মানুষিক স্বাস্থ্যসাধারন জ্ঞানস্বাস্থ্য টিপসহারবাল

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় | চিকিৎসাসহ বিস্তারিত।

স্বপ্নদোষ বা Nightmares / night discharge
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের স্বপ্নদোষ হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এর একটা নির্দিষ্ট পরিমান থাকবে। অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ অন্য কোন রোগের কারন হতেও পারে। বা বিভিন্ন রোগের জন্যও Nightmares বেড়ে যেতে পারে। স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আজকের লেখায় কিছু জানানোর চেষ্টা করব।

স্বপ্নদোষ কী ?

মুলতঃ শুক্রথলিতে জমা হওয়া শুক্রের চাপের কারনে। স্বপ্নে কোন সুন্দরী নারীর প্রতি দূর্বল হওয়ার ফলে, কামভাব বেশী হয়ে বীর্যপাত ঘটে। এই স্বপ্নযোগে বীর্যপাতকে স্বপ্নদোষ বলা হয়। তবে এই প্রক্রিয়া সাধারনতঃ প্রতি ২ সপ্তাহে ১ বার বা সপ্তাহে ১ বার যদি হয়। তা স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যের জন্য কোন ক্ষতিকর নয়। তবে সপ্তাহে ২ বারের অধিক হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আয়ুহার্বা টেস্টোস্টোরণ বুস্টার  – স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে খুবই কার্যকরী আয়ুর্বেদিক মেডিসিন

অবিবাহিত ছেলেদের সবথেকে সমস্যার মধ্যে একটি হলো স্বপ্নদোষ। এটি ধীরে ধীরে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পতঙ্গ গুলিকে দুর্বল করে দেয়। পুরুষদের জন্য একেবারে এই রোগটি ভালো না। ভবিষ্যতে অনেক জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে এই রোগের ফলে। আয়ুহার্বা টেস্টোস্টোরণ বুস্টার স্বপ্নদোষের একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক পথ্য । এইটা খাওয়ার ফলে স্বপ্নদোষ, ধাতু দুর্বলতা এবং ধজঃভঙ্গ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাই । এই প্রোডাক্টটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এটি সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন । স্বপ্নদোষ থেকে রেহাই পেতে আয়ুহার্বা টেস্টোস্টোরণ বুস্টার এখনই অর্ডার করুন ।

যৌন সমস্যায় আয়ুহার্বা টেস্টোস্টোরণ বুস্টার অর্ডার করুন (১০০% পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন )

অর্ডার করার পর অবশ্যই ফোন করতে হবে : +88 01987323370


স্বপ্নদোষ কার হতে পারে :

প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের, যাদের এখনও বিয়ে হয়নি। তাদের একটা যথারীতি নিয়মে স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়। এক্ষেত্রে তালাকপ্রাপ্তা নারী অথবা বিধবা কমবয়সী নারীদের উপর একটু প্রভাব পড়তে পারে। অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে একই সমানভাবে প্রভাবিত নাও হতে পারে। মুলকথা স্বপ্নদোষ সবারই হতে পারে। স্বাভাবিক Nightmares এ চিকিৎসার প্রয়োজন নাই। শুধু অতিরিক্ত স্বপ্নদোষকেই চিকিৎসার কারন হিসাবে দেখতে হবে।

স্বপ্নদোষ হওয়ার কারন কি :

প্রথমতঃ সহজ কিছু কারন উল্লেখ করছি।

  • বীর্যথলিতে বীর্য বেশী জমা হলে, এর চাপে ও প্রস্রাবের বেগ বেড়ে যাওয়ায় স্বপ্নদোষ হয়।
  • দূর্বল শরীরে সকালের অতিরিক্ত ঘুম, ও দিনের বেলায় ঘুম থেকে স্বপ্নদোষ হতে পারে।
  • দিনের বেশীরভাগ সময়, নারীচিন্তায় মগ্ন থাকা একটি অনন্য কারন হতে পারে।
  • নগ্ন নারীদের ছবি দেখার অভ্যাস, অথবা নগ্ন গল্প পড়ার অভ্যাস থেকে night discharge বেড়ে যেতে পারে।
  • বীর্যের ঘনত্ব কমে গেলেও বীর্যথলি শুক্রের চাপ বহন করতে ব্যার্থ হয়ে, night discharge হতে পারে।
  • বয়ঃসন্ধিকালে অতিরিক্ত হরমোনের ফলে স্বপ্নদোষ হতে পারে।
  • রাতের বেলায় ঘুমানোর পূর্বে নারীচিন্তা থেকে night discharge হতে পারে।

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় :

প্রতিমাসে ১ থেকে ২ বার স্বপ্নদোষ হবে বা হতে পারে, এটা অত্যান্ত স্বাভাবিক। তবে অতিমাত্রায় night discharge হওয়া থেকে বাঁচার কিছু উপায় আছে। তা অনুস্মরন করলে, Nightmares কমিয়ে আনা সম্ভব।

  • রাতের খাবার বেশী দেরী করে না খেয়ে তারাতারী খেয়ে নেয়া। এবং ডিনারের পর কিছুক্ষন হাটাহাটি করা।
  • তুলনামুলক রাতে পানি কম খেলে, প্রস্রাবের চাপ কম হয়। আর তাতে বীর্যের চাপে তেমন প্রভাব পরেনা।
  • নারীচিন্তা, নীলছবি দেখার অভ্যাস,ও হস্তমৈথুন পরিত্যাগ করা। এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে, ঘুমন্ত অবস্থায় লিঙ্গোত্থান এড়ানো সম্ভব।
  • অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও গুরুপাক খাবার পরিত্যাগ করা।
  • রাতের ঘুম ভাল হওয়ার জন্য, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রশান্তির ঘুমে Nightmares এর প্রভাব কমাতে পারে।
  • সকাল সকাল ঘুমানো ও ভোরে জেগে উঠার অভ্যাস স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচাতে পারে।
  • বিয়ে করলে এসমস্যা দূর করা অত্যান্ত সহজ। তাই বয়স উপযুক্ত হলে, বিয়ে করে নেয়া উচিত।

স্বপ্নদোষের চিকিৎসা :

সেক্সোলজিস্ট কোন ডাক্তারকে স্বপ্নদোষের বিবরন জানাতে হবে। তবে মফস্বলে সেক্সোলজিস্ট ডাক্তারের অভাবে অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। ভেষজ চিকিৎসা এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করতে পারে।

বীর্যের ঘনত্ব বাড়ানো স্বপ্নদোষ এড়ানোর একটি কৌশল হতে পারে। এক্ষেত্রে ফেনড্রাগ এর জিরিয়ান, অথবা ইউনানী কুশতা কলয়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ২ মাস সেবন করতে পারেন।

রাত্রে মাথায় ঠান্ডার তেল ব্যাবহার করতে পারেন। এতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকবে, এবং প্রশান্তির ঘুম হলে। মস্তিষ্ক যৌনবিষয়ক সিগন্যাল থেকে মুক্ত থাকতে পারে। তবে এসব কৌশল শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারেন। যতক্ষন না মন থেকে কুমন্ত্রনা কুচিন্তা দূর করতে না পারেন, ততক্ষন স্বপ্নদোষের প্রভাবমুক্ত হতে পারবেননা।

শারীরিক দূর্বলতা থাকলে, তার চিকিৎসা করাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। দূশ্চিন্তা Nightmares এর উপর প্রভাব পরে। তাই দূশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ততা দূর করতে হবে। স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে লেখাটা অনুস্মরন করা প্রত্যেক যুবদের মেনে চলা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X