাময়ের পর ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত গেবন চালিয়ে যেতে হবে । অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য ।

নাইস্ট্যাটিনের প্রতিনির্দেশনা

নাইস্ট্যাটিনের প্রতি সংবেদনশীলতা ছাড়া কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিনির্দেশনা নেই । সাবধানতা ও সতর্কতা সিস্টেমিক মাইকোসিসের চিকিৎসায় নাইস্ট্যাটিন ব্যবহার করা উচিৎ নয় । যদি কোন জ্বালাপোড়া বা সংবেদনশীলতা দেখা দেয় তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ ।

ইমিউনোসাপ্রেসিভ রোগীদের ক্ষেত্রে ওরাল ক্যান্ডিডিয়াসিসের চিকিৎসায় নাইস্ট্যাটিনের বিকল্প ছত্রাক রোধক এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা শ্রেয় ।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :

অধিক মাত্রায় নাইস্ট্যাটিন প্রয়োগে মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব , বমি , ডায়ারিয়া , পেট ফাঁপা ও ব্যথা , বদহজম দেখা দিতে পারে । বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঃ র‍্যাশ , আরটিক্যারিয়া ( চুলকানি ) , অতিসংবেদনশীলতা , এনজিও এডেমা ( ঠোঁট ও জিহ্বা ফুলে যাওয়া ) , ফেসিয়াল এডেমা ( মুখ ফুলে যাওয়া ) , স্টিভেনস – জনসন সিন্ড্রোম নামক তীব্র অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া ।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার গর্ভাবস্থায় Nystat drop

প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি “ এ ” । ত্বক , যোনিপথ ও মুখে সেবনের ফলে নাইস্ট্যাটনের সিস্টেমিক শোষণ সামান্য পরিমাণে হয়ে থাকে । নাইস্ট্যাটিন সেবনকালে গর্ভবর্তী মহিলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । স্তন্যদানকালে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি । শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত মাত্রার নাইস্ট্যাটিন ব্যবহার করা নিরাপদ ।

আরও পড়ুন – ক্যালসিয়াম ডি কিসের ঔষধ | Calcium & Vitamin D3 IU

Omiprazole কিসের ঔষধ | ওমিপ্রাজল খাওয়ার নিয়ম

Mecobal Tablet কি কাজ করে খাওয়ার নিয়মসহ জেনে নিন

লিভোফ্লক্সাসিন কি ধরনের এন্টিবায়োটিক | Livofloxacin INN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X