শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা! ১০০% সুস্থ হওয়ার ঔষধ
ত্বকে হঠাৎ করে সাদা ছোপ ছোপ দেখা গেলেই আঁতকে ওঠেন অনেকে। এই ছোপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। ত্বকের এই রোগকে বলা হয় শ্বেতীরোগ। শ্বেতী সেভাবে শারীরিক ক্ষতি না করলেও শ্বেতী মানসিক ভাবে মানুষকে অবসাদ গ্রস্ত করে তোলে। কিন্তু এই রোগ আসলে কী, কেন হয়, জেনে নেওয়া যাক- শ্বেতী বা ধবল রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার ঔষধ কিভাবে নিজে তৈরী করবেন ।
শ্বেতী কেন হয়?
ত্বকের স্বাভাবিক রংয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে মেলানিন। মেলানোসাইট কোষে এটি থাকে। এই মেলানিনের ভারসাম্য ব্যাহত হলেই ত্বকে শ্বেতরোগ দেখা যায়। এক হেলথ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীর শিকার।
তবে শুধু মেলানিনের ভারসাম্যের জন্য নয়। বংশগত ভাবেও শ্বেতীতে আক্রান্ত হন অনেকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্বকে মেলানিনের ভারসাম্যের জন্য এই রোগ হয়। এছাড়াও যাঁদের ডায়াবেটিস , হাইপার থায়রয়েড থাকে তাঁদের শ্বেতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এতো গেল শ্বেতী ঠিক কী কারণে হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক শ্বেতরোগ শরীরের কোন কোন অংশে হয়- শ্বেতী হওয়া শুরু হয় কনুই, বুক ও মুখ থেকে। ধীরে ধীরে এগুলি ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা মুখে বা হাত-পায়। কিন্তু অনেক সময়ে সারা শরীরে এমন ভাবে শ্বেতী হয় মনে হয় যেন আসল গায়ের রং এটাই। আবার অনেক সময়ে শ্বেতী এক জায়গাতেই আটকে থাকে। সাধারণত ১০-১২ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই শ্বেতী হয়।
শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি
চিকিৎসকরা শ্বেতীর অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ লাগানোর পরামর্শ দেন। কম অংশ জুড়ে শ্বেতী হলে মলমেই সেরে যায়। কিন্তু বড় অংশ জুড়ে শ্বেতী হলে ৩-৪ বছরও সময় লাগতে পারে। আবার অনেক সময়ে অস্ত্রপচারও করতে হতে পারে। ২-৩ বছর পরেও যেই শ্বেতীর কোনও পরিবর্তন হয় না, তাকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমেই সারাতে হয়। তবে কম অংশে শ্বেতী থাকতে থাকতে চিকিৎসা করানো উচিত।
হারবাল চিকিৎসার ধারনা দিচ্ছি।
হারবাল একটি নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি, আর আপনি এই চিকিৎসা নিজেই করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন এক বানিয়াতির দোকানে গিয়ে শুধু কিছু বহেরা কিনে আনতে হবে। আপাদত ১০ কেজি নিয়ে আসতে পারেন। ৩৫-৪০ টাকা কেজি দাম নিতে পারে।
একটি হাতুরী দিয়ে বা অন্য যেকোন উপায়ে বহেরার উপরের খোসা ছাড়িয়ে, ভিতরের বিচি বা বাদামটা সংগ্রহ করবেন। তারপর ২ দিন রোদে শুকাবেন। এবং সরিষার তেল ভাঙ্গানো হয় এমন মেশিন দিয়ে তেল বের করে নিতে হবে। ধারনা করা হয় – ১০ কেজি বহেরা থেকে ১.৫ কেজি পরিমান বাদাম সংগ্রহ করা যায়। এর থেকে আনুমানিক ৪০০ মিলি তেল হতে পারে।
শ্বেতী রোগের তেল বা লোশন :
এই তেল প্রথম ৩ মাস আক্রান্ত স্থানে দিনে ২ বার মালিশ করতে হবে। তারপর ৪-৬ মাস দিনে ১ বার ব্যাবহার করলে, আশা করা যায় আরগ্য হতে পারে।
তেল শেষ হয়ে গেলে, আবার আগের মতই তেল সংগ্রহ করতে হবে। শ্বেত রোগের ঔষধ কিভাবে নিজে তৈরী করবেন আশা করি বুজতে পেরেছেন। উপকৃত হলে অন্য ভাইবোনদেরকে জানিয়ে দিতে শেয়ার করতে পারেন।
আরও পড়ুন : অর্শ্বরোগ কি ? এবং তার থেকে পরিত্রানের উপায় !