ফর্স্বা হওয়ার উপায় কি? এবং দাগ দূর করা যায় কিভাবে
কসমেটিক্স এখন অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। নামে বেনামে অসংখ্য কোম্পানীর ভীরে কোনটা আসল, তা বুঝাই মুশকিল। আবার আসল বা মুল ব্র্যান্ডের হুবহু তৈরী হচ্ছে, জিনজিরাসহ অনেক চিপায় চাপায়। এতে বিশ্বাস হারিয়ে তলানীতে পৌছেছে সাধারন মানুষের। তবে ঘরোয়া অনেক সহজ পদ্ধতি (skin care) আছে, যা দিয়ে ত্বককে সারা জীবন তারুন্যময় করে রাখা যায়।
ত্বকের যত্ন নিবে লেবুর রস :
প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসাবে লেবুর জুড়ি নেই, এটি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে, মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের সংকোচন সৃষ্টিকারী পদার্থকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। চামড়ার অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে। লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যানটি সেপটিক। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করে। ব্রণ সারিয়ে তোলে, ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। বয়সের বলিরেখা দূর করে।
আপেল সাইডার ভিনেগার :
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ত্বক মসৃণ ও সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। এর ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান ত্বকের সংক্রমণ যেমন- একজিমা ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। আপেল সাইডার ভিনেগার এবং জল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে নিয়ে যেসব জায়গায় বলিরেখা দেখা দিয়েছে সেই খানে স্প্রে করুন অথবা তুলোয় করে নিয়ে সেই জায়গাতে তুলনা লাগিয়ে রাখতে পারেন। এরপর ১০-১৫ মিনিট রেখে সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এটি করুন
মশুরডাল বাটা :
একদিকে মুসুর ডাল প্রোটিনে ভরপুর, অন্যদিকে খেতেও সুস্বাদু এবং গরমের দিনে আদর্শ আহার! আর এরই পাশাপাশি উপটান হিসেবেও মুসুর ডাল বাটা দারুণ কাজের! মুখের ট্যান দূর করা থেকে মুখের বাড়তি রোম কমানো বা ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে ব্যবহার করতে পারেন মুসুর ডাল।
শসা ও লেবু একসাথে :
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে আমাদের ত্বক পুড়ে যায়। শসা এই পোড়া দাগ সহজেই দূর করে। বাসায় ফিরে শসা কেটে স্লাইস করে মুখে লাগাতে পারেন। অথবা শসা বেটে এর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কিংবা শসার রস দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন বাসায় ফিরে এই আইস কিউব মুখে ঘষুন। এতে আপনার ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটা দূর হবে।
শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
ত্বকের যত্নে মধু :
২ টেবিল চামচ মধুতে ১ চা-চামচ ওটস গুঁড়া ও আধা চা-চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ত্বকে আলতোভাবে মালিশ করুন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২ চা-চামচ মধু ও ছোট আকারের একটি পাকা কলা (কিংবা বড় আকারের কলার অর্ধেকটা) একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট করে নিন। এটি ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখে।
ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির হলে মধু ও দুধের সরের প্যাক তৈরি করতে পারেন।
অলিভ ওয়েল এ ত্বকের যত্ন :
অলিভ অয়েলে আছে linolic acid, যা পানি বাষ্প হতে দেয়না। তাই ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে একটি সলিউশন তৈরি করুন যা রাতে ঘুমানোর সময় নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল স্কিনকে নরম করে, ভিনেগার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ত্বকের যত্ন সঠিকভাবে নিতে হলে, এসব বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন – হামদর্দ এর জন্ডিসের ঔষধ
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
মুখের কালো দাগ দূর হবে মাত্র কয়েক দিনে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ১ চামচ মুলতানের মাটির সাথে ১ চামচ পেয়াজের রস মিশিয়ে মুখে বা ত্বকের যে অংশে দাগ আছে তার উপর আলতো ঘষে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অথবা কোন ফেশওয়াস দিয়েও ধুতে পারেন। এভাবে কিছুদিন কন্টিনিউ করলে মুখের দাগ দূর হবেই।