গলায় মাছের কাঁটা আটকালে কি করবেন ? জেনে রাখলে কাজে আসবে!
গলায় মাছের কাঁটা আটকালে কি করবেন ? জেনে রাখলে কাজে আসবে! আমরা প্রায় সময়ই পরিবারের কাউকে না কাউকে নিয়ে বিপাকে পড়ে যাই। যখন পরিবারের কারো গলায় বা নিজের গলায় মাছের কাঁটা বিদে যায়। কতটা যন্ত্রনা সইতে হয়! ছোটবেলায় আমারও কাঁটা আটকে ছিল। তাই আমি এই যন্ত্রনা সম্পর্কে কিছুটা বিবরন দিতে পারি। কাঁটা বের করার জন্য কতরকমের ঘরোয়া টোটকা করতে হয়েছিল, তা আর লিখে শেষ করা যাবেনা। যাক সম্ভবত ২০১৭-১৮ সালে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা পত্রিকায় আসে। শুনে খুব খারাপ লেগেছিল, ২ বছরের বাচ্ছাকে মাছ খাওয়াতে গিয়ে গলায় কাঁটা আটকে, বাচ্ছাটি মারা গেল! অসহায় হয়ে সন্তানের মৃত্যুর স্বাক্ষী হওয়া ছাড়া মায়ের কিছুই করার ছিলনা। বড়রাও কম বিপদে পরেননা। ঝাড়ফুক, ভাতের জরা, আঞ্চলিক টোটকা এমনকি বিড়ালের পা ধরে ক্ষমা চাওয়াসহ কোন টোটকা ই বাদ দেয়া হয়না।
কাঁটা আটকালে কি করবেন
প্রথমত উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থাকতে হবে। এবং লেবুর রস হাতের কাছে থাকলে তা দিয়ে প্রথম টোটকা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে চিকিৎসার চিন্তা মাথা থেকে সরাতে পারবেননা। চিকিৎসা অবশ্যই করতে হবে। নিকটস্থ হোমিও ফার্ম্মেসীতে যেতে হবে। হোমিও ডাক্তারকে ঘটনা খুলেও বলতে পারেন – বা নিজেই ঔষধের নামটা বলতে পারেন। এতে নিজের অভিজ্ঞতাটাও চেক করে নিতে পারবেন। এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটাও আরও বাড়বে। হোমিও ডাক্তারকে বলবেন, ” সাইলেসিয়া ” ২০০। এবং বলবেন বড়িতে দেয়ার জন্য। ২০-৩০ টাকা দিলেই হবে। আশাকরি এর বেশী চাওয়ার কথা না। এবং বিবেকবান হলে চাইবেওনা। এবার এই বড়িগুলো ১০ টা করে ২ ঘন্টা পর পর খাবেন। প্রথম ২ বার, মানে ৪ ঘন্টায় কাঁটা নরম হয়ে যন্ত্রনা প্রায় ৮০% কমে যাবে। এবং আরও ৩ বার সেবনে আশ্চর্যজনকভাবে কাঁটা মিলিয়ে যাবে। এটা যদি অনেকদিনের পুরানো হয়, তাহলে ১০ ফোটা করে ৩-৪ বার সেবন করতে হবে। এভাবে ১০-১৫ দিন সেবনে কাঁটা নরম হয়ে আসবে, এবং যন্ত্রনা কমে আসবে। এবং ১ মাস সেবনে আশা করা যায় পুরোপুরি সেরে যাবে।
আরও পড়ুনঃ যৌবন পুণর্গঠনের সেরা হার্বস!
যে তথ্যটা আজ আপনি জানলেন, আমরা আশা করি আপনি তাতে উপকৃত হবেন। আর আপনার উচিৎ হবে, আমার মত আপনিও সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আশা করছি মাছের কাঁটা গলায় আটকালে কেউ কস্ট করবেনা।