সাধারন জ্ঞান

উচ্চরক্তচাপ এর কিছু ঔষধের নাম জেনে নিন

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রের কয়েকটা ঔষধ।


উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে, স্ট্রোক বা হার্টএটাক হতে পারে। এই স্ট্রোক অথবা হার্টএটাকে মৃত্যুও হতে পারে। এজন্য নিয়মিত রক্তচাপ দেখে নেয়া উচিত। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হলে, এটাকেই হাইপ্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ বলে। এই হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রনের জন্য, প্রেসার ভেদে বিভিন্ন প্রকার এক বা একাধিক ঔষধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। এবং এ জাতীয় ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে হয়। কোন প্রকার বিরতি দেয়া যাবেনা, যতক্ষন ডাক্তার নিষেধ না করেছেন। অনেক সময় প্রেসার বেশী কমে গেলে, ঔষধের গ্রুপ পরিবর্তন করা লাগতে পারে, তবুও বন্ধ করা যাবেনা।
নিন্মে উচ্চরক্তচাপ বিরোধী কয়েকটা ঔষধ এর পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। উচ্চরক্তচাপ বিরোধী কিছু ঔষধের নাম জেনে নিন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রের কয়েকটা ঔষধ।

মিথাইলডোপাঃ ( methyldopa )

প্রতি টেবলেটে ২৫০ মিঃগ্রাঃ মিথাইলডোপা বিপি আছে।

ব্যবহারঃ


আরটারিয়াল হাইপারটেনশন এর সকল ধাপে ব্যবহার করা হয়।
বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের ক্ষতির প্রমান না পাওয়ায়, এই ঔষধ গর্ভবতীদেরকেও দেয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন ২-৩ বার পর্যন্ত সেবন করা যায়।
তবে, যকৃতের তীব্র রোগ যেমন, হেপাটাইটিস এবং সক্রিয় সিরোসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে মিথাইলডোপা ব্যবহার করা যাবেনা।

প্রোপানোলোল ( Propanolol )

এটি হৃদপিন্ডের গতি ও সংকোচন কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে।
১০/৪০/৮০ মিঃগ্রাঃ এর বিভিন্ন পরিমাপে পাওয়া যায়।

ব্যবহারঃ

উচ্চরক্তচাপ, এনজিনা পেকটরিস, পোস্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হৃদযন্ত্রের অতিকার্য্যকারিতা, হৃদযন্ত্রের গতির ছন্দহীনতা, দূশ্চিন্তা, আধকপালী ব্যথা, থাইরয়েড গ্রন্থির অতিকার্যকারীতায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
১০ – ৪০ মিঃগ্রাঃ দিনে ২-৩ বার দেয়া হয়।

এটিনোলোল ( Atinolol )

এটি বিটা ব্লকার জাতীয় রক্তচাপ বিরোধী ঔষধ।
৫০ ও ১০০ মিঃগ্রাঃ হয়।
৫০ বা ১০০ মিগ্রা টেবলেট রোজ ১-২ বার ব্যবহার করা যায়।
কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর এবং শ্বাসকস্টের রোগীদের ব্যবহার না করাই ভাল।

মেটোপ্রোলল টারট্রেট ( metoprolol tartrate )

প্রতি টেবলেটে ২৫/৫০ মিগ্রা, অনুযায়ী থাকে।
দৈনিক ২-৩ বার পর্যন্ত সেবন করা য়ায়।
তবে হাঁপানী এবং দ্বিতীয় বা তৃতীয় মাত্রায় হার্টব্লক থাকলে ব্যবহার না করাই ভাল।
এটি রক্তচাপসহ মাইগ্রেনেও কাজ করে।

এমলোডিপিন ( Amlodipin )

এমলোডিপিন একটি ডাই-হাইড্রোপাইরিডিন ক্যালসিয়াম বিরোধী ঔষধ, যার দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারীতা রয়েছে।
এর সাথে আবার অন্য ঔষধের সংমিশ্রন করেও বাজারজাত করা হয়।
যেমন – এমলোডিপিন ও এটিনোলল / এমলোডিপিন ও ওলমেসারটান / এমোডিপিন ও বিসোপ্রোলল ইত্যাদি।
৫ ও ১০ মিগ্রা হয়ে থাকে।

লোসারটেন পটাশিয়াম ( losarten potasium )

সকল প্রকার উচ্চরক্তচাপে ব্যবহার করা যায়।
২৫/৫০/১০০ মিগ্রা এর হয়ে থাকে।
সাধারনত দিনে ১ বার দেওয়া হয়।
লোসারটেন পটাশিয়ামের সাথে হাইড্রোক্লোরোথায়াজিড ও দেয়া হয়, যেন মুত্রবর্ধক হিসাবেও কাজ করে।

আরও অনেক ঔষধ আছে যেগুলো উচ্চরক্তচাপ বিরোধী ঔষধ। এগুলো ডাক্রারের পরামর্শ ব্যতিত সেবন না করাই ভাল।
আবার, ডাক্তারের অনুমতি ব্যতিত বন্ধ করাও উচিত নয়। উচ্চরক্তচাপ বিরোধী কয়েকটা ঔষধ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার কারন হলো- অনেকেই বিভিন্ন ভাবেই জানতে চায়, এগুলো কিসের ঔষধ। তাদের জন্য এই লেখাটা প্রয়োজনীয় বোধ করছি।

পরামর্শ :

এখনতো Online এর যুগ, তাই কেনাকাটাও সহজ, Daraz , alibaba, amazon, bdshop সহ অনেক online E comerce shop আছে, এসমস্থ সাইট থেকে Medical Equeipment সংগ্রহ করা যায়। একটি sphygmomanometer ও একটি Stethoscope অথবা Digital blood pressure মেশিন কিনে রেখে দিতে পারেন। এতে যেকোন সময় পরিবার বা প্রতিবেশীর কাজে আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X