সতর্কতাসাধারন জ্ঞান

ধুমপান ছাড়ার উপায় বা ধূমপান থেকে মুক্তি

ধুমপান ছাড়ার উপায় বা ধূমপান থেকে মুক্তির উপায়, যাই বলেন – তা আসলে সব ধূমপায়ীই চায় এই খারাপ অভ্যাস থেকে ফিরে আসুক। যদিও অন্যসব নেশার মতো এতটা অসামাজিক নয়। তবুও তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একজন ধূমপানে আসক্তি ব্যাক্তিকে হয়ত সামাজিকভাবে ঘৃনা করা হয়না। তবুও পাবলিক প্লেস বা পারিবারিকভাবে অনেক বিরম্বনায় পড়তে হয়।স্ত্রী সন্তানসহ গুরুজনদের নিকট ধূমপয়ীরা সবসময় অপরাধীর ন্যায় থাকতে হয়। তাই আমি মনে করি ধূমপান ছেড়ে দেয়া শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয় – সমাজ ও পরিবারের জন্যও জরুরী। এই লেখাটা পড়লে আপনি ধূমপান থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কিভাবে ধূমপান ছাড়বেন ?

কিভাবে ধূমপান ছাড়বেন এটা আপনার উপর নির্ভর করে। অনেকে বলে ধুমপান থেকে মুক্তি পেতে নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। কিন্তু সবসময় ইচ্ছাটা নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। তাই নিয়ন্ত্রনের জন্য অন্য উপায় খুঁজে নিতে হয়। আমার লেখাগুলোই এরকম। সবসময় ব্যাতিক্রম কিছু খোঁজার চেস্টা করি। এবং তা আপনাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার চেস্টা করি।

এন্টি স্মোকিং মিক্সড ফর্মুলা

এন্টি স্মোকিং অর্থাৎ ধুমপান প্রতিরোক ফর্মুলাটি যদি জেনে রাখেন, তাহলে আজ থেকে ধুমপান থেকে মুক্তি পেতে আরও সহজ হয়ে যাবে। তবে সেটা ধৈর্য সহকারে খেয়ে যেতে হবে। এবং সবসময় সাথে রাখতে হবে। অন্তত ১-২ মাস এই ফর্মুলা অনুযায়ী অভ্যাস করলে, আমি শতভাগ নিশ্চিত, আপনি ধূমপান ছেড়ে দিবেন।

হরতকি ধূমপান ছাড়াতে প্রধান ঔষধি ফল

হরতকি বা হরতকির গুড়া মুখে দিয়ে চুষে অথবা চিবিয়ে রস খেলে ধূমপানের নেশা জাগাতে বাধা দেয়। এই হরতকির রস বা নির্যাস মুখের অতিরিক্ত লালা শুষে নিয়ে, মুখগহ্বর লালাশুন্য করার কারনে, এবং মুখের ভিতরে একটা তিক্ততার কারনে ধূমপানের প্রয়োজনীয়তা দূর করে দেয়।

খেয়াল করে দেখবেন, যখনি মিষ্টিজাতীয় কিছু খাবেন, তখনি সিগারেট এর নেশা হবে। আর যখন কষ জাতীয় কিছু খাবেন, তখন আবার তার বিপরীত। যেমন আমলকি, আদা ইত্যাদি। বহেরা চিবালেও কিছুটা ফল পাওয়া যায়, তবে হরতকি ই বেস্ট। আরও কিছু আনুষাঙ্গিক ও সহযোগী উপাদান নিচে ধারাবাহিকভাবে লিখে দিচ্ছি। এগুলো সংগ্রহ করে নিবে।

আদাশুঠ বা আদার গুড়া

আদাশুঠ বা শুকনো আদার গুড়া বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যদি না পান, তাহলে আদা শুকিয়ে গুড়া করে নিবেন। আদার গুড়া ধূমপান প্রতিরোধে কাজ করে। আগে আমরা অনেক দোকানে বা গাড়িতে হকারের কাছ থেকে গলা পরিস্কারের জন্য জিনজার এর কৌটা কিনে খেতাম।

ঐ কোটায় লেখা থাকতো এটা নাকি ধূমপান প্রতিরোধক। যদিও শুধু আদাশুধু এককভাবে খেলে, কোন কাজের কাজ কিছুই হয়না। তবে হরতকির সাথে আদাশুঠ দারুন কাজ করে। তাই হরতকির সাথে আদা মিশিয়ে নিবেন।

ধূমপান প্রতিরোধে দারুচিনির গুড়া

দারুচিনির গুড়া একটি উত্তেজক হারবাল। এটি শুধু ধূমপান নয়, অনেক উপকারী একটি হারবাল উপাদান। অনেক কবিরাজগন, তাদের যৌন উত্তেজক ঔষধে দারুচিনির গুড়া ব্যাবহার করেন। তবে এই মিশ্রনটি এককভাবে ধূমপান প্রতিরোধে তেমন কাজ করবেনা। শুধু হরতকি আদাশুঠ ও দারুচিনি মিক্স করলে আশানুরুপ একটা ফল পাওয়া যাবে।

আমি জীবন এন্টি স্মোকিং নামে একটা পাউডার করে ছিলাম। অবশ্য প্রযুক্তির ব্যাবহার করতে পারিনি, অর্থাভাবে অবশেষে এটা বন্ধ রেখেছি। এবছর না ওবছর করতে করতে অনেকদিন হয়ে গেল, ট্যাবলেট ফরম্যাটে আর আসতে পারিনি। তাই ফর্মুলাটি সবার নিকট শেয়ার করলাম।

বানিজ্যিকভাবে নিয়ে আসার জন্য একসময় দিনরাত স্বপ্ন দেখতাম। আর এই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। তাই বলে কি সাধারন আসক্তিগন, যারা ধুমপান থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন! তাদের জন্য একটু লিখবনা। আমার এতবড় একটা ওয়েবসাইট থাকতে, আমি কেন নিজের মধ্যে এই ফর্মুলা লুকিয়ে রাখবো।

হয়ত আর কেউ এটা কাজে লাগিয়ে আসক্তদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। আমার বিশ্বাস ৮০ ভাগ ধুমপায়ী ফিরে পাবে একটা সুন্দর ও স্বাস্থোজ্জল জীবন। রোগবালাই এর এই পোস্ট কপি না করে শেয়ার করবেন। কপি এটা একটা অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X