দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির সহজ উপায় | টেনশন থেকে মুক্তি
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির সহজ উপায় নিয়ে আজকের আলোচনায় দুশ্চিন্তার কারন ও চিকিৎসা বিষয়ক কিছু পরামর্শ থাকবে। প্রথমেই দুশ্চিন্তা কি তা জানতে হবে – চিন্তা ছাড়া কোন মানুষ থাকতে পারেনা। তবে এই চিন্তা যদি দুশ্চিন্তায় পরিনত হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। চিন্তা এবং দুশ্চিন্তার পার্থক্য হলো- চিন্তা চেতনা ব্যতিত কোন মানুষ জীবনে এগুতে পারেনা, বা প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ কখই সুস্থ্য থাকতে পারেনা।
দুশ্চিন্তার কারন কি হতে পারে?
সাধারণত পুরুষদের বেলায় ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় দুশ্চিন্তার কারন হতে পারে।
আবার পারিবারিক কলহ যেমন – সম্পত্তি বা এ সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে তৈরী হতে পারে এর আরেকটি কারন।
যৌবনের উঠতি বয়সে, প্রেম সংক্রান্ত বিষয়েও দুশ্চিন্তায় পড়ার অনেক অভিযোগ শুনেছি।
দাম্পত্য জীবনের অশান্তি তো এখন রেকর্ড করার মতো হয়ে দাড়িয়েছে।
সমাজে বেশ কিছু নাছোরবান্দা আছে, যারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে গিয়ে, একসময় হতাশ হয়ে চিন্তারোগের রোগীতে পরিনত হয়।
পরকীয়া দুশ্চিন্তার অন্যতম কারন
প্রথমে মনে হয়, পরের বউকে নিজের করে পেলে যে কী সূখ! তা পরকীয়া না করলে হয়ত বুঝাই যেতনা। কিছুদিন যাবার পর যখন ফাটা বাঁশের চিপায় পাঁ আটকে যায়, তখন হয়ত বুঝতে পারে সবাই। এ কোন যন্ত্রনা! কেন এই ভুল করতে গেলাম? না পারছি নিতে – না পারছি ছেড়ে যেতে। এ অবস্থায় যা হয় তাকে বলে মহা দুশ্চিন্তা। এমন অনেক রোগী পাওয়া যায়, যারা দুশ্চিন্তার কোন কারন দেখাতে পারেনি। বা নিজের সমস্যাগুলো কাউকে বলতে পারেনা, এই সমস্যাটা এখনকার সমাজে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এরা অনেকটা এক্সিডেন্টের মতো, একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না! এর একটাই প্রতিকার – তা হলো, পরকীয়া স্বাস্থ্য ও সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
দুশ্চিন্তায় কাউন্সিলিং পরামর্শ
ব্যবসায়ীক ফ্যাক্ট থেকে যদি দুশ্চিন্তার কারন হয়, তাহলে এটাই বলবো – সফল ব্যক্তিরা বার বার ব্যর্থ হয়েই পরবর্তীতে সফল হয়েছে। হয়ত আপনি বলতে পারেন, আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে!
উত্তরে বলবো – না, আপনার কিছুই শেষ হয় নাই, শুধু একটু মুলধন আর কিছু সময় নস্ট হয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলগত পরিবর্তন করে আবার এগিয়ে দেখুন। হয়ত এটা হবেনা, কিন্তু এর চেয়ে ভাল কিছু হয়ত অপেক্ষা করছে।
পারিবারিক কলহ থেকে দুশ্চিন্তা হলে
কি আর করবেন, আপনি সবসময় জিতে যাবেন এটা ভাববেননা। পৃথিবীর শক্তিশালী কিছু মানুষ, প্রাণী, দেশ, বা যা ই ভাবুন, কেউ কারো কাছে জীবনে একবার হলেও হেরেছে। কিন্তু সততা নিয়ে যদিও হেরে যায়, এর মধ্যে একটা সূখ থাকে। পরিবারের সবাই যেমন একই চরিত্রের হতে পারেনা, ঠিক সবাই আপনাকে সঠিকভাবে বুঝতেও পারেনা। তাই ঘুরে দাড়াতে হলে, মাথা ফ্রেশ রাখতে হবে। এর জন্য এসব নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করলেই দুশ্চিন্তাজনিত কারনে স্বাস্থ্যের ক্ষিত হবে। তাই নো টেনশন..
দাম্পত্য জীবনের কলহ নিয়ে দুশ্চিন্তা হলে
দাম্পত্য জীবনের কলহ বাংলাদেশে নয় শুধু সারা পৃথিবীতে যেখানে সাংসারিক আবদ্ধতা আছে,অর্থাৎ বিয়ে হয় যেসমস্ত দেশে, প্রায় সবদেশেই এই সমস্যা আছে। তাই বলে সবাই কিন্তু এভাবে দুশ্চিন্তায় নিজকে শেষ করে দিচ্ছেনা। স্বামী স্ত্রী একসাথে কাউন্সিলিং করে নিলে, হয়ত এর একটা ভাল সমাধান পাওয়া যায়। একে অপরকে ছাড় দেয়া শিখে নিতে হবে। একজন অন্যজনকে খুশি করার চেস্টা করতে হবে। প্রয়োজনটা জেনে নিতে হবে। তবে তা সুকৌশলে..
দুশ্চিন্তার আধুনিক চিকিৎসা
দুশ্চিন্তা থেকে অনেক সময় ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। এবং এ থেকে হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ঘুম নাহলে ব্রোমাজিপাম ৩ মিলিগ্রাম, প্রতি রাতে একটি সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত টেনশন হলে সকালেও অর্ধেক খাওয়া যাবে। তবে তা একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। কারন এসব ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত সেবন করা উচিত নয়।
ঘুমের তেমন সমস্যা না থাকলে, অতিরিক্ত টেনশন দূর করার জন্য ফ্লুপেনটিক্সল এন্ড মেলিথ্রাসিন টেবলেট প্রতিদিন সকালে ১ টা সেবন করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি করে, এর মধ্যে ফ্রেনজিট, রেনজিত, টিক্সল, ডিলিটা, মেলটিক্স সহ অনেক নামেই পাবেন। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ১৫-৩০ দিন সেবন করতে পারেন।
সেই সাথে এগিয়ে যাওয়ার কাজে মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। তাই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসার চেস্টায় আপনাকে সফল হতে হবে। পরামর্শ ভাল লাগলে, আমাদের অন্যান্য পোস্ট পরতে রোগবালাই ডটকম লিখে সার্চ করে আসবেন। এবং নিয়মিত পাঠকে পরিনত হবেন। কমেন্টে অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যাবহারে চোখের কি ক্ষতি হচ্ছে | চোখের যত্নে কি করবেন
কোন ঔষধ কিভাবে খেতে হয় | ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
ধুমপান ছাড়ার উপায় বা ধূমপান থেকে মুক্তি
ডায়বেটিস – হৃদরোগ ও ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে বাঁশের কোড়ল কিভাবে খেতে হয়