স্বাস্থ্য টিপস

নারিকেল তেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

প্রাচীন কাল থেকেই নিত্যনৈমিত্তিক কাজে ও চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। নারিকেল তেল একদিকে যেমন সহজলভ্য অপরদিকে পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের দেশের মত বহিঃবিশ্বের অন্যান্য দেশ সমুহেও নারিকেল তেলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। শুধু চুলের যত্নই নয়, নারিকেল তেল দিয়ে ডিওডোরেন্ট, সানস ক্রিম এর মত প্রসাধনী সামগ্রীও উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়াও যাদের দেহে আল্যার্জির সমস্যা রয়েছে তারা খাবার তেল হিসেবেও ডায়েটে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারে। এই তেলের রয়েছে বিচিত্র পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। আজকে এইসকল বিষয় সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব।

এই লেখার বিষয়বস্তু সমূহ:

নারিকেল তেল কি ? 

নারিকেল তেল এক প্রকারের ভোজ্য তেল। নারিকেলের অভ্যন্তরে থাকা সাদা বা ফ্যাকাশে আবরণ দিয়ে এই তেল তৈরি করা হয়। উক্ত আবরণ কে প্রচন্ড তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে নারিকেল তেল তৈরি হয়।

নারিকেল তেল কেন খাবেন ? 

নারিকেল তেলের প্রধান উপাদান শতভাগ পরিশুদ্ধ নারিকেল। নারিকেল যদি নষ্ট বা পচে যাওয়া হয় তা দিয়ে ভালো মানের তেল তৈরি হয় না। নারিকেল তেল মূলত ২ প্রকারের:

১. নারিকেলের শুকনো আঁশের তেল

২.ভার্জিন নারিকেল তেল

 ভার্জিন তেলে রয়েছে পলিফেনন যা বায়ো এক্টিভ যৌগ। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড।

উভয় প্রকারের তেলেই ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ সমান।

 এক টেবিল চামচ তেল এ থাকা পুষ্টির পরিমাণ:

  • ক্যালোরি – ১২৫ গ্রাম
  • চর্বি – ১৪ গ্রাম
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট – ১২ গ্রাম

এতে আরও রয়েছে 

  • মিরিস্টিক অ্যাসিড
  • লোরিক অ্যাসিড
  • প্যামিটিক অ্যাসিড
  • মনোসাচুরেটেড ফ্যাট
  • পলি আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট
  • মাঝারি চেইন গ্লিসারাইড
  • উদ্দিজ্জ প্রোটিন

নারিকেল তেলের উপকারিতা

নারিকেল তেলের রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। এতে প্রচুর পুষ্টি গুণ থাকায় এটি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটির নিয়মিত ব্যবহার আমাদের দেহের জন্য বিভিন্ন উপকারী দিক বয়ে আনে যা নিম্নরূপ

নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে লোরীক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা এক প্রকার সাচুরেটেড ফ্যাট। নারিকেল তেল যদি ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে এই তেল দেহের অভ্যন্তরে চর্বি হিসেবে সঞ্চিত না হয়ে শরীরের জন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ও দেহের অভ্যন্তরীণ চর্বি গলিয়ে ফেলে। ফলে আমাদের দেহের ওজন কমাতে এটি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

দেহের শক্তি যোগাতে

নারিকেল তেলের মাঝে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এমসিটি বা ট্রাই গ্লিসরাইড। যা দেহকে শক্তি যোগাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময়ে ক্রীড়াবিদ গণ এই তেল কে ভোজ্য তেল হিসেবে গ্রহণ করেছে কেননা। এই তেল একদিকে যেমন ক্ষতিকর চর্বি থেকে দেহকে রক্ষা করে অপরদিকে প্রচুর পরিমাণে দেহকে শক্তি যোগায়। তাই সহজেই বোঝা যায়। দেহের শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এই তেলের বিকল্প খুজে পাওয়া ভার। 

দাঁতের সুস্থতায় নারিকেল তেল

দাঁতের সুস্থতার জন্য ক্যালকিউমিন নামের একটি পদার্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পদার্থটি যাতে সঠিকভাবে শরীরের শোষিত হয়, সে বিষয়ে  ভূমিকা রাখে নারিকেল তেল। এ কারণে নারিকেল তেল নিয়মিত খেলে দাঁতের স্বাভাবিক অসুস্থতা গুলো দূর হয়ে যায়। 

ক্ষুধা কমাতে নারিকেল তেল

যারা ডায়েট করতে চাচ্ছেন কিন্তু কোন তেল ব্যবহার করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাদের জন্য নারিকেল তেল হতে পারে সেরা সমাধান। নারিকেল তেলের মাঝে থাকা গ্লিসারাইড বহুক্ষণ ধরে পেট ভরা ভাব ধরে রাখে, ফলে সহজেই দেহে ক্ষুধা ভাব জাগ্রত হয় না। এছাড়াও এই তেলে চর্বির পরিমাণ কম থাকার কারণে দেহের ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সর্বোপরি এই তেল ডায়েট চার্টে যুক্ত করার জন্য একদম পারফেক্ট।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

নারিকেল তেল এর মাঝে রয়েছে জীবাণুদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। এর প্রধান কারণ হলো  নারিকেল তেলের মাঝে রয়েছে ট্রাই গ্লিসারাইড ও  লরিক এসিড যা দেহের জীবাণু প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গবেষকদের মতে লরিক এসিড ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও উদ্ভিদের জন্য যে সকল অনুজীব ক্ষতিকর সে সকল অনুজীবের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এমনকি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর অনুজীবসমূহকে ধ্বংস করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ত্বকের সুরক্ষায় নারিকেল তেল

অনেকে খাওয়ার দাওয়ার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নিতেও নারিকেল তেল ব্যবহার করে থাকে। এটি ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় ও আদ্রতা বৃদ্ধি পায়। 

এটি যে শুধু ত্বকের আদ্রতাই বৃদ্ধি করে তাই নয় এছাড়াও এটি দেহ থেকে ত্বকের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বের হওয়া কেও প্রতিরোধ করে যার ফলস্বরূপ পানি শূন্যতার হাত থেকে দেহ রক্ষা পায়। এছাড়া নারিকেল তেল ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ও সংক্রামক এজেন্টের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। 

চুলের যত্নে নারিকেল তেল

চুলের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নারিকেল তেলের ব্যবহার একটি প্রাচীন ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই তেল চুলকে মজবুত করে ও চুলের গভীর অঞ্চলেও পুষ্টি যোগায়।  এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ঝড়ে পড়া রোধ হয়। এই তেল চুলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি যোগায় যার ফলে চুলের ঝড়ে পড়া ও চুল ভেঙে যাওয়া রোধ হয়। তাই চুলের যত্ন নিতে নিশ্চিন্তে এই তেল ব্যবহার করা যায়।

কিডনির সুরক্ষায় নারিকেল তেলের ব্যবহার 

আমাদের দেহে থাকা কিডনির জন্য নারিকেল তেল অত্যন্ত উপকারী। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী নারিকেল তেল দিয়ে শুধু রক্ত চাপ কমে তাই নয়, কিডনির সমস্যাও নিরাময় করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা যায় নারিকেল তেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহের রেনাল ইঞ্জুরি প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নারিকেল তেল

একটি গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নারকেল তেল অত্যন্ত উপকারী। এই তেলের ভিতরে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান একদিকে যেমন দেহের পাচক রসের উৎপাদন বাড়ায় আবার অপরদিকে দেহের অভ্যন্তরস্ত পেটের পীড়ার প্রকোপ কমায়। 

এলাঝাইমার রোগের চিকিৎসায় নারিকেল তেলের ব্যবহার

সাম্প্রতিক সময়ে একটি গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত নারিকেল তেল খাওয়াতে এলাঝাইমার রোগীদের স্মৃতিশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারিকেল তেলের মাঝে থাকা এমসিটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক  ভূমিকা পালন করে। 

মৃগী রোগের চিকিৎসায় নারিকেল তেলের ব্যবহার

কিছু গবেষণায় দেখা যায় নারিকেল তেলের এমসিটি মৃগী রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মৃগী রোগ ও খিচুনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে নিয়মিত নারিকেল তেল খাওয়া যেতে পারে।

ঠোঁটের সুরক্ষায় নারিকেল তেল

নারিকেল তেল যে শুধু খাওয়া যায় তাই নয়, ঠোঁটের সুস্থতা রক্ষার জন্যও নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। নারিকেল তেল ঠোঁটে ব্যবহার করলে তার ঠোঁটের ত্বককে মশ্চেরাইজ করে। একে প্রাকৃতিক লিপ জেলও বলা যেতে পারে। 

 সান্স ক্রিম হিসেবে নারিকেল তেলের ব্যবহার

নারিকেল তেল ব্যবহারে আমাদের দেহ সূর্যের ক্ষতিকারক অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পায়। নারিকেল তেল সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির ২০ শতাংশ পর্যন্ত আটকিয়ে দেয়। অনেক সানস্ক্রিমেই নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়। 

লিভারের সুস্থতায় নারিকেল তেল

২০১৮ সালে করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত নারিকেল তেল খায় তাদের লিভারের অবস্থা অন্যান্যদের তুলনায় অত্যন্ত ভালো। এছাড়াও নারিকেল তেল লিভারকে যেকোনো ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ও প্রসাবের ইনফেকশনেরও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। 

 নারিকেল তেলের ব্যবহার

নারিকেল তেল ও মেথি

নারিকেল তেল কে মেথির সাথে ব্যবহার করলে এর উপকারিতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। নারিকেল তেলের সাথে মেথি মিশিয়ে এই তেল ব্যবহার করলে এটি চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নারিকেল তেলের সাথে আমরা চাইলে মেথির গুড়োও মিশাতে পারি। নারিকেল তেলের সাথে মেথি মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা চুলকে শক্তিশালী ও মজবুত করে। এর পাশাপাশি মেথিতে থাকা এন্টি ফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের জন্য ক্ষতিকারক ইস্ট  তৈরি হতে বাধা দেয় ও খুশকি প্রতিরোধ করে। ফলে চুল দ্রুত বড় ও মজবুত হয় এবং খুশকি মুক্ত থাকে।

নারিকেল তেল ও লেবুর রস

লেবুর রসের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। নারিকেলের তেল ও লেবুর রস উভয়ই আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বককে মসৃণ করতে উভয় পদার্থের মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও ত্বকের মধ্যে থাকা কালো দাগ দূর করতে এই মিশ্রণ অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও চোখের কালো দাগ দূর করতে এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। 

নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উদ্ভিদ। ফলিক এসিড ও ভিটামিন এ বি সি ই সহ আরো নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদানে পূর্ণ অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা চুল পড়া বন্ধ করে ও চুলের কোষের বৃদ্ধি ঘটায়। নারিকেল তেলের সাথে যদি অ্যালোভেরা মেশানো হয় তবে এর পুষ্টি গুন ও উপকারিতা বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। এটি চুল কে ঘন কালো করে, চুল কে মজবুত করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে। 

এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল

নারিকেলের নির্যাসের সাথে অন্য কোন কিছু না মিশিয়ে সরাসরি যে পরিশুদ্ধ তেল পাওয়া যায় সেই তেল কে এক্সট্রা ভার্জিন  নারিকেল তেল বলা হয়। এই নারিকেল তেলের মাঝে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এই তেল আমাদের দেহের জন্য অসাধারণ উপকারী। 

ওজন কমাতে এই তেল অত্যন্ত কার্যকরী। ডায়েট করতে এই তেল ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও দেহের ক্ষুধা মন্দা দূর করতেও এটার অত্যন্ত কার্যকরী।  এই এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল পেটের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর চর্বিকে দূর করে এছাড়াও আমাদের দেহে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে দূর করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

নারিকেল তেলের ক্ষতিকর দিক

নারিকেল তেল একদিকে যেমন আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আবার অপরদিকে এই তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের দেহের জন্য হুমকির ব্যাপার হতে পারে। এই তেল নিয়মিত খেলে একদিকে আমাদের হার্ট যেমন সুস্থ থাকে আবার তেল খাওয়ার পরিমাণ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে দেহে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। 

কিছু গবেষণার রিপোর্টে দেখা গেছে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি ও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে নারিকেল তেল যেমন ভূমিকা রাখে, আবার অন্যান্য গবেষণায় দেখা গিয়েছে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এক চামচ নারিকেল তেলের মাঝে প্রায় বারো গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে,তাই নারিকেল তেল অধিক পরিমাণে খেলে দেহের মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে যা দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

তাই এই তেল খেলেও অতি অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। অল্প পরিমাণে এ তেল খাওয়া একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর অপরদিকে দেহতে থাকা ক্ষতিকারক চর্বি, কোলেস্ট্রল ইত্যাদির পরিমাণ কমাবে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

পরিশেষে

নারিকেল তেলের যেমন উপকারী দিক রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারে রয়েছে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ বা ৩০ মিলি নারিকেল তেল দেহের জন্য উপকারী। আবার অন্যান্য কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন ২.৫  টেবিল চামচ বা ৩৯  মিলি নারিকেল তেল খাওয়া দেহের জন্য সুস্বাস্থ্যকর। তবে কেউ যদি ডায়েটে নারিকেল তেল খেতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে একজন ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ মত নারিকেল তেলকে তার ডায়েটে সংযোজন করতে হবে।  তাই অতিরিক্ত পরিমাণে নারিকেল তেল না খেয়ে যদি আমরা সুষম পরিমাণে খেতে পারি তা আমাদের শরীরের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X