হোমিও আলফালফা কিসের ঔষধ | খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত

হোমিও আলফালফা সিরাপ একটি আদর্শ মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল। এতে ব্যবহৃত আলফালফাতে প্রায় সকল ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে ।
• সকল ধরনের প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন : ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম , জিঙ্ক , আয়রন , ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি শরীরে সরবরাহ করে । • এ পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে যা মানবদেহে প্রচুর পরিমাণ শক্তির যোগান দেয় । – ভিটামিন ও মিনারেল এর পাশাপাশি একই সাথে প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট সরবরাহ করে ।
ভগ্নস্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে অত্যন্ত কার্যকরী । • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । নিয়মিত সেবনে শরীরকে সতেজ ও মনকে প্রাণচাঞ্চল্য করে । -গর্ভবতী ও স্তন্যদানকালীন মহিলাদের শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ করে । • এতে একইসাথে ভিটামিন , মিনারেল , প্রোটিন , কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট বিদ্যমান রয়েছে তাই ইহা ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দেওয়া যায় ।
• মানবদেহের ভিটামিন এর অভাব পূরনের পাশাপাশি যাদের রক্তে কোলেষ্টেরলের মাত্রা বেশি আছে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখে । ● বাড়ন্ত শিশু কিশোর – কিশোরীদের ওজন ও উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে । মহিলাদের প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণের ফলে দুর্বল স্বাস্থ্যকে সুগঠিত করে । • সকল বয়সী মানুষের রুচিবর্ধক হিসেবে কাজ করে ।
আলফা সিরাপ কিসের ঔষধ
সাধারণ ও স্নায়বিক দুর্বলতায় কার্যকরী প্রাকৃতিক হেল্থ টনিক রোগ নির্দেশনা • সাধারণ দুর্বলতা ● স্নায়বিক দুর্বলতা ক্ষুধামন্দা ● অপুষ্টি ও ভগ্নস্বাস্থ্য -উদ্বিগ্ন ও অনিদ্রা ।-দীর্ঘদিন অসুস্থতাজনিত স্বাস্থ্যভগ্নতায় খুব উপকারী। -শিশুর অরুচিতে দারুন টনিক হিসাবে কাজ করে।
হোমিও আলফা সিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি
আলফালফা একটি হোমিও ঔষধের জেনেরিক নাম। এর সাথে বিদ্যমান অন্যান্য উপাদান সমুহ অত্যান্ত নিরাপদ ও সুসহনীয়, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশংকা নেই বললেই চলে। তবে হয়ত কোন কোন কোম্পানি আলফালফা নাম ব্যাবহার করে, অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান মেশাতে পারে। কারন বাজারে একটা কম্পিটিশন তৈরী হয়েছে- কার আগে কে রেজাল্ট দেখাতে পারে।
তবে কয়েকটা সুনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এখনও সেই অসভ্য যুদ্ধে অংশ নেয়নি। এর মধ্যে আমার জানামতে ডিপলেড হোমিও, ম্যাক্সফেয়ার হোমিও, নিউলাইফ সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনও আন্তর্জাতিক মানের ঔষধ তৈরি করে আসছে। সব ঔষধ কেনার সময় অবশ্যই ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এর নাম দেখে কেনা উচিত। এতে করে নিজেরও একটা অভিজ্ঞতা হয়, পাশাপাশি ঔষধের মত একটা সেনসিটিভ পণ্য ক্রয়ে প্রতারিত হওয়ার ভয় থাকেনা।
গর্ভাবস্থায় আলফালফা সেবন
গর্ভাবস্থায় আলফালফা সেবনে অতিরিক্ত পুষ্টির যোগান দেয়। আগত শিশুকে অপুষ্টি থেকে মুক্ত রাখে। এবং প্রসূতি পরবর্তীতে মাতৃদুগ্ধ সংকট নিরসন করে। আলফালফা একটি ঔষধ হলেও মুলত নিউট্রিশন বা ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবেও সেবন করা যায়। আমাদের দেশের সাধারণ রোগীদের অসচেতনতা বা অজ্ঞতার কারনে এসব গুরুত্বপূর্ণ খাবার সম্পর্কে তেমন প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়না। অথচ এর পরিনাম হিসাবে গুনতে হয় অনেক টাকা, এবং জীবন পরে ঝুঁকির মধ্যে।
শিশুর অরুচিতে আলফালফা এর ভুমিকা
অনেক শিশুর খাবারে অনীহা এমন পর্যায়ে চলে আসে, যা তাদের মা বাবাকে চিন্তায় ফেলে দেয়। ডাক্তার দেখাতে দেখাতে ক্লান্ত হয়ে পরে। তাদের জন্য আমার উপদেশ থাকবে- আলফালফা সিরাপ ১-২ চামচ করে দিনে ২-৩ বার ২ মাস পর্যন্ত সেবন করে দেখুন। কি রেজাল্ট আসে।
আলফালফা খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৩-৪ চামচ করে দিনে ২-৩ বার।অপ্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ ৮-১২ বছর বয়সের রোগীকে ২ চামচ করে দিনে ২-৩ বার। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স ও ওজনের উপর নির্ভরে – ১-২ চামচ করে দিনে ২-৩ বার দেয়া যায়।গর্ভবতী নারীদের ২ চামচ করে দিনে ৩ বার দেয়া যেতে পারে।