স্বাস্থ্য টিপস

ডায়বেটিস – হৃদরোগ ও ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে বাঁশের কোড়ল কিভাবে খেতে হয়

বাঁশের কোড়ল মুলতঃ পাহাড়ি অঞ্চলে একসময় সবজি হিসাবে খুব জনপ্রিয় ছিল। কালের বিবর্তন আর বাঁশের কোড়ল নিয়ে তথ্যবহুল প্রচার না থাকায় এর কদর অনেকটা কমে গেছে। আমার দাদী-নানীর আমলে আদিবাসীরা বাঁশের কোড়লকে বিকল্প সবজি হিসাবে গোশতের সাথে তরকারী রান্না করে খেতেন।

আমাদের সাথে ঠাট্টার মতো করে, অনেক সময় বলতে শুনেছে হাঁস দিয়ে বাঁশ দিয়ে খেতে অনেক মজা! আমরা ভাবতাম হয়ত ছন্দ মিলিয়ে বলার জন্যই এটা বলা হতো। এখন যখন বাঁশ সবজির খাদ্য শক্তি সম্পর্কে জানতে পারলাম, যে এত পুস্টিগুনে ভরা এই সবজি এতোদিন খাইনি। কিছুটা আফসোস তো হবেই। এবার আসি মুল প্রসঙ্গে –

বাঁশের কোড়লে ভিটামিনস ও মিনারেল সমুহ –

একটি বাঁশের কোড়িলে প্রায় ৮৯ % পানি ছাড়া ১.৫-৪% প্রোটিন থাকে। ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪ সেলুলোজ, এবং ১.১% খনিজ উপাদান থাকে। অনেকের মতে ভিটামিন বি ১ ও ৬ পাওয়া যায় এই বাঁশের কোড়লে।

বাঁশের কোড়ল এর উপকারীতা –

বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায় – বাঁশের কুড়িল সবজি হিসাবে খেলে, দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। উচ্চরক্তচাপ ও ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

এছাড়াও এছাড়াও হাঁপানী, ডায়বেটিস ও মৃগীরোগে কার্যকর ভুমিকা রাখতে বাঁশের কোড়ল অত্যন্ত উপকারীকোষ্ঠ্যকাঠিন্য, বদহজম, ক্ষত সারাতেও এর উপকারীতা কম নয়। ভিন্নমতে বাঁশের কোড়লে থাকা ভিটামিন বি, বাত ব্যাথায় উপকার হয়। যদিও এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।

বাঁশের কোড়ল দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরী করা যায় –

আগে শুনতাম শুধু বাঁশ দিয়ে আর হাঁস দিয়ে নাকি খায়! কিন্তু বাঁশের কুড়ল দিয়ে চিংড়ি, বিভিন্ন মাংস ছাড়াও যেকোন মাছ দিয়ে তরকারী রান্না করা যায়। এছাড়াও বাহারী নাস্তা করতে বাঁশের কোড়লের ব্যাবহার রয়েছে। এর মধ্যে বাঁশকোড়ল ও নুডলসের রেসিপি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যেভাবেই খেতে চান, বাঁশের ব্যাবহার সবকিছুতেই ফিট বলা যায়।

বাঁশ কোড়ল যে সমস্ত দেশে জনপ্রিয় –

বাঁশের কোড়ল যে সমস্ত দেশে জনপ্রিয়, তার মধ্যে জাপান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সুইডেনে বেশ চাহিদা আছে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায়ও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু যেভাবে বাঁশবন উজার হচ্ছে, তাতে পুস্টি সমৃদ্ধ এই সবজি ভবিষ্যতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X