ঔষধ পরিচিতিসাধারন জ্ঞানস্বাস্থ্য টিপসহারবাল

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল বা স্যাসেড এ কি কি আছে

এ্যাকটেরিয়া বা গুডগাট নামের প্রতিটি প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল এ আছে –

  • ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস ( ২ বিলিয়ন ) ,
  • ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ( ১ বিলিয়ন ) ,
  • বিফিডোব্যাকটেরিয়াম বিফিল্ডাম ( ১ বিলিয়ন )
  • ফ্রুক্টো – অলিগোস্যাকারাইডস
    এ্যাকটেরিয়া নামক স্যাশে তে ও পাওয়া যায়

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুলের এর উপকারীতা

প্রোবায়োটিক মূলত আণুবীক্ষণিক জীব যেখানে ল্যাকটোব্যাসিলাস স্পিসিস , বিফিডোব্যাকটেরিয়াম স্পিসিস এবং ঈস্ট প্রোবায়োটিকের অন্তর্ভূক্ত । পোষকের অস্ত্রীয় মাইক্রোফ্লোরায় এরা ভারসাম্য আনয়ন করে পোষকের কল্যাণ সাধন করে । ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস , ল্যাকটোব্যাসিলাস গোত্রের একটি সদস্য । এর নামকরণ করা হয়েছে ল্যাক্টো অর্থাৎ ‘ দুগ্ধ ‘ আর ব্যাসিলাস মানে ‘ রড ‘ এর মত আকৃতি থেকে এবং এসিডোফিলাস মানে এসিডের প্রতি আসক্তি ।

ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস প্রাকৃতিকভাবেও নানারকম খাবার , দুগ্ধপণ্য , শস্যদানা , মাংস এবং মাছে পাওয়া যায় । এটি মানুষ এবং পশু পাখির অস্ত্র , মুখে এবং যোনীতেও অবস্থান করে । এ ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অস্ত্র এবং যোনীতে অবস্থান করে অস্বাস্থ্যকর ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে রক্ষা করে ।

প্রোবায়োটিক এর জনক কে

দধি তৈরিতে যেসব ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয় , ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস তাদের মধ্যে একটি । ১৯০৫ সালে সর্বপ্রথম বুলগেরিয়ার চিকিৎসক স্ট্যামেন গ্রিগরভ এটি শনাক্ত করেছিলেন । ইহার নামকরণ বুলগেরিয়া নামের উপর প্রতিষ্ঠিত । অঙ্গসূত্রে ইহা গ্রাম – পজেটিভ রড যা একটি লম্বা অংশের মতো দেখায় । ইহা অস্বতশ্চল এবং ইহা স্পোর তৈরী করে না ।

এই ব্যাকটেরিয়া দুধের সাথে যুক্ত হয় এবং ল্যাক্টিক এসিড উৎপন্ন করে , যা দুধকে সংরক্ষণে সাহায্য করে । এরা ল্যাক্টোস ভেঙ্গে ফেলে , ফলে যাদের ল্যাক্টোস ইন্টলারেন্স আছে তাদের জন্য খুব উপকারী । কারণ তাদেরও শরীরে ল্যাক্টোস ভাঙ্গার জন্য যে এনজাইম দায়ী তা অনুপস্থিত । দই প্রস্তুতিতে ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস অ্যাসিটালডিহাইড উৎপন্ন করে যা দইকে সুগন্ধময় করে ।

প্রোবায়োটিক এর প্রজাতি

বিফিডোব্যাকটেরিয়া সাধারণত মানুষ এবং পশু – পাখির মলাশয়ে অবস্থান করে । যেসব নবজাতক মায়ের দুধ খায় তাদের জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই এই ব্যাকটেরিয়া তাদের শরীরেও বসতি স্থাপন করে থাকে । বিফিডোব্যাকটেরিয়া সর্বপ্রথম মায়ের বুকের দুধ খায় এমন শিশুদের মল থেকেই সংগৃহীত হয়েছিল । এদের এই নামকরনের কারণ হচ্ছে এদেরকে সাধারণত ইংরেজী অক্ষর ‘ Y’ আকৃতি কিংবা বিফিড ফর্মে দেখা যায় । এ পর্যন্ত ৩০ টি প্রজাতির বিফিডোব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা গেছে ।

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল কি কাজ করে

সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে , প্রোবায়োটিক মানুয়ের অন্ত্রের এপিথেলিয়াল সেল এর উপর নানাভাবে কাজ করে অস্ত্রীয় প্রদাহ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি পরিপাকতন্ত্রে অবস্থিত ল্যাক্টিক এসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে পিএইচ কমায় এবং এভাবে এতে অবস্থিত ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে । তাছাড়াও এটি ক্ষতিকারক জীবাণুদেরও রিসেপ্টর বাইন্ডিং এর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে থাকে ।

ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়াম বিফিডাম প্রবাহিত রক্তকণিকার সাধারণ প্রতিরোধক , ফ্যাগোসাইটিক কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে । এই প্রভাব রোটাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নবজাতক শিশুর IgA ত্বরান্বিত করে । ল্যাক্টিক এসিড ব্যাকটেরিয়া যেমন ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস , ল্যাকটোব্যাসিলাস বুলগারিকাস ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা প্রদর্শন করে ।

এরা ধাতব আয়ন সমূহের ( যেমন- লৌহ , কপার ) চিলেশন করে এবং প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেনকে ধ্বংস করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা প্রদর্শন করে ।

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল কিসের ঔষধ

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল সাধারণত – প্রোবায়োটিকগুলোর অণুজীববিরোধী , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী , ডায়রিয়া প্রতিরোধী , এলার্জিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা রয়েছে । রোটাভাইরাস ডায়রিয়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত ডায়রিয়া , ক্লোসট্রিডিয়াম ডিফিসাইল জনিত ডায়রিয়া এবং ট্রাভেলারস্ ডায়রিয়ায় কাজ করে।

এ্যাকটেরিয়া স্যাশে: . রোটাভাইরাস ডায়রিয়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত ডায়রিয়া ক্লোসট্রিডিয়াম ডিফিসাইল জনিত ডায়রিয়া ট্রাভেলারস্ ডায়রিয়া ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়াম প্রজাতি বিরক্তিকর পেটের সমস্যা কমায়

প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

প্রাপ্তবয়স্ক : ১-২টি করে এ্যাকটেরিয়া বা গুডগাট দৈনিক ৩ বার অথবা চিকিসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য ।
শিশু ( ৬ মাস এবং তদুর্ধ্ব ) : ১ টি করে এ্যাকটেরিয়া স্যাশে দৈনিক একবার দুধ / পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য ।

প্রতিনির্দেশনাঃ যে সকল রোগীর সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে এবং যাদের পরিপাকতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ তাদের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকের ব্যবহার উপদেশ দেওয়া হয় না ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি । অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়াঃ সঠিক তথ্য জানা নাই । গর্ভকালীন এবং স্তন্যদানকালীন ব্যবহারঃ প্রোবায়োটিক ফিটাসের সিস্টেমিক সংবহনতন্ত্রে পৌঁছাতে পারেনা , যার কারনে ইহা কোনো প্রকার ক্ষতি করে না ।

আরও পড়ুন- মোনাস ১০ কি কাজ করে খাওয়ার নিয়মসহ | Monas 10 tablet

প্রোবায়োটিকের উপকারীতা কি

প্রোবায়োটিক আপনার অন্ত্রের জন্য উপকারী জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। যা আপনার অন্ত্রের গোলযোগ, কখনও কোষ্ঠবদ্ধতা আবার কখনো ডায়রিয়া, মাঝে মাঝে আবার পেটপাফাঁ, বদহজম ইত্যাদি দূর করতে ব্যাপকভাবে উপকারী। তাই এই ঔষধ কিনতে গেলে দেখা যায় ওষুধের দোকানে ফ্রিজ থেকে প্রোবায়োটিক বের করে দিচ্ছেন। কারন হলো – এটা জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। সঠিক তাপমাত্রায় না রাখলে এগুলো মৃত বলে ধরা হয়।

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার কি

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার বলতে যা বুঝানো হয়, এগুলো বলে আপনাকে ঝামেলায় ফেলা ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এখানে সহজ এবং কাজে আসে এমন বিষয় নিয়ে জানাতে এসেছি। তাই একটা সহজ খাবারের নাম বলে দেই, যা যেকোন সময় সহজে পাওয়া যায়। তা হলো – দইদইয়ে প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক আছে। এবং তা খুব সহজে পাওয়া যায়। এককাপ দইয়ে কয়েক কোটি প্রোবায়োটিক থাকে। তাহলে এতো হাইকোট দেখানোর কি দরকার! তাই সময় ও সুযোগ পেলে এককাপ দই খেয়ে নিবেন। আপনার সমস্যা থাকুক বা নাই থাকুক। প্রোবায়োটিকের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া নিজের অন্ত্রে রিজার্ভ রাখাটাই জরুরী বলে আমি মনে করি।

ডিলিটা ফ্রেনজিট ট্যাবলেট কি কাজ করে | Frenxit

কোন রোগের জন্য কি ঔষধ খাবেন | First Aid

ঘুমের ঔষধের নাম কি | খাওয়ার নিয়মসহ

ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি জেনে নিন | Pain Killer

Sex Tablet For Men | সেক্স এর ট্যাবলেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
X