যৌন সমস্যা

পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ ও স্থায়ী প্রাকৃতিক চিকিৎসা

পুরুষাঙ্গ না দাড়ানোর কারন জানতে চেয়ে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন যে, এর কোন চিকিৎসা আছে কিনা। কারন যৌন মিলনের পুর্ব প্রস্তুতিই হলো- পুরুষাঙ্গ দাঁড়ানো, আর সেটাই যদি না হয়, তাহলে যৌন ক্রিয়া চালানো কোনভাবেই সম্ভব না। এই সমস্যাটাকে Erectile Dysfunction ও বলা হয়। আসুন জেনে নিই পুরুষত্বহীনতা কি এর কারন ও চিকিৎসা।

পুরুষত্বহীনতা কি?

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (Erectile Dysfunction) বা  পুরুষত্বহীনতা একটি সাধারণ যৌন সমস্যা যা যৌনসঙ্গম এর সময় লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ যথেষ্ট দৃঢ় না হওয়া কে বুঝায় । বেশিরভাগ পুরুষেরই মাঝে মাঝে লিঙ্গউত্থানে কিছু সমস্যা হয়, তবে যখন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিয়মিত বা বার বার হয় তখন তা একজন ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন দিককে নেতিবাচকভাবে খুবই প্রভাবিত করে ।

যৌন সমস্যায় আয়ুহার্বা টেস্টোস্টোরণ বুস্টার অর্ডার করুন (১০০% পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন )

অর্ডার করার পর অবশ্যই ফোন করতে হবে : +88 01987323370


পুরুষত্বহীনতার লক্ষণগুলি কী কী?

লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যার লক্ষণগুলি বেশ সহজেই বোঝা যায় । যদি আপনার যৌন মিলনের সময় লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায় এবং তা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি হয়ত পুরুষত্বহীনতা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন জনিত যৌন সমস্যায় ভুগছেন । আসুন দেখে নেই কি কি লক্ষণ থাকলে আমরা বুঝে নিতে পারি আপনি  ইরেক্টাইল ডিসফংশন বা পুরুষত্বহীনতা রোগে ভুগছেন।

১.সেক্স এর ইচ্ছা হ্রাস পাওয়া
২.লিঙ্গোত্থান বজায় রাখতে অক্ষমতা
৩.পুরষাঙ্গ শক্ত না হওয়া

যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররের সাথে দেখা করে পরামর্শ নিন । পুরুষত্বহীনতা বা লিঙ্গউত্থান সমস্যা এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণসমূহ বা পুরুষত্বহীনতার কারণসমূহ

একজন পুরুষের লিঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ হিসাবে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দুটুকেই দায়ী করা হয়।

শারীরিক কারণসমূহ – শারীরিক সমস্যার মধ্যে Bulbourethral artery, bulb, anterior branch, corpus spongiosum, carvernous artery, corpus cavarnosum, Glans Penis, internal pudendal artery, Dorsal artery শিরা ও উপশিরাগুলোতে রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্থ হলে এবং টেষ্টোষ্টেরন হরমোন উৎপাদনে ব্যাহত হলে পুরুষাঙ্গ না দাড়ানোর একটি কারন হতে পারে।

শারীরিক সমস্যার মধ্যে আরো যেসব কারনে পুরুষাঙ্গ শিথিলতা দেখা দেয় তার মধ্যে যৌনবাহিত রোগগুলোও অন্যতম, যেমন- গণোরিয়া ও সিফিলিসে আক্রান্ত পুরুষদের পুরুষাঙ্গের শিরা উপশিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

মানসিক কারন সমুহ –পুরুষাঙ্গ না দাড়ানোর মানসিক কারন সমূহ হলো- মানসিক চাপ, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, পারিবারিক কলহ, স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ, এসব কারনে সেক্সচুয়াল হরমোনের উপর প্রভাব পড়ায় পুরুষাঙ্গ শিথীলতা দেখা দেয়। মানসিকভাবে সুস্থতা ফিরে না এলে এবং ক্রমাগত মানসিক সমস্যাগুলো বাড়তে থাকলে যৌন স্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতি হতে থাকে। এক সময় পুরুষাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সময়মতো তার কার্যক্রম চালাতে ব্যার্থ হয়।

মানসিক চাপের ফলে মানবদেহে কোর্ডিসলের পরিমান বৃদ্ধি পায়, কোর্ডিসল বেড়ে গেলে টেষ্টোষ্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার আশংখা থাকে। গবেষণায় প্রমানিত ৭০% পুরুষের যৌন সমস্যার জন্য কোর্ডিসল দায়ী। আর কোর্ডিসল বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দায়ী।

পুরুষাঙ্গের দুর্বলতার আরো যে কারনগুলো উল্যেখ করা যেতে পারে তা আরো ভয়ঙ্কর, অর্থাৎ কিছু কিছু বদভ্যাস তার পুরুষত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে, যেমন- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন। যারা সপ্তাহে একাধিকবার হস্থমৈথুন করে তাদের লিঙ্গের শিরাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিছু উপশিরা ছিড়ে যাওয়ার মতো উপক্রম হতে পারে, যার কারনে পুরুষাঙ্গের কর্মশিথিলতা দেখা দেয়।

আবার অনেকের দূরারোগ্য সারাতে দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়, যার ফলে এসব ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যৌন শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। এন্টিবায়োটিক ঔষধ মানুষের শরীরের প্রাকৃতিক শক্তিকে প্রায় নষ্ট করে দেয়, বিশেষ করে পুরুষদের যৌন ক্রিয়ায় ছন্দ পতন ঘটাতে অনেকটা দায়ী হিসাবে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দীর্ঘমেয়াদি ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন, কার্ডিওভাস্কুলার, লিভার ডিজিস, অকার্যকর কিডনি রোগীদের লিঙ্গোত্থানজনিত সমস্যা হতে পারে বলে ধারনা করছেন।

এসব সমস্যার সঠিক চিকিৎসা না করলে পুরুষদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দেয়। কারন যৌন মিলনের সময় যদি পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ায় তাহলে মিলন করাই অসম্ভব।

পুরুষত্বহীনতা দূর করার উপায় – পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা

পুরুষত্বহীনতার এলোপ্যাথিক চিকিৎসা:পুরুষত্বহীনতায় এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বাংলাদেশে ততটা কার্যকরী মনে হয়না কেননা আমরা যত ধরণের পেশেন্ট থেকে ইমেইল/ফোন পাই তারা একটি কথাই বলে যে অনেক ঔষধ খেয়েছি কোনো কাজ হয়নি । আসলে এখানে মনে হয় অধিকাংশ ডাক্তারগণ এই রোগের মূল কারণ ধরতে ব্যার্থ হয় যার দরুন ভুল ওষুধ গ্রহণে কোনো কাজ হয়না । এই রোগের মূল কারণ ধরতে পারলেই এই রোগের ভালো চিকিৎসা সম্ভব ।
পুরুষত্বহীনতার ঘরোয়া চিকিৎসা বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা: পুরুষত্বহীনতায় ঘরোয়া চিকিৎসা বলতে ভেষজ উপাদান দিয়ে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় সেটাকে আমরা বুঝে থাকি । সঠিক ভেষজ নির্বাচন এর মাধ্যমে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার বা লিঙ্গ না দাঁড়ানোর চিকিৎসা কার্যকর ভাবে করা যায় । আপনার যৌন আগ্রহ যদি কম থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার টেস্টোস্টরেন হরমোন ইমব্যালেন্স হয়ে গিয়েছে । এছাড়া প্রোলাক্টিন লেভেল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । পুরুষ ও মহিলা উভয়ই প্রোল্যাক্টিন হরমোন উৎপাদন করে, তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের কম স্তরের প্রোল্যাক্টিন থাকে । যদি কোনোভাবে এই হরমোন পুরুষদের বেশি হতে থাকে তখন পুরুষদের প্রধান সেক্স হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয় যার কারণে শরীরে নানা যৌন সমস্যা দেখা দেয় । এখানে জেনে রাখা ভালো , পুরুষদের প্রোল্যাক্টিনের স্বাভাবিক মাত্রা 17ng/ml-এর কম এবং নারীদের প্রোল্যাক্টিনের স্বাভাবিক মাত্রা 25ng/ml-এর কম।

আসুন আমরা জেনে নেই যেসব ভেষজ উপাদান পুরুষত্বহীনতার ঘরোয়া চিকিৎসা করা যায় :
১. মাকা পাউডার , যা আপনার হরমোন ব্যালেন্স করতে দারুন ভাবে কার্যকর
২. অশ্বগন্ধা
৩.সফেদ মুসলি
৪. কাবাব চিনি
৫. অশ্বগন্ধা
৬.শিমুল মূল
৭.শতমূল
৮.তাল মূল
৯.আকর করা
১০.শীলাজুত
১১.মকর-ধ্বজ
১২.আলকুশী বীচ
১৩.তেতুল বীচ
১৪.জয়ত্রী
১৫.জায়ফল
১৬. কাতিলা গম

উপরের ভেষজ উপাদান একটি নির্দিষ্টি অনুপাতে নিয়ে একটি কার্যকরী পুরুষত্বহীনতার ঔষধ তৈরি করে নিতে পারেন অথবা আমাদের কাছে অর্ডার করতে পারেন । উপরের উপাদানের ভিতর আলকুশি শোধন করে নিতে হবে নতুবা শরীর চুলকাতে পারে । এই নিয়ে অন্য কোনো আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ।

পুরুষত্বহীনতার বা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের বৈপ্লবিক চিকিৎসা শকওয়েভ থেরাপি

এখন আমরা কথা বলবো একটা লেটেস্ট ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এর ট্রিটমেন্ট অপশন নিয়ে, সেটা হলো শক ওয়েভ থেরাপি । শক ওয়েভ থেরাপি ডিভাইস এর মাধ্যমে পেশেন্টদের লিঙ্গে এক ধরণের তরঙ্গ সঞ্চালন করা হয় ।

দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের লিঙ্গ জনিত সমস্যা আর্টারি ইনসাফেন্সি অথবা ভ্যাকুলোজেনিক ইম্পোটেন্সি এর কারণে খুব কমই হয় । যখন আমাদের লিঙ্গের কিছু অংশে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক না থাকে সেই জন্য কিন্তু লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা বেশি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে টি শর্ট ট্রিটমেন্ট এর পাশা পাশি শক ওয়েভ থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হয় । আবার অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় পেশেন্ট কে কিছু মেডিসিন দিয়ে ট্রিট করে এবং পরে শক ওয়েভ থেরাপি দেওয়া হয় । শক ওয়েভ থেরাপি হলো খুবই লেটেস্ট একটি ট্রিটমেন্ট অপসন যার মাধ্যমে পেশেন্ট একেবারেই কোনো ব্যাথা পান না বা পেইন হয়না । এমনকি তারা তেমন কিছু ফীলও করতে পারেন না । শক ওয়েভ এটা এক ধরণের ডিভাইস এর মাদ্ধমে এক ধরণের তরঙ্গ নিরসরণ করে লিঙ্গের মাসল গুলোকে স্টিমুলেট করা হয় । শক ওয়েভ থেরাপি দেওয়ার ফলে লিঙ্গে নতুন নতুন ব্লাড ভেসেল বা রক্ত নালী তৈরি যা লিঙ্গের স্বাভাবিক ব্লাড সার্কুলেশন এর জন্য অনেক গুরুত্তপূর্ণ । তাই, আমরা বলতে পারি কারো যদি পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর সমস্যা থাকে তাদের উচিত একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্বাবধানে থেকে শক ওয়েভ ট্রিটমেন্ট নেওয়া ।

পুরুষত্বহীনতা বা পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ভাবে যা যা করবেন

পুরুষাঙ্গ শক্তিশালী করার জন্য ঘরোয়া ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিলে সম্পুর্ণরুপে সুস্থ হওয়া যায়। সুস্থতার জন্য প্রাথমিকভাবে যা করবেন-

  • টেষ্টোষ্টেরন হরমোন বৃদ্ধি হয় এমন খাবার খেতে হবে।
  • বিচি জাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, যাথে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
  • ভিটামিনের মধ্যে বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক খেতে হবে, বা যেসমস্থ খাবারে এসব থাকে তা খেতে হবে।
  • দিম, দূধ, মাখন ও পনির সাপ্তাহিক খাবারের মেন্যুতে রাখতে হবে।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম করতে হবে। এবং নির্ধারিত সময়ে ঘুমাতে হবে, কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
  • অতিরিক্ত শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
  • সমস্যা তীব্র হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X