অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ এর নাম
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কা নারীদের প্রতি মাসে একটা পিরিয়ড হয়, যাকে আমরা মাসিক, পিরিয়ড, ঋতু, মিনস, বিভিন্ন নামে বলে থাকি। এই মাসিক সব মহিলারই একটা নির্দিষ্ট সময় থেকে আরেকটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতি মাসে নিয়মিত হতে হবে। এই নিয়ে আজকের টিপস – অনিয়মিত মাসিক ও সাদাস্রাবের আদর্শ চিকিৎসা!
অনিয়মিত মাসিকঃ
মাসিক হওয়ার নির্দিস্ট সময়কাল ৩ থেকে ৭ দিন অবদি। এখন কারো যদি ১-২ দিন অথবা ৮-১০-১৫ দিন চলতে থাকে, এই কম হওয়া বা বেশীদিন হওয়াকেই অনিয়মিত মাসিক বলে।
আবার, মাসিকের স্রাব হওয়ারও একটা পরিমান আছে। কারো কারো কয়েক ফোটা দেখা যায়, বা প্রথম দিন কিছুটা পরিমান মত দেখা গেলেও, পরদিন থেকে সামান্য কয়েক ফোটা দেখা দেয়, একদিন বা আধাদিন বিরতি দিয়ে আবার দেখা যায়। অথবা এত পরিমানে রক্তস্রাব হয় যে, মনে ভয় দেখা দেয়। এবং মনে হয় এত পরিমানে রক্তস্রাব হওয়া হয়ত উচিত নয়।
হ্যাঁ! ঠিকই বলেছেন। বেশী পরিমান রক্তস্রাব হলে, রক্ত স্বল্পতাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
আবার কম পরিমানে স্রাব হলেও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই মাসিকজনিত সমস্যার কারনে সৃস্ট রোগ হতে বাঁচার জন্য, আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। না হয় – রক্তস্বল্পতা , ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, হাড়ক্ষয়, বন্ধাত্ব, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুদামান্দা, সাদাস্রাব, রোগা শারীরিক ঘটন সহ বিভিন্ন সমস্যা আপনার দেহে বাসা বাঁধবে।
সাদাস্রাবঃ
সাদাস্রাব মহিলাদের অন্যতম একটা জটিল রোগ, যা একজন স্বাস্থ্যবান নারীকে কয়েক মাসের মধ্যেই দৈহিক বিপর্যয় ঘটিয়ে দিতে পারে। গাল ভেঙ্গে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, বিছানায় শুয়ে থাকতে মন চায়, সামান্য কোন অসুখে কাতর হয়ে যায় ইত্যাদি।
একসময় দেখা যায়, কয়েকদিন আগেও যে মহিলা বা মেয়েটি অনেক সুন্দরী ছিল, কয়েক দিন বা মাসের মধ্যে কি অবস্থা হয়েছে! যা আফসোস করার মতো।
এ ক্ষেত্রে রোগী যদি সচেতন না হয়, তাহলে তার অভিবাবক বিষয়টা খেয়াল করতে হবে। কারন, এই সমস্যাটা মুলত টিনএজ মেয়েদের হলে, তারা বুঝতেই পারেনা – কেন এমন হচ্ছে।
অভিবাবক যদি সময়মত লক্ষ্য না রাখেন, তাহলে দিনদিন অবস্থা খারাপের দিকে যেতে পারে।
কি করবেনঃ
যখনই বুঝতে পারবেন, আপনার মাসিক নিয়মিত হচ্ছেনা, বা রক্তস্রাবে কম বা বেশী হচ্ছে, অথবা সাদাস্রাব যাচ্ছে।
সাথে সাথে একজন স্পেশালিস্ট মহিলা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
১-২ মাস ঔষধ চালিয়ে যাবেন, যতক্ষন পর্যন্ত সুস্থ্য না হয়েছেন।
রোগবালাই ডটকম সবসময়ই কোন না কোন আদর্শ চিকিৎসার কথা বলে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
আরও পড়ুন : এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে যা জানা দরকার | এবং আমাদের ভবিষ্যত কোন দিকে ?
আদর্শ চিকিৎসা বলতে, সঠিক হারবাল চিকিৎসাকে আদর্শ চিকিৎসা বলে।
সঠিক বলার কারন হলো- এখন বাজারে হারবাল এর ছড়াছরি, ৯৫% ভেজালের মাঝে সাধারন মানুষ তো বাদ দিলাম। অনেক ডাক্তারই আসল ও সঠিক কোম্পানী চিনতে ভুল করেন।
যাক, নিজ দায়ীত্বে ভাল।
ইউনানী কোম্পানীর “নিসওয়ান” ২-৩ চামচ করে ৩ বার ২ – ৩ মাস খেলে মাসিক নিয়মিত হয়। এবং “রেহমীন ” জাতীয় টেবলেট ১-২ টা করে দিনে ২ বার ১ মাস খেলে জরায়ুর দূর্বলতা দূর হয়। সাথে ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি একটি টেবলেট দিনে একবার। আয়রন + ফলিক এসিড ক্যাপসুল ফরম্যাটে পাওয়া যায়, দিনে একবার খাবেন ১ মাস করে। ভাল ফল পেতে, যে বেলায় ক্যাসিয়াম খাবেন এর আগে বা পরের বেলায় আয়রন খাবেন। তবে এগুলো এসিডিটি হয়, এজন্য ওমিপ্রাজল জাতীয় ক্যাপসুল দিনে ২ বার খালি পেটে খাবেন।
সমমানের আরও অনেক আয়ুর্বেদিক ইউনানী ঔষধ আছে, লেখা লম্বা হয়ে যাবে, তাই সব লিখতে পারিনি। কিছুটা ধারনা দিচ্ছি।
যেমন – অশোকারিস্ট, সুপারিপাক, মুদির, সূযাক, মাস্তুরীন ইত্যাদি ঔষধগুলো স্ত্রীরোগের আদর্শ চিকিৎসায় হাজার বছরধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মাসিকের ঔষধের নাম
ভাল কোম্পানি হিসাবে আমি সাজেশন করবো – হামদর্দ, ফেনী দাওয়াখানা, শক্তি ঔষধালয়, সাধনা ঔষধালয়, স্কয়ার হারলাল, একমি আয়ুর্বেদিক, ইবনে সিনা ইউনানী, ড্রাগ ইউনানী, অপসোনিন হারবাল ইত্যাদি।
উপদেশঃ
স্যানিটারী নেপকিন ব্যাবহার করতে হবে। যোনী পরিস্কার রাখতে হবে। প্রতিবার প্রশ্রাব ও পায়খানার পর সুতি কাপড় বা টিস্যু দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। ঘামলে ঘামগুলো ভালভাবে পরিস্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছতে হবে।
উপকৃত হলে, সবাইকে শেয়ার করবেন। অনিয়মিত মাসিক ও সাদাস্রাবের আদর্শ চিকিৎসা নিয়ে আজকের লেখা স্বার্থক হবে, যদি উপদেশগুলো মেনে চলেন।
আরও পড়ুন : ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া পদ্ধতি। রুপচর্চা হোক নিরাপদ।