দাউদের মলমের নাম কি জেনে নিন | Econazole 1%
দাউদ একজিমা সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি পেতে, কোন মলম বা ক্রিম ব্যবহার করতে হয় বা কোনটা ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে! এনিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে – দাউদের ভাল একটা মলমের নাম ও কতদিন ব্যবহার করতে হবে তা জানাতে। জেনে ট্রাইকোডার্মা বা এই জাতীয় ক্রিম কি আছে, কতদিন কিভাবে ব্যাবহার করতে হয়।
ট্রাইকোডার্মা বা ফাঙ্গিসন এর কাজ কি
ইকোনাজল ছত্রাক কোষ ঝিল্লীর ব্যাপ্তিযোগ্যতা পরিবর্তন করে , আরএনএ , প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং লিপিড বিপাকে বাধা দেয় । ট্রাইএ্যমসিনোলনের মূলত গ্লুকোকরটিকয়েড কার্যকলাপ আছে । এটি পলিমোরফোনিউক্লিয়ার লিউকোসাইট হস্তান্তরে বাধা দান করে এবং কৈশিক নালীর ব্যাপ্তিযোগ্যতা কমিয়ে দেয় যার ফলে প্রদাহ কমে যায় ।
এভিসন ক্রিম কি কাজ করে
এভিসন ক্রিম ( ইকোনাজল নাইট্রেট বিপি এবং ট্রাইএ্যমসিনোলন এসিটোনাইড বিপি ) যেসব চিকিৎসায় নির্দেশিতঃ
– একজিমাটোস মাইকোসেস
• সোরিয়াসিস
• টিনিয়া পেডিস ( অ্যাথলেটস ফুট ) টিনিয়া করপোরিস ( রিং ওয়ার্ম )
● টিনিয়া ক্রুরিস ( জক ইটছ ) ইনফ্লামেটোরি ইন্টারট্রিগো ডায়াপার ডার্মাটাইটিস . অনিকোমাইকোসিস- অনিকোমাইকোসিসে স্থানিক চিকিৎসা হিসেবে ইকোনাজল / ট্রাইএ্যমসিনোলন ক্রীম মুখে এন্টিমাইকোটিক এর সাথে মিলিতভাবে দেয়া যায় ।
Tricoderma cream কিভাবে ব্যবহার করতে হয়
সংক্রমিত স্থানে দৈনিক দুইবার আঙ্গুল দ্বারা মৃদুভাবে ঘষে প্রয়োগ করতে হবে । ব্যবহার ১৪ দিন ধরে চালিয়ে যেতে হবে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন ।
পেভিটিন ক্রিম ব্যবহার এ প্রতিনির্দেশনা
টিউবারকিউলোস লিসিয়ন এবং চর্মের ভাইরাল সংক্রমণ ( হারপেস , ভ্যাকসিনিয়া , ভ্যারিসেলা ) চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবেনা । এই ওষুধের কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা ।
সাবধানতা – শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য । চোখে ব্যবহার করা যাবে না । অ্যাড্রেনালিন দমিয়ে রাখার ঝুঁকি থাকার কারণে শিশুদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন করটিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার বর্জন করা উচিত ।
ট্রাইকোডার্মার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি
বিরলক্ষেত্রে , সাময়িক স্থানিক জ্বালাতন , চুলকানি এবং লালতা দেখা দিতে পারে ব্যবহারের সাথে সাথেই । ইকোনাজলের এলার্জিক প্রভাব খুবই কম এবং খুবই সহনীয় , এমনকি কোমল ত্বকের জন্যও । দীর্ঘদিন করটিকোস্টেরয়েড ব্যবহার অ্যাড্রেনালিন দমিয়ে রাখার ঝুঁকি থাকে , বিশেষত নবজাতক এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অথবা যখন ওকুসিভ ড্রেসিং প্রয়োগ করা হয় । নবজাতকদের ন্যাপকিন ওকুসিভ ড্রেসিং হিসেবে কাজ করে ।
গর্ভাবস্থায় দাউদের মলম ব্যবহার করা যাবে কি
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালীন সময়ে ব্যবহার : ইকোনাজল নয় কিন্তু ট্রাইএ্যমসিনোলন এসিটোনাইড প্লাসেন্টা অতিক্রম করে এবং বাহ্যিক করটিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার গর্ভবর্তী ক্ষেত্রে ভ্রূণের ক্ষতি করে । মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রভাব পরিলক্ষিত নয় । তবুও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন বাহ্যিক স্টেরয়েড ব্যবহার না করা ভাল ।
আরও পড়ুন – চুল পড়ার কারন ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কি
স্তন্যদানকালীন : খুবই সামান্য পরিমাণ ইকোনাজল এবং কিছু পরিমাণ ট্রাইএ্যমসিনোলন মায়ের দুধ দিয়ে নির্গত হতে পারে । তাই , এই ওষুধ স্তন্যদানকালীন সময় দেয়া যাবেনা যদি দেয় তাহলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে ।
শিশুর দাউদ হলে কি দেয়া যাবে?
শিশু এবং অল্প বয়স্কদের মধ্যে ব্যবহার শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত । তবে কোন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইকট বা এই জাতীয় ক্রীম ব্যবহার করা উচিৎ।
আরও পড়ুন – নরমেনস কিসের ঔষধ
অন্যান্য ওষুধের সাথে পেভেটিনের প্রতিক্রিয়া ইকোনাজল, যেসব যৌগিক পদার্থের বিপাক সিওয়াইপি ৩ এ ৪ / ২ সি ৯ ধারা হয় , মুখে এন্টিকোয়াগুল্যান্ট ( ওয়ারফারিন এবং এসিনোকোমারল ) । ট্রাইএ্যমসিনোলন : প্লাজমা স্যালিসাইলেট পরিমাণ কমিয়ে দেয় । জিআই ব্রিডিং এবং এনএসএআইডিস এর সাথে আলসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
আরও পড়ুন – দীর্ঘস্থায়ী পাতলা পায়খানার ঔষধ কি
এন্টিডায়াবেটিক ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দেয় । এমফোটেরিসিন বি , বিটা – ব্লকার , পটাশিয়াম – ডিপ্লিটিং ডাইইউরেটিক্স , থিয়োফাইলিন এর সাথে হাইপারকেলেমিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় । ট্রাইএ্যমসিনোলন এর অপসারণ বেড়ে যায় যদি সিক্লোসপোরিন , কারবামাযেপিন , ফেনিঠোয়িন , বারবিটিউবেটস এবং রিফাম্পিসিন এর সাথে ব্যবহার করলে ।