স্বাস্থ্য টিপস

টমেটোর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা

টমেটো একটি তৃপ্তিদায়ক ও ক্ষুধাবর্ধক ফল বা সবজি। টমেটো আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি খাবার। যেটি আসলে ফল তবে রান্না করার পরে এটি সবজিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষই এটিকে সবজি হিসেবেই গ্রহণ করে থাকেন। টমেটোর অন্যতম প্রধান উপকারি দিক এটি সারাবছরই চাষ হয় বা বাজারে পাওয়া যায়।অনেকেই বলে থাকেন একটি টমেটো দশটি  আপেলের চেয়েও বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর। চলুন আজকে আমরা জেনে নেই টমেটোর পুষ্টিগুণ, উপকারী ও অপকারী দিক সম্পর্কে। 

 

টমেটোর পরিচয়

 

টমেটো হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি।  টমেটোর সহজলভ্যতার কারণে প্রায় সবার বাড়িতেই টমেটোর চাহিদা রয়েছে। টমেটোর সহজলভ্যতা ও স্বাদের কারণে প্রায় সবারই বাড়ির নিত্যদিনের বাজারের  লিস্টে টমেটো থাকে। তরকারিতে টমেটো মেশালে তরকারির স্বাদ যেন কয়েক গুণে বৃদ্ধি পায়, যা খেতেও বেশ সুস্বাদু। এটিকে মূলত শীতকালীন সবজি হিসেবে ধরা হলেও এখন এটি সারাবছর চাষ হয়ে থাকে।

 

সাধারনত এটি কাঁচা ও অবস্থায় সবুজ রঙের আর পাকা অবস্থায় লাল হয়ে থাকে। কাঁচা পাকা দু’ভাবেই এটি খাওয়া যায়। তবে কাঁচা হিসেবেই এটি অধিক পুষ্টি গুণ বহন করে থাকে।

 

টমেটোর পুষ্টিগুণ 

অন্যান্য সব দামী ফলের থেকে টমেটো তুলনামূলকভাবে অনেক কম মূল্যের হয়ে থাকে, কিন্তু অনেকেই জানেন না টমেটোর গুনাগুন অন্যান্য ফল থেকেও কয়েক গুণ বেশি।

টমেটোতে যেগুলো উপাদান রয়েছে 

 

  • ভিটামিন এ ।
  • আমিষ ।
  • ক্যালসিয়াম।
  • ভিটামিন সি।



এছাড়াও টমেটোতে আরো কিছু উপাদান রয়েছে।যেমন ভিটামিন কে, ক্রোমিয়াম,ফলিক এসিড, লাইকোপিন, ক্ষার,লৌহ,ম্যাঙ্গানিজ, চুন,লোহা,পটাশ,লবণ ইত্যাদি। এগুলো দেহের জন্য অনেক উপকারী। 

টমেটো দ্রুত রক্ত তৈরীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। এটি খেলে শরীরের ফ্যাকাশে ভাব, রক্তস্বল্পতা ও রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে থাকে।

টমেটোতে রয়েছে বিপুল ঔষধি গুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির অনেক উপাদান।

 

টমেটো তে রয়েছে আরো কিছু বিশেষ গুণাগুণ যেমন –

 

  • হাড়ের জন্য টমেটো বেশ উপকারী।
  • টমেটো খেলে হার্ড ও হৃদপিন্ড ভালো থাকে।
  • মেদ কমাতে বিশেষ কার্যকরী।
  • রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দিয়ে থাকে।
  • বয়সের ছাপ এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি নিরাময়ে সহায়তা করে।
  • ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে।

 

প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে পুষ্টিগুণ রয়েছেঃ

 

উপাদান

পরিমান 

পানি 

94.52 গ্রাম

শক্তি 

18 কেসিএল

প্রোটিন

0.88 গ্রাম

চর্বি 

0.2 গ্রাম

কার্বোহাইড্রেট 

3.89 গ্রাম

ফাইবার 

1.2 গ্রাম

চিনি 

2.63 গ্রাম

ক্যালসিয়াম 

10 মিলিগ্রাম

আয়রন 

0.27 মিলিগ্রাম

ম্যাগনেসিয়াম

11 মিলিগ্রাম

ফসফরাস  

24 মিলিগ্রাম

পটাশিয়াম 

237 মিলিগ্রাম

সোডিয়াম 

5 মি.গ্রা

দস্তা 

0.17 মিলিগ্রাম

তামা 

0.059 মিলিগ্রাম

ভিটামিন সি 

13.7 মিলিগ্রাম

থায়ামিন

0.037 মিলিগ্রাম

রিবোফ্লাভিন

0.019 মিলিগ্রাম

নিয়াসিন

0.594 মিগ্রা

ভিটামিন বি৬

0.08 মিলিগ্রাম

ফোলেট

15 মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন এ RAE

42 মাইক্রোগ্রাম

বিটা ক্যারোটিন

499 মাইক্রোগ্রাম

ভিটামিন ই

0.54 মিলিগ্রাম

ভিটামিন কে

7.9 মাইক্রোগ্রাম

ফ্যাটি অ্যাসিড মোট স্যাচুরেটেড

0.028 গ্রাম

ফ্যাটি অ্যাসিড মোট মনোস্যাচুরেটেড

0.031 গ্রাম

ফ্যাটি অ্যাসিড মোট পলিআনস্যাচুরেটেড

0.083 গ্রাম



টমেটো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

 

টমেটোর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। যদিও এটি কোনো বিশেষ রোগের নিরামক নয় কিন্তু এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ কমাতে সক্ষম। টমেটোর কিছু উপকারী দিক তুলে ধরা হলোঃ  

 

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ

 

একটি গবেষণা অনুসারে,টমেটোতে যে ক্যারোটিনয়েড নামক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে, এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেহে কাজ করে। যার ফলে টমেটো খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

 

পেশী তৈরীতে সহায়কঃ

 

টমেটো হচ্ছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাশিয়াম হচ্ছে শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান গুলোর মধ্যে একটি। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। একারনে পেশী বৃদ্ধিতে টমেটোর রস অত্যন্ত কার্যকরী।

 

হজমের সমস্যাঃ 

 

টমেটো খেলে হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যায়, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই টাটকা টমেটো খেতে হবে। NCBI এর গবেষণা অনুযায়ী, টমেটোতে যে লাইকোপিন রয়েছে, সেটি পরিপাকতন্ত্রের  হজম প্রক্রিয়াকে চালু ও সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। 

 

অন্য আরেকটি গবেষণায় পাওয়া যায় টমেটো ক্লোরাইড এর একটি ভালো উৎস। এটি পাকস্থলির একটি অপরিহার্য  উপাদান, যেটি শরীরের তরলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এ কারণেই বলা যায় যে, টমেটো হজমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।

 

দাঁত এবং হাড়ের জন্যঃ

 

টমেটো তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাড়ের সুস্থতার জন্য কাজ করে। এছাড়াও টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন,যা দেহকে হাড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

 

চোখের জন্য উপকারিঃ

 

চোখের রোগ এড়াতে টমেটো খাওয়া যেতে পারে। কারণ টমেটো তে পাওয়া যায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,  যা চোখের জন্য অত্যাধিক উপকারী ও প্রয়োজনীয় ফলে টমেটো খেলে চোখ সুস্থ্য থাকতে পারে এরূপ একটি ধারণা করা যেতেই পারে।

 

ডায়াবেটিসের জন্যঃ

 

টমেটো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে লাইকোপিন,বিটা ক্যারোটিন,ভিটামিন সি,পটাসিয়াম, ফ্যাভোনয়েড ফোলেট এবং ভিটামিন ই রয়েছে।যেগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রোধ করতে পারে। এ কারণেই বলা যেতে পারে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটোর  প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।

 

ক্যান্সারের জন্যঃ 

লাল টমেটোতে পাওয়া যায় লাইকোপিন,যা এক ধরনের ক্যারোটিনয়েড। এ যৌগটি ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে কেমোপ্রেভেন্টিভের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে। এছাড়াও লাইকোপিনে রয়েছে অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক ও অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য যা ক্যান্সারকে বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। এসব থেকে ধারণা করা যায় টমেটো খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে।

 

তবে ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। টমেটো কেবল একটি পুষ্টি উপাদান এটি কিন্তু রোগ নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট নয়।

 

 

ডায়েটের জন্যঃ

 

ডায়েটের জন্য টমেটো অত্যন্ত উপকারী। এটি সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, কারণ এতে ফ্যাট নেই বললেই চলে।আর এটি খেলে ক্ষুধামন্দা ভাব দূর হয়ে থাকে।





কোষ্ঠকাঠিন্যঃ 

 

টমেটো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় লাল টমেটোর মিশ্রন তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে টমেটোর স্যুপ, টমেটোর রস করেও খাওয়া যায়। টমেটো খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যা এবং পিত্তজনিত রোগের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।মূলত টমেটোতে ফাইবার থাকায় এটি মলত্যাগের সমস্যার দূর করতে সাহায্য করে। ১০ থেকে ২০ মিলি টমেটো ফলের রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে থাকে। তাই এই উপকারী ফলকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।

 

ক্ষুধামন্দাঃ

অনেক সময় কোন রোগের কারণে খেতে ইচ্ছে করেনা,ফলে ক্ষুধামন্দা দেখা যায়। এক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ মিলি টমেটোর রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্ষুধা মন্দা দূর হতে পারে।স্বাদের জন্য কিছুটা টমেটো রসের সাথে লবণ এবং গোলমরিচের গুড়ো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

 

মুখের সৌন্দর্যঃ 

ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকরী। টমেটোর রস করে মুখে লাগালে ত্বক অনেকটাই মসৃণ হয় এবং ব্রণ থাকলে তা দূর হয়। টমেটো টুকরো করে মুখে ঘষে লাগালে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়। তাই ত্বকের যত্নেও টমেটো ব্যবহার করা যায়।

 

চুলের যত্নেঃ 

চুলের যত্নতেও অনেকেই টমেটো ব্যবহার করে থাকেন।টমেটোর রসের সঙ্গে নারকেল তেল লাগালে চুলে চকচকে ভাব আসতে পারে।

 

গলা ফোলা দূরীকরণেঃ

গলা ফোলা কিংবা ঠান্ডা জনিত কারণে গলা ব্যথা অনুভব হলে লাল টমেটোর ক্বাথ তৈরী করে ১০ থেকে ৩০ মিলি পরিমাণ পান করলে মুখ ও গলার ফোলাভাব দূর হতে পারে। এক্ষেত্রেও টমেটোর ব্যবহারে সুফল মিলে।

গর্ভাবস্থায় উপকারীঃ

টমেটো গর্ভাবস্থার জন্য খুবই উপকারী খাবার, কারণ এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উপাদান – আয়রন এবং ভিটামিন সি। এ দুইটি উপাদান মা ও শিশু উভয়ের দেহের জন্যই পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। 

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারীঃ

টমেটো ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী খাবার। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সালাদ হিসেবে টমেটো রাখা যেতে পারে। টমেটোর পুষ্টিগুণে যেহেতু কোনো ক্ষতিকারক উপাদান নেই যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা নিঃসন্দেহে এটি খেতে পারেন। ডাক্তাররাও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটো কে সালাদ হিসেবে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণঃ

টমেটো অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে উপকারী, কারণ টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং লাইকোপেন। যেগুলো অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই প্রতিদিন কিছু পরিমাণ টমেটো খাবার তালিকায় রাখা যেতেই পারে।

চোখের জন্য

টমেটোতে রয়েছে জিয়াজ্যানথিন এবং লিউটিন, এ দুটি উপাদান চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি চোখকে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হতে বাধা প্রদান করে। ফলে নিয়মিত টমেটো খাওয়া আমাদের চোখকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 

টমেটোর অপকারিতা

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।যে কোন জিনিসই অতিরিক্ত খাওয়া কখনোই শরীরের জন্য ভালো হতে পারে না। টমেটোতে উপকার রয়েছে কিন্তু এটি অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির দিক বয়ে আনে এবং এটি পর্যাপ্ত পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই যুক্তিসম্মত। যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে খাবেন। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে ডাক্তাররা তাদের টমেটো খেতে নিষেধ করে থাকেন। তাই এ ব্যাপারে খুব সচেতন হতে হবে। এছাড়া টমেটোতে অপকারিতা বলতে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। তবুও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। 

 

টমেটো চাষ

 টমেটো চাষের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। এছাড়াও ইউরোপ সহ বহির্বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে টমেটো চাষ করা হয়। বর্তমানে আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে টমেটোর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রায় সারা বছরই আমাদের দেশে টমেটোর চাষ হয়ে থাকে এবং এটি সারা বছরই বাজারে হাতের কাছেই পাওয়া  যায়। তাই বাংলাদেশে টমেটো এখন অত্যান্ত সহজলভ্য এবং টমেটো চাষীদের সংখ্যাও বেশি।

 

টমেটো কিভাবে খাবো

বিভিন্ন তরকারিতে টমেটো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও টমেটো বিভিন্ন ধরনের স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। সালাদের সাথে টমেটো বেশ ভালো মানায়। এখন বিভিন্ন মাংসতেও টমেটোর ব্যবহারের দেখা মিলে। স্থান ভেদে ভাজি,ভর্তা বা সস ও টমেটো ক্যাচাপ বেশ জনপ্রিয়।

এছাড়াও টমেটোকে ব্যবহার করে নানা পদের মুখ রুচক ও সুস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা হয়। বিভিন্নভাবে  টমেটোকে ব্যবহার করে আমরা সুস্বাদু খাবার খেতে পারি। 

তবে অবশ্যই অতিরিক্ত তেল বা অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি থেকে বিরত থাকা উত্তম। এক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত না হয়ে  আমাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবারে রূপ নেবে। তাই সতর্কতার সাথে এটি রান্না করা উচিত।

 

পরিশেষে

টমেটো এমন একটি ফল বা সবজি যেটা সারা বছরে আমাদের দেশে পাওয়া যায়। তাই আমরা বাড়িতে সব সময় টমেটো রাখতে পারি, এটি অত্যন্ত সহজলভ্য সবজি। অন্যান্য ফল থেকে এর গুনাগুনও অনেক বেশি। ফলে এটি  সবসময়ের খাদ্য তালিকায় রাখার মতন একটি খাবার। এটি আমাদের দেশের প্রায় সব বাজারগুলোতে বা সবজির দোকানে পাওয়া যেয়ে থাকে।

 

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটোর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিভিন্নভাবে খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের সার্বিক সুস্থতার জন্য এটি খুবই কার্যকরী এবং উপকারী। টমেটোতে কোন ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায় না তবে অবশ্যই এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বয়ে নিয়ে আসবে। টমেটো বাঙালিদের খুব প্রিয় সবজির তালিকায় রয়েছে।

 

আজকের এই পোস্টে আমরা টমেটোর পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি এ থেকে উপকারিতা পাবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X