স্বাস্থ্য টিপস

চায়ের প্রকারভেদ,ভালো চেনার উপায় ও উপকারিতা

চা বলতেই আমাদের চোখে ভাসে সুন্দর গন্ধ যুক্ত, সুমিষ্ট এক প্রকার গরম পানীয়। এটাকে শুধু পানীয় বললে ভুল বলা হবে একে বাঙালিদের আবেগও বলতে পারি। আমাদের রয়েছে শত বছর ধরে চা খাওয়ায় ঐতিহ্য। আজকের পোষ্টে আমরা চায়ের প্রকারভেদ, চেনার উপায় ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।

এই লেখার বিষয়বস্তু সমূহ:

চা কি? 

চা মূলত একটি চীনা শব্দ। তবে আমরা চা বলতে যা বুঝি তা মূলত একটি পানীয়, যাতে রয়েছে ক্যাফেইন ও ট্যানিন যা শরীরে শক্তি যোগায়। চায়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। 

চা চাষের ইতিহাস

চা সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উচ্চভূমি বা পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মে থাকে। চা গাছের পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে, চা পাতা তৈরি করা হয় যা দিয়ে চা তৈরির প্রধান উপকরণ। 

সর্বপ্রথম চীনে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরপর হল্যান্ড জাপান ও পরবর্তীতে ইউরোপে চা ছড়িয়ে পড়ে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে চীনে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয় এবং ভারতবর্ষে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। ব্রিটিশরা ১৮৫৫ সালে প্রথম চা গাছ খুঁজে পায়, এরপর ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনী ছড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। ২০০৮ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ৩৮০০০০০(প্রায়) টন চা পাতা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়েছে।  

চায়ের প্রকারভেদ

পৃথিবীতে সাধারণত দুই ধরনের চা গাছ জন্মায় যথাঃ চীন জাতীয় ও আসাম জাতীয়। 

চীন জাতীয়ঃ এই  প্রজাতির গাছ আকারে ছোট হয়, পাতার সংখ্যাও কম হয়, এই গাছ না ছাটলেও পাতা তোলার মতো আকারে বড় হয়ে থাকে। এই জাতের চা পাতা গন্ধ ও স্বাদের জন্য বিখ্যাত। 

আসাম জাতীয়ঃ শ্রীলঙ্কা ও ভারতে প্রচুর পরিমাণে আসাম জাতীয় চা গাছ বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়। এ ধরনের গাছ আকারে অনেক বড় হয় ও প্রচুর পাতা দেখা যায়। এই গাছ লম্বায় প্রায় বিশ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছগুলোর পাতার নাগাল পাওয়া ও পাতা সংগ্রহের জন্য বারবার ছেঁটে ছোট করা হয়।  এই চা পাতা রংয়ের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত 

ভালো চা চেনার উপায়

চা আমাদের দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয়। আমাদের দেশে একেকজনের পছন্দ,অপছন্দ, স্বাদ, গন্ধ সব অন্যদের থেকে আলাদা। তাই এদেশে বিভিন্ন রকম চা এর চাহিদা রয়েছে।

ভালো চায়ের প্রধান উপকরণ ভালো জাতের চা পাতা সংগ্রহ করা, কেননা চা পাতা খারাপ হলে, চায়ের ফ্লেভার বা গন্ধ আসবে না ফলে চায়ের কাঙ্ক্ষিত টেস্ট আসবে না। আরো গুরুত্তপূর্ণ একটি বিষয় হলো ভালোভাবে চা বানাতে পারা। 

নিম্নে ভালো চা চেনার কিছু উপায় সম্পর্কেআলোচনা করা হলোঃ

স্পর্শ করা

ভালো মানের চা পাতা সাধারণত মসৃণ হয়ে থাকে। যে পাতাগুলো রুক্ষ হয়ে থাকে সেগুলো থেকে সাধারণত ভালো চা পাওয়া যায় না। চা তৈরীর সময় রুক্ষ পাতা গুলোকে ফেলে দেওয়া হয় চায়ের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য। 

সুঘ্রান 

ভালো মানের চা পাতার বিশেষ ধরনের সুঘ্রাণ রয়েছে। ভেজাল চা পাতায় কখনোই সেই মনকাড়া সুঘ্রাণ  থাকে না

চা পাতার চেহারা

একটি চা গাছের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় তা থেকে কেমন চা পাতা পাওয়া যাবে। তবে একটি ভাল চা গাছে কখনোই অত্যাধিক পরিমাণে ডাল পালা হওয়া উচিত নয়। 

চা পাতার স্বাদ

একটি ভালো চা পাতার প্রমাণ মিলবে তার স্বাদে। কোন চায়ের গাছ যত সুন্দরই দেখতে হোক বা যতই চকচক করুক তা কখনোই তার গুণগত মানকে যাচাই করার জন্য যথেষ্ট হবে না। একটি চা গাছের পরিচয় মিলবে তার চা পাতার স্বাদে। চায়ের স্বাদেই বোঝা যাবে আসলেই চা গাছটি কেমন।

বিশ্ববিখ্যাত কয়েকটি চা 

ডাহোংপাও টিঃ এর দাম প্রতি কেজি প্রায় ১২ লাখ ডলার। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি চা।

পাণ্ডা ডাং টিঃ এর দাম প্রতি কেজি ৭০ হাজার ডলার (প্রায়)

ইয়েলো গোল্ড টিঃ এই চা প্রতি কেজির দাম ৮০০০ ডলার (প্রায়)

ভিন্টেজ নার্সিয়াসঃ কেজি পতি ৩২৫০ ডলার (প্রায়) 

প্রস্তুত প্রণালী অনুযায়ী চায়ের প্রকার ভেদ

চা কে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়ঃ 

সবুজ চাঃ চা গাছের সতেজ বা হালকা শুকনো স্টিম করা পাতা থেকে গ্রিন টি তৈরি হয়। এই পদ্ধতিতে চায়ের পাতার অক্সিডেশনকে রোধ করা হয়। এই চা খেতে অনেকটাই সতেজ  ও হালকা মনে হয়।  

ব্লাক টিঃ চা গাছের পাতাকে রোল, ক্রাশ,কার্ল ও টোর্ন করে শুকিয়ে অক্সিডাইজ করে এই কালো চা তৈরি করা হয়। চায়ের পাতা পুরোপুরি অক্সিডাইজ হলে চা টি স্ট্রং এবং ডার্ক ফ্লেভারের হয়ে থাকে। বর্তমানে আসামের কালো চা , দার্জিলিঙ এর কালো চা এবং শিলং এর কালো চা বিখ্যাত।   

উলোঙ্গ চাঃ এই চা কে ব্লাক ড্রাগন চা ও বলা হয়। এই চায়ের পুরো পাতা গুলিকেই চা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই চা সেমি অক্সিডাইজড। এই চায়ের পাতা যত বেশি অক্সিডাইজ হবে চায়ের রং তত ঘন হবে এবং পাতা যত কম অক্সিডাইজ হবে চায়ের রং তত হালকা হবে। 

পিও চাঃ  এটি এক ধরনের গাঁজানো চা। এই চায়ের বাজার মূল্য অন্যান্য চায়ের থেকে অনেকটাই বেশি। চা গাছের কান্ড থেকে এই চা তৈরি করা হয়। এই চা সাধারণত চীনের ইউনান প্রদেশে উৎপাদিত হয়। 

 

সাদা চাঃ চা গাছের পাতা ও কুড়ি দিয়ে এই চা তৈরি হয়। এই চায়ে ক্যাফেইন এর পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। 

চায়ের পাতার গ্রেডিং নির্ণয়

ভালো চা খেতে হলে চা পাতার গ্রেডিং নির্ণয় করতে হবে। ভালো গ্রেডের চা পাতার টেস্ট, খারাপ গ্রেডের চা পাতার তুলনায় অনেকটাই আলাদা হয়। আমরা সাধারনত যে ধরনের চা পাতা খাই সেই চা পাতাকে ক্রাশ-টিয়ার-কার্ল পদ্ধতিতে গ্রেডিং করা হয়। এর মাঝে সব থেকে সুন্দর ও বড় চা পাতা থেকে যে  চা আসে তার কোয়ালিটি ও দাম উভয়ই বেশি থাকে। তবে কচি পাতাতে বড় পাতার তুলনায় অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। চা পাতার প্যাকেট কেনার আগে চায়ের গ্রেডিং দেখে কিনলে দাম অনুযায়ী সঠিক কোয়ালিটির চা পাতা পাওয়া যাবে। নিম্নে চায়ের বিভিন্ন গ্রেড সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

সম্পূর্ণ চা পাতা

  • FTGFOP1
  • TGFOP1
  • FTGFOP
  • GFOP
  • TGFOP
  • FOP
  • OPA 
  • OP
  • FP
  • S
  • P

আংশিক ছেঁড়া চা পাতা

  • BOP1
  • TGFBOP
  • GFBOP
  • TGFBOP1
  • BPS
  • GBOP
  • FBOP
  • BS
  • BOP
  • BPS

বেশি অংশ ছেঁড়া থাকা চা পাতা

  • GOF
  • BOPF
  • FOF
  • FBOPF

গুড়া চা পাতা

  • OPD
  • BOPFD
  • D-A
  • BOPD
  • FD
  • Spl. D
  • OD
  • GD

স্বাস্থ্যের জন্য কোন চা অধিক উপকারী, রং নাকি দুধ চা ?

রং চা দুধ চা
রং চা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও রক্তনালীর প্রসারণ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যাসেইন যা চায়ের ক্যাটেচিনকে বাধা প্রদান করে। চায়ে দুধ মেশানোর ফলে রক্তনালীকে প্রসারন ঘটানোর ক্ষমতা একদম চলে যায়। 
এই চা খাওয়ার ফলে দেহের কোষ সমুহ থেকে সাধারন সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ গুন অধিক পরিমানে ইন্সুলিন নির্গত হয়ে থাকে।  চায়ের সাথে দুধ মেশালে এই ইন্সুলিন নির্গমনের হার বহুলাংশে কমে যায়। চায়ে যদি মাত্র ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো যায় তাহলে ইন্সুলিন নির্গমনের মাত্রা প্রায় ৯০ পার্সেন্ট কমে যায়।  
রঙ চা ডায়েবেটিস,উচ্চ রক্ত চাপ, ওজন ও হৃদ রোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যান্ত কার্যকর।   দুধ চা ঠিক ততটাই দেহের জন্য ক্ষতিকর।

চা পানের উপকারিতা

বিভিন্ন গবেষনা থেকে প্রমানিত চা পানের নানা উপকারি দিক রয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত চা পান করার ফলে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি মিলে। নিম্নে চা পানের উপকারি দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

দেহকে সুস্থ রাখতে ব্লাক টি ও গ্রিন টি অত্যন্ত কার্যকরী। এটি রক্তচাপ, Lipid content, শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই আমাদের হৃদ যন্ত্র কে সুস্থ রাখতে পরিমাণ মতো নিয়মিত চা পান করতে পারি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

চা ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়। চা রক্তে থাকা ইনসুলিন এর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও রক্তে থাকা শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। লিকার চা ও গ্রিন টি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার, বার্ধক্যজনিত সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকগণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য অন্যান্য আন্টি অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত চা খেলে দেহ হতে ফ্রী রেডিক্যাল পদার্থের প্রভাব দূর হয়। 

মাথা ব্যথা কমাতে

চা পানের এই উপকারী দিক সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি অবগত। এক কাপ চা মাথাব্যথা দূর করার জন্য অত্যন্ত উপকারী। চা তে রয়েছে ক্যাফেইন যা মাথা ব্যথা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে অতিরিক্ত চা খেলে অনিদ্রা, অস্থিরতা, মাথাব্যথা ইত্যাদির মত সমস্যাও বাড়তে পারে। 

বাতের ব্যথা দূর করতে

ব্লাক টি ও গ্রিন টিতে রয়েছেন এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ যা আমাদের দেহের বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। 

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় 

চায়ের মাঝে পলিফেনন নামক যৌগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই যুগের উপস্থিতির কারণে টিউমার কোষ তার পার্শ্ববর্তী কোষ সমূহে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হয়। তবে চা শুধুমাত্র ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের দেহকে সাহায্য করে কিন্তু প্রতিকার করতে পারে না।

ত্বক  ও চুলের যত্নে

চায়ে থাকা ক্যাফেইন আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু চায়ে যদি অতিরিক্ত দুধ ও চিনি ব্যবহার করা হয় তা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। তাই চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে প্রতিদিন আমরা এক কাপ করে ব্লাক টি খেতে পারি।

প্রদাহ কমায়

শরীরের কোথাও প্রদাহ দেখা দিলে সুস্থতার জন্য মধু চা খাওয়া যেতে পারে। এর রয়েছে অ্যান্টি  ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য,যা প্রদাহ জনিত ফুলে থাকা কমায়।

কনজেক্টিভাইটিসের জন্য

শীত মৌসুম বিদায়ের পর, গ্রীষ্ম মৌসুম আসার আগে কমবেশি প্রায় সবারই চোখ ওঠা রোগ দেখা যায়। এ সময় চোখ ব্যথা করে ও চোখ লাল হয়ে যায়। এই সময় চায়ের ক্বাথ কয়েক ফোটা চোখে ঢাললে, কয়েকদিনের মধ্যেই চোখ সুস্থ হয়ে ওঠে।

গলার সংক্রমণ

অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় গলায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে গলা ব্যথা দূর করার জন্য চায়ের ক্কাথ দিয়ে গার্গল করা যায়।

কোরিজা থেকে মুক্তি

ঋতু পরিবর্তন কালীন সময়ে শিশুরা সাধারনত সর্দি ও ফ্লুতে অসুস্থ হয়। ঠাণ্ডা ও ফ্লু থেকে বাঁচতে চা খাওয়া যেতে পারে। লিকোরিস, বনফসা ও চায়ের ক্কাথ তৈরি করে খেলে ঠান্ডা থেকে দারুন উপশম মিলে।

পেটের ব্যাথা

আকরকরা ও পুদিনা পাতা মিশিয়ে চা এর ক্কাথ রান্না করে প্রায় ২০ মিলি পরিমান পানি পান করলে পেটের গ্যাস থেকে হওয়া ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলে। 

মুত্রনালীর রোগ

মানব দেহে অনেক সময় প্রসাবে জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন প্রসাব হওয়া,অল্প পরিমানে প্রসাব হওয়ার মত সমশ্যা দেখা দেয়। এই রোগ থেকে উপশম পেতে দৈনিক প্রায় ১৫ মিলি পরিমান চা পাতার ক্কাথ খেতে পারি। 

যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে   

যাদের যৌন সহবাসের ইচ্ছে কমে গেছে তারা নিয়মিত চা পাতার সাথে দুধ ও দারুচিনি মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন আশা করা যায় এতে উপকার পাবেন।

চায়ের অপকারিতা 

বাকি সব খাবারের মত, অধিক পরিমাণে চা খাওয়া হলেও দেহে কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমনঃ

  • অতিরিক্ত কড়া চা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত চা খাওয়ার ফলে খাবারের রুচি নষ্ট হয়।
  • অনিদ্রার সমস্যা সৃষ্টি হয়।

পরিশেষে

রং চা বা লাল চা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও দুধ চা তুলনামূলক ক্ষতিকর।  আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে আমরা নিয়মিত চিনি ও দুধ ছাড়া চা খেতে পারি। আজকের এই পোস্টে আমরা চায়ের প্রকারভেদ, উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এ থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X