প্রিগাবালিন ৫০ কিসের ঔষধ | বিস্তারিত জানুন Pregabalin Bp

প্রিগাবালিন এর কাজ কি
- ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিজনিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
- পোষ্ট হার্পেটিক নিউরালজিয়া
- পার্শিয়াল অনসেট সিজার এর সহযোজিত চিকিৎসায়
- ফিব্রোমায়ালজিয়া
- স্পাইনাল কর্ডের আঘাতজনিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
- জ্যানারালাইজড্ এ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার
প্রিগাবা ৫০ খাওয়ার নিয়ম
ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিজনিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথাঃ
যে সব রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স সর্বনিম্ন ৬০ মিলি / মিনিট তাদের ক্ষেত্রে প্রিগাবালিন এর সর্বোচ্চ নির্দেশিত মাত্রা হল ১০০ মিগ্রা দিনে ৩ বার ( দৈনিক ৩০০ মিগ্ৰা ) । দৈনিক ৫০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার ( দৈনিক ১৫০ মিগ্রা ) সেবন শুরু করা উচিত , যা কার্যকারিতা এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে ১ সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত উন্নীত করা যেতে পারে ।
পোষ্ট হার্পেটিক নিউরালজিয়াঃ
যে সব রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স সর্বনিম্ন ৬০ মিলি / মিনিট তাদের ক্ষেত্রে Pregabalin ( প্রিগাবালিন ) এর সুপারিশকৃত মাত্রা হল ৭৫ মিগ্রা থেকে ১৫০ মিগ্রা দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা থেকে ১০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার ( দৈনিক ১৫০-৩০০ মিগ্রা ) । দৈনিক ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা দিনে ৩ বার বিভক্ত মাত্রায় ( দৈনিক ১৫০ মিগ্রা ) সেবন শুরু করা উচিত যা কার্যকারিতা এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে ১ সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত উন্নীত করা যেতে পারে ।
পার্শিয়াল অনসেট সিজার এর সহযোজিত চিকিৎসায়ঃ
সাধারণভাবে ইহা সুপারিশকৃত যে , রোগীকে দৈনিক সর্বমোট সর্বোচ্চ ১৫০ মিগ্রা ( ৭৫ মিগ্রা দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা দিনে ৩ বার ) মাত্রায় প্রদান করতে হবে । প্রত্যেক রোগীর ক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ দৈনিক ৬০০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় ।
ফিব্রোমায়ালজিয়া
ফিব্রোমায়ালজিয়াতে Pregabalin ( প্রিগাবালিন ) এর সুপারিশকৃত মাত্রা হল দৈনিক ৩০০ মিগ্রা থেকে ৪৫০ মিগ্রা । দৈনিক ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার বিভক্ত মাত্রায় ( দৈনিক ১৫০ মিগ্রা ) সেবন শুরু করা উচিত , যা ঔষধের কার্যকারিতা ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার পর্যন্ত ( দৈনিক ৩০০ মিগ্রা ) বৃদ্ধি করা যেতে পারে । যে সব রোগীর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত উপশম পরিলক্ষিত হয় না তাদের ক্ষেত্রে মাত্রা প্রত্যেহ ২ বার ২২৫ মিগ্রা পর্যন্ত ( দৈনিক ৪৫০ মিথা ) বৃদ্ধি করা যেতে পারে ।
ক্ষেত্রে মাত্রা প্রত্যেহ ২ বার ২২৫ মিগ্রা পর্যন্ত ( দৈনিক ৪৫০ মিগ্রা ) বৃদ্ধি করা যেতে পারে ।
স্পাইনাল কর্ডের আঘাতজনিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
স্পাইনাল কর্ডের আঘাতজনিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথায় Pregabalin ( প্রিগাবালিন ) এর সুপারিশকৃত মাত্রা হল দৈনিক ১৫০-৬০০ মিগ্রা । সুপারিশকৃত প্রারম্ভিক মাত্রা হল ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার ( দৈনিক ১৫০ মিগ্রা ) , যা ঔষধের কার্যকারিতা ও সহনশীলতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার ( দৈনিক ৩০০ মিগ্রা ) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে । দৈনিক ১৫০ মিগ্রা দুইটি বিভক্ত মাত্রায় ২-৩ সপ্তাহের চিকিৎসায় যে সব রোগীর ব্যথা পর্যাপ্ত উপশম পরিলক্ষিত হয় না । এবং যারা সহনীয় তাদের ক্ষেত্রে Pregabalin ( প্রিগাবালিন ) দৈনিক দুইটি বিভক্ত মাত্রায় ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত ( দৈনিক ৬০০ মিগ্রা ) নেওয়া যেতে পারে ।
জ্যানারালাইজড এ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার
দৈনিক মাত্রা ১৫০ থেকে ৬০০ মিগ্রা দুই অথবা তিনটি বিভক্ত মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে । চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত পুনঃবিবেচনা করা উচিত ।
বৃক্কীয় অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রেঃ প্রিগাবালিন প্রাথমিকভাবে অপরিবর্তিত ওষুধ হিসেবে সিস্টেমিক সারকুলেশন হতে বৃক্কীয় তন্ত্রের মাধ্যমে অপসারিত হয় । যেহেতু প্রিগাবালিনের ক্লিয়ারেন্স , ক্রিয়েটিনিন – এর ক্লিয়ারেন্সের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক , তাই দুর্বল কার্যকরী বৃক্কীয় রোগীর ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স অনুসারে নিম্নলিখিত ছক অনুযায়ী আলাদা ভাবে মাত্রা নির্ণয় করতে হবে ।
দৈনিক মোট মাত্রা ( মিগ্রা / দিন ) নির্দেশিত সেবন যাত্রা ( মিগ্রা / মাত্রা ) অনুযায়ী সেবন করা উচিত । * সাপ্লিমেন্টারী মাত্রা একটি অতিরিক্ত একক মাত্রা ।
যকৃতীয় অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার

যকৃতীয় অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই ।
শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালে ব্যবহারঃ নিরাপত্তা এবং কার্যকারীতার অপর্যাপ্ত উপাত্তের কারণে প্রিগাবালিন ১২ বছরের নীচে শিশু এবং কিশোর ( ১২ – ১৭ বছর বয়স ) -এর ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয় ।
বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার ( ৬৫ বছরের উর্দ্ধে )ঃ বৃক্কীয় কার্যকারীতা কমে যায় বলে বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে প্রিগাবালিনের মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে ।
বিরুদ্ধ ব্যবহার , সতর্কতা , ইত্যাদি । ইহার মূল উপাদান অথবা যেকোন এক্সিপিয়েন্টস এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ ।
পেগালিন ৫০ সেবনে সতর্কতাঃ
চলতি ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী , যে সকল ডায়াবেটিক রোগীর প্রিগাবালিন চিকিৎসায় ওজন বৃদ্ধি পায় , তাদের হাইপোগ্লাইসেমিক ওষুধের মাত্রা সামঞ্জস্য করা উচিৎ । প্রিগাবালিন চিকিৎসায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা , ঘুমভাব হতে পারে , যা বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দূর্ঘটনাজনিত ঘটনা বাড়িয়ে দেয় । অচেতন , বিভ্রান্তি এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা । সুতরাং ওষুধের কার্যকর প্রতিক্রিয়ার সাথে পরিচিত না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ।
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে pregabalin এর ব্যবহারঃ
গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে প্রিগাবালিন ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি । মানুষের ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকি অজানা । নিতান্ত প্রয়োজন না হলে গর্ভাবস্থায় প্রিগাবালিন ব্যবহার করা উচিত নয় ( যদি ভ্রুণের উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবের চেয়ে মায়ের প্রতি এর উপকারীতা বিবেচিত হয় ) । সন্তানধারনে সম্ভাবনাময়ী মহিলার ক্ষেত্রে কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । প্রিগাবালিন মায়ের বুকের দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি যদিও ইঁদুরের দুধে ইহার উপস্থিতি পরিলক্ষিত । সুতরাং প্রিগাবালিন দ্বারা চিকিৎসা করার সময় সন্তানকে মায়ের বুকের দুধ পান করা থেকে বিরত রাখা উচিত ।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রিগাবালিনের ( পিজি) আন্তঃক্রিয়াঃ
প্রিগাবালিন সাথে ফিনাইটয়েন , কার্বামাজিপাইন , ভ্যালপ্রোয়িক এসিড , ল্যামোট্রিজিন , গাবাপেন্টিন , লোরাজিপামু , অক্সিকোডন অথবা ইথানলের সাথে আন্তঃক্রিয়ার ফার্মাকোকাইনেটিক্সের কোন ক্লিনিক্যাল পরিবর্তন পাওয়া যায়নি । মানুষের উপর ফার্মাকোকাইনেটিক পরীক্ষায় দেখা যায় যে , ওরাল এ্যান্টিডায়াবেটিক , ডায়ইউরেটিকস্ , ইনসুলিন , ফেনোবারবিটাল , টিয়াগাবিন এবং টপিরামেট ব্যবহারে প্রিগাবালিনের ক্লিয়ারেন্সের কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব নাই ।
মুখে খাওয়ার জন্মনিরোধক ওষুধ নরইথিষ্টেরন এবং / অথবা ইখিনাইল অয়িষ্ট্ৰাডিয়ল এবং প্রিগাবালিন একত্রে ব্যবহারে তাদের কোন উপাদানের স্টিডীস্টেট ফার্মাকোকাইনেটিক্সকে প্রভাবিত করেনা । প্রিগাবালিন ; ইথানল এবং লোরাজিপাম – এর প্রভাবকে বৃদ্ধি করতে পারে ।
নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় , অক্সিকোডন , লোৱাজিপাম , অথবা ইথানল এর সাথে প্রিগাবালিনের মাল্টিপল ওরালডোজ যুগপৎ সেবনে । শ্বসনের উপর গুরুত্বপূর্ণ কোন ক্লিনিক্যাল ফলাফল পাওয়া যায়নি । প্রিগাবালিন এবং অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ গ্রহনে রোগীর রেসপিরেটরী ফেইলুর এবং কোমা হওয়ার তথ্য রয়েছে । প্রিগাবালিন ; অক্সিকোডন সেবনের কারনে রোগীর কগনেটিভ এবং এসমোটর অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে দেখা যায় ।
প্রিগাবালিন ( pregabalin) এর পার্শ্ব – প্রতিক্রিয়া
শুষ্ক মুখ , কোষ্ঠ – কাঠিন্য , বমি ভাব , বমি , পেট ফাঁপা , ওইডিমা , তন্দ্রাচ্ছন্নতা , কিমুনী , অস্থিরতা , মনোযোগের অভাব , মাংসপেশীর নিয়ন্ত্রন এবং সঞ্চালনে অসামঞ্জস্যতা , স্মৃতিভ্রম , প্যারাএসথেশিয়া , ইউফোরিয়া , বিভ্রান্তি , ফ্যাকাশে ভাব , ক্ষুধার পরিবর্তন , ওজন বৃদ্ধি , যৌনক্ষমতার পরিবর্তন , দৃষ্টি সমস্যা ও অকুলার ডিসঅর্ডার , খুব কম ক্ষেত্রে পেট ফুলে যাওয়া , লালা বৃদ্ধি পাওয়া , গ্যাস্ট্রোওইসুফেজিয়াল রিফ্ল্যাক্স ডিজিজ , স্বাদ পরিবর্তন , বিষণ্ণতা , অনিদ্রা , অস্বাভাবিক স্বপ্ন দেখা , ভ্রমদৃষ্টি , অস্থিরতা , দ্রুত মুডের পরিবর্তন , ভীতির সংক্রমণ ইত্যাদি , কদাচিৎ ক্ষেত্রে , ডিসফ্যাসিয়া , হাইপোটেনশন , এভি ব্লক , কনজেসটিভ হার্ট ফেইলর , এনজিওইডিমা , জ্ঞান হারানো , মাথা ব্যথা এবং প্ররাইটাসেরও তথ্য পাওয়া গেছে ।
অতিমাত্রাঃ অতিমাত্রা ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পার্শ্ব – প্রতিক্রিয়া তথ্য পাওয়া যায়নি । প্রিগাবালিন অতিমাত্রা গ্রহণে যে সকল পার্শ্ব – প্রতিক্রিয়া সাধারণত দেখা যায় যেমন ঝিমুনী , কনফিউশন স্টেট , এজিটেশন এবং অস্থিরতা । সাধারণত প্রিপাবালিনের অতিমাত্রা চিকিৎসা হলো সাধারণ সহায়কমূলক ব্যবস্থা , যদি প্রয়োজন হয় হেমোডায়ালাইসিস করা যেতে পারে ।
pregabalin Bp গ্রুপের কয়েকটি কোম্পানির ঔষধ এর বাজারজাতকৃত নাম।
Trade Name | Company | Mg |
Gaba p | Renata | 25/50/75/100mg |
Gaba Aid | Lab aid | 25/50/75mg |
Gabarol | ACI Ltd | 25/50/75/100/150mg |
Gabatec | Ziska Pharma | 25/50/75/100/150mg |
Legaba | Apex Pharma | 25/50/75mg |
Myrica | Unimed & Unihealth | 25/50/75/100mg |
Nepco | Pacific Pharma | 25/50/75/100/150mg |
Nervalin | Beximco | 25/50/75/100/150/330mg |
Pegalin | Popular Pharma | 25/50/75/100/150mg |
Prebalin | Genarel Pharma | 25/50/75/100/150mg |
আরও পড়ুন – খিঁচুনি প্রতিরোধক ফেনোবারবিটাল
ক্লোট্রিমাজল ভ্যাজাইনাল ট্যাবলেট কেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন।