মোটা হওয়ার ভিটামিন এর প্রো ভার্সন
লিকলিকে দেহের এক মহা যন্ত্রনাদায়ক, সস্তা উপদেশে ও পরিহাসে যারা পরেছে, শুধু তারাই জানে। এসবের মধ্যে কমন উপদেশ হলো, – কিরে খাওয়া দাওয়া করতে পারিসনা। ডাক্তার দেখিয়ে ভাল মোটা হওয়ার ভিটামিন একটা টিটামিন খা। একটু শরীরটা যদি না দেখা যায়, তেমন একটা ভাল দেখায়না।
এসব শুনে হয়ত আপনি কোন এক ডাক্তারকে বলবেন, ডাক্তারসাব আমাকে খাওয়ার রুচির জন্য, ভাল কোন ভিটামিন সাজেস্ট করেন।
ডাক্তারসাব গ্রাম ডাক্তার হলে তো কথাই নাই! দুইটা সালাম দিয়ে বসাবে ২০০-২৫০% গ্যারান্টিও দিবে। খুশি হয়ে ৪০-৬০ টাকার একটা বোতল ধরিয়ে দিবে, ৩০০-৩৫০ টাকায়। যার নাম হতে পারে মাইটন, আমলকি, মাল্টা, এইভিট, সেইভিট, বা প্লাস প্লুস এসব নামের কোন এক আয়ুর্বেদীক বা ইউনানী কোম্পানীর বোতল বা টেবলেটের কৌটা।
এসকল ঔষধ স্টেরয়েড দিয়ে তৈরী, এটা এখন ২০-৩০% মানুষ জেনে গেছেন। কিছু অসাধু কেমিক্যাল ইউজার ইউনানী বা আয়ুর্বেদীক নাম দিয়ে, ঔষধ প্রসাশনের চোখ ফাকি দিয়ে, এসব স্টেরয়েডকে ভিটামিন হিসাবে, চালিয়ে দিচ্ছে।
মানুষ যখন এসব অখ্যাত কোম্পানীর ঔষধ খেয়ে, প্রতারিত হয়ে উপায় না পেয়ে বড় ডাক্তারের কাছে যায়। ভাল একটা সলুউশন হয়ত পেতে পারি। এখানে এসেও শেষ রক্ষাটা হয়না। এখন তিনি ধরিয়ে দিচ্ছেন সুনামধন্য এলোপ্যাথিক কোম্পানীর আরেকটা ঔষধ। এপিটিজ ও মেজেস্টল (জেনেরিক : মেজেস্ট্রল এসিটেট) নামে বাজারে পাওয়া যায়। নিন্মে তার বিস্তারিত জানানোর চেস্টা করছি।
আরও পড়ুন : লিভার সিরোসিস একটি মরনব্যধি ! কি করবেন জেনে নিন।
মোটা হতে মেজেস্ট্রল এসিটেট :
এটা একধরনের হাইড্রক্সিপ্রজেস্টেরন হরমোন। স্টেরয়েড জাতীয়। এটা ব্রেস্ট ক্যান্সারে নির্দেশিত, তবে কিছুক্ষেত্রে এইডস রিলেটেড কিংবা কেমোথেরাপি রিলেটেড ক্ষুধামন্দায় নির্দেশিত।”
কিন্তু চিকিৎসক, কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভদের কথায় বিশ্বাস রেখে, যে কোন ধরনের ক্ষুধামন্দায়, এপিটাইজার হিসেবে যেকোন বয়সী মানুষকে দিয়ে দিচ্ছে। যদিও মেডিসিনটি ৬৫ বছরের উর্ধ্বে বয়স্কদের জন্য নির্দেশিত। এটি ১২ বছরে নিচে কোন ভাবেই ব্যবহার করার যাবেনা।
কিন্তু চিকিৎসকগন এসব না ভেবে, যাচ্ছেতাই ভাবে রোগীদেরকে মোটা হওয়ার ভিটামিন হিসেবে যেকোন ক্ষুধামন্দায় দিয়ে দিচ্ছে। এই বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এই সিরাপ খেলে মোটা হয়, এর প্রেক্ষিতে একজন থেকে আরেকজন শুনে শুনে, মানুষ, “মারাত্মক” এই ঔষধটি সেবন করতেছে।ফলে ঔষধের সাইডইফেক্ট ও মিসইউজ এর শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পরিপাকতন্ত্র বা পাচনতন্ত্রের রোগের উপসর্গ | যা খুব গুরুত্বপুর্ন।
মোটা হওয়ার ভিটামিনের যেসব সাইড ইফেক্ট হয় :
যেহেতু ঔষধটি হাইড্রক্সি প্রজেস্টোরন (একধরনের মেয়েলি হরমোন) তাই এই ঔষধ ব্যবহারে ৪৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মেন্স সার্কেল অনিয়মিত হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন মেন্স (ঋতু) না হওয়ায় জরায়ুতে Endometriosis হতে পারে। এছাড়াও
এলবুমিনুরিয়া, লিউকোরিয়াও হতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ছেলেদের। তাদের সেক্সুয়াল আসক্তি কমে যায়। সহজে লিঙ্গোউত্থান হতে চায়না। হলেও কিছুক্ষনের মধ্যে আবার নেতিয়ে যায়। দ্রুত বীর্যপাত ঘটে। এটা মেয়েলি হরমোন হওয়ার কারণে, অনেক ছেলেদের মেয়েলি স্বভাব চলে আসতে পারে, কন্ঠ মেয়েলি মেয়েলি হয়ে যেতে পারে, স্তন বড় হয়ে যেতে পারে, বডি লেঙ্গুয়েজ মেয়েলিভাব হতে পারে, এমনকি! ইম্পোটেন্স impotence (বন্ধা) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
তাছাড়া মাথায় টাক হতে পারে, আবার চামড়ায় সাদা সাদা (আংশিক শ্বেতী ) হতে পারে, এ থেকে চর্মরোগও হতে পারে,
আর যদি ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়,
পূর্বের ন্যায় আবারও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।যেটুকু স্বাস্থ্যবান হয়েছিল তার চেয়ে বেশি ওজন কমে যায়, শরীরের ভেতর জ্বর লেগেই থাকে, কলিজা কাপা বেশি হতে পারে (Tachycardia) এসব সাইড এফেক্ট কমন, এছাড়া আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : জন্ডিস কি ? এর কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।
মোটা হওয়ার নিরাপদ খাদ্য ও পথ্য :
প্রথমেই ত্রিফলার কথা বলবো। আপনার বাজারেই বানিয়াতির দোকানে পাবেন। অথবা ফুটপাতেও অনেকে ত্রিফলা বিক্রি করে, তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় এত দামী ঔষধ না খেয়ে, এই টাকার খেজুর, কিসমিস ও বাদাম কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন নিয়মিত ৬-৮ টা খেজুর, ২০-২৫ গ্রাম কিসমিস, ৪০-৫০ গ্রাম বাদাম খান। ইসুবগুল, তালমাখনা, তোখমাদানা ও কাতিলাগুড়া করে পানিতে গুলে, দিনে ২ বার খান। ২-৩ মাসের মধ্যে শরীরে যে পরিবর্তন আসবে, তা হয়ত বড় কোন রোগে আক্রান্ত না হলে, নস্ট হবেনা।
সকাল সকাল ঘুমাবেন, সকালেই উঠে যাবেন। দেহ মন সবই ভাল থাকবে। এছাড়াও Daraz বা Alibaba সহ বিভিন্ন E commerce সাইট থেকে ড্রাই ফ্রুট (Dry fruite) সংগ্রহ করতে পারেন। নিয়মিত প্রতিদিন ২০-৪০ গ্রাম ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন।
আরও পড়ুন : অজীর্ণ বা Dyspepsia থেকে কি হতে পারে!
গণোরিয়া থেকে মুক্তি চান | Gonorrhoea Infection | কারন |লক্ষন | বিস্তারিত