পেটের গ্যাস কমানোর উপায় ! আজীর্ণ কি জেনে নিন
কোন কারনে পরিপাকতন্ত্রে হজমের ক্রিয়া ঠিকমত না হলে, পেটের গ্যাস কমানোর উপায় খুজতে হবে। না হয় অজীর্ণ বা Dyspepsia রোগের সৃস্টি হয়। বছরের যেকোন সময় এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালে এর প্রবনতা একটু বেশী হয়। সাধারনতঃ ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে বা অনিয়মিত খাবার থেকে এই রোগ হয়। আবার, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বেশী চা পান করা, ধুমপান ও অনিদ্রা থেকেও এই রোগ হয়।
দীর্ঘদিন অজীর্ণ থাকলে :
দীর্ঘদিন বা বছরের পর বছর অজীর্ণ বা Dyspepsia তে ভুগলে, এই রোগীকে গ্রামের ভাষায় পেট রুগী বলে। এ ধরনের রোগীর ক্ষুদামান্ধা, অরুচি, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা, শক্ত পায়খানা, আবার কখনও পাতলা বা আঠালোও হয়।
তাদের মল পরীক্ষা করলে, মলে অজীর্ণ খাদ্য কণা পাওয়া যায়। রোগীর টক ঢেকুর হয়, দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নিঃসরন হয়। পায়খানা সম্পুর্নভাবে ক্লিয়ার হয়না। মনে হয় আবার টয়লেটে যেতে হবে। পেট ভারবোধ হয়, ভরা ভরা মনে হয়। সামান্য খাবার খেলেই, পেট ভরে যায়।
অজীর্ণ বা Dyspepsia এর পরিনতি :
দীর্ঘদিনের অজীর্ণতা চলতে থাকলে, শরীরে আয়রন ও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। রোগী রক্তস্বল্পতায় ভুগতে থাকে। ধীরে ধীরে রোগী ক্ষীণ ও দূর্বল হয়ে পরে। অনেক সময় রোগীর ঘুম কম হয়। কারো কারো মুখে ঘা হতে পারে। দীর্ঘদিন অজীর্ণতায় ভুগলে পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয়। আবার কারো কারো উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়ে স্বপ্নদোষের প্রকোপ বেড়ে যায়।
অনেকের গ্যাস্টাইটিজের কারনে প্রচুর এসিডিটি হয়। কোন কোন বিশেষজ্ঞদের মতে, অজীর্ণ থেকে লিভারে অনেক ধরনের প্রবলেম হতে পারে, এমনকি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত আশংকা থাকে।
পেটের গ্যাসের ঔষধ কি :
অজীর্ণ বা Dyspepsia র জন্য অনেকেই চিকিৎসা করে এত সহজে সফল হয়না। কারন, চিকিৎসার পাশাপাশি পথ্য ও সতর্কতা ও কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলা উচিত। তবেই চিকিৎসায় সুফল পাওয়া যায়। তাই, প্রথমেই সাজেস্ট করি, যে সমস্থ খাবার সহজে হজম হয়না এসব এড়িয়ে, নরম ও আশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
রসায়নিক চিকিৎসার পাশাপাশি ভেষজ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে, যেমন – মুস্তাকারিস্ট / আরক নানখা এজাতীয় ঔষধ কিছুদিন চালিয়ে যেতে হবে। ত্রিফলার সাথে অর্জুন ছাল খুব ভাল কাজ করে। সেই সাথে ইসুবগুল থাকলে আরও ভাল। নিরাময়ের হার অনেকাংশে বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন – ঘুমের ঔষধের নাম কি
লক্ষনভেদে চিকিৎসা :
Pancreatin, ( প্যানক্রিয়েটিন) Mucus, ( মলের সাথে চর্বি) পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, পেট ব্যথা, বুকজ্বালা ও পেট ফোলা, দূর্বলতা এসব লক্ষনভেদে ডাক্তারের নিকট প্রকাশ করতে হবে। এবং ডাক্তারের দেয়া ঔষধগুলো প্রয়োজনে মিলিয়ে নিবেন। কারন, এতে আপনার সুস্থতার ফলাফল নিজেই অনুমান করে নিতে পারবেন।
তবে, এই মিলিয়ে নেয়াটা একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে পারে। আশা করবো তা যেন না হয়। অনেকে সামান্য ধারনা নিয়েই, বড় ডাক্তার সাজতে চায়। এতে তাদের নিজেরই সমস্যা হয়। জানতে হবে শুধু নিজের জন্য। কারো উপরে পান্ডিত্য দেখানোর জন্য নয়।
আরও পড়ুন – জন্ডিস কি এবং জণ্ডিসের ঔষধ
যে যত বেশী জানে, সে ততই নমনীয় হয়। কিন্তু অল্প জান্তা লোকদের আবার অনেক ঝামেলায় পরতে হয়। আমার আরও অনেক লেখা আছে, এগুলোতে এসব বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। একটু সার্চ করে কিছুটা সময় দিন। পড়ুন, জানুন, সতর্ক হোন।
আরও পড়ুন –